জাপানে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বেশ উদ্বিগ্ন
১৭ মার্চ ২০১১যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন
দেশটি এতটাই উদ্বিগ্ন যে তারা তাদের নাগরিকদের দাইইচি পরমাণু কেন্দ্রের ৮০ কিলোমিটারের মধ্যে যেতে নিষেধ করেছে৷ যেখানে জাপান সরকার তার নাগরিকদের জন্য ৩০ কিলোমিটার সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছে৷ এছাড়া জাপানে থাকা কয়েকজন মার্কিন সেনাকে সতর্কতা হিসেবে তেজস্ক্রিয়তা প্রতিরোধক ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়েছে৷ আর দাইইচি পরমাণু কেন্দ্র থেকে আসলেই কী পরিমাণ তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ছে সেটা পরিমাপের জন্য যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের বিশেষজ্ঞ পাঠিয়েছে সেখানে৷ সঙ্গে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও রয়েছে৷ অর্থাৎ এবার তারা নিজেরাই মেপে দেখবে পরিস্থিতি আসলে কতটা ভয়ঙ্কর৷ এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু নিয়ন্ত্রণ সংস্থার প্রধান বলেছেন হেলিকপ্টারে করে সমুদ্রের পানি দিয়ে চুল্লি ঠান্ডা করার যে প্রক্রিয়া গতকাল বুধবার থেকে শুরু হয়েছে সেটা ব্যর্থ হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে৷ তবে এরপরও জাপান সেই চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে৷ এমন কী হেলিকপ্টারের সংখ্যাও আরো বাড়ানো হচ্ছে৷ এদিকে ব্রিটেনও তার নাগরিকদের টোকিও ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে৷
আইএইএ
তারা বলছে পরিস্থিতি খুবই খারাপ৷ তবে সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে আরও খবর নিতে আজ জাপান যাচ্ছেন সংস্থার প্রধান ইয়ুকিয়া আমানো৷ সেখানে তিনি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের লোকজনের সঙ্গে কথা বলবেন৷ এরপর তিনি ফিরে যাবেন ভিয়েনায়৷ যেখানে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় অবস্থিত৷ ফিরে গিয়ে তিনি একটি জরুরি বৈঠক ডেকে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন৷ এদিকে দাইইচি পরমাণু কেন্দ্রের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক জ্বালানি বিষয়ক কর্মকর্তা যে মন্তব্য করেছেন সেটা বলার মত সময় এখনো আসেনি বলে জানিয়েছেন আইএইএ প্রধান আমানো৷
উদ্ধার তৎপরতা
উদ্ধার কাজ চলছে৷ তবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় তুষারপাতের কারণে কাজে ব্যাঘাত ঘটছে৷ আর প্রচন্ড শীতের কারণে কষ্ট পাচ্ছে বেঁচে থাকা মানুষগুলো৷ সরকারি হিসেবে এ পর্যন্ত ৪,৩১৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে৷ আর ৮,৬০৬ জন এখনো নিখোঁজ বলে জানানো হয়েছে৷ উল্লেখ্য, এর আগে ১৯৯৫ সালে জাপানেরই কোবে শহরে ভূমিকম্পে মারা গিয়েছিল প্রায় সাড়ে ছয় হাজার লোক৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: মারিনা জোয়ারদার