1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে শুরু হলো নতুন এক ফেলোশিপ প্রোগ্রাম

১ সেপ্টেম্বর ২০১০

বন শহরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এসেছিলেন আলেকজান্ডার ফন হুমবোল্ট ফাউন্ডেশনের অতিথি হয়ে৷ তবে শুধু অতিথিই নয়, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ফাউন্ডেশনের নতুন একটি ফেলোশিপ প্রোগ্রামেরও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/P11D
শিল্পের এক অর্থ পরিবেশ দূষণছবি: PA/dpa

জলবায়ুর পরিবর্তন আজ আর কোনো দেশের একার সমস্যা নয়৷ জলবায়ু পরিবর্তন আজ এক স্বীকৃত সত্য, বিশ্বব্যাপী এক বাস্তব ঘটনা৷ উষ্ণতা বাড়ার কারণে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, খরা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের হার আজ বেড়ে চলেছে সারা বিশ্বেই৷ আর তাই, জার্মানির আলেকজান্ডার ফন হুমবোল্ট ফাউন্ডেশন এবার নিয়ে এসেছে এক নতুন ফেলোশিপ৷ যার নাম - ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট প্রোটেকশন ফেলোশিপ প্রোগ্রাম'৷

কি এই ফেলোশিপের মূল উদ্দেশ্য ? ফাউন্ডেশনে কর্মরতা লিসা প্লিট জানান, ‘‘জলবায়ু পরিবর্তন সকলেরই সমস্যা এবং হুমবোল্ট ফাউন্ডেশন সেখানে তাদের অবদান রাখতে চায় - বিশেষ করে সেই সব দেশে, যেখানে জলবায়ু পরিবরতনের ফল বিশেষ গুরুতর হবে৷ আমাদের কর্মসূচির লক্ষ্য হলো যে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ফেলো ও বৃত্তিধারীদের মধ্যে একটি নেটওয়ার্ক সৃষ্টি করা, যে নেটওয়ার্কে জার্মানির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানরাও জড়িত থাকবে৷ এভাবে যেসব প্রকল্পের সৃষ্টি হবে, সেগুলি ঐ সব দেশে ব্যবহার করা যাবে, গ্রহণযোগ্য হবে৷ ''

কোপেনহেগেন থেকে কানকুন৷ মাঝে বেশ অনেকটা সময়, যে সময় আলোচনা হয়েছে বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধের বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে, অ্যাডাপ্টেশন ফান্ড এবং তার যোগ্য বন্টন নিয়ে৷ আলোচনা হয়েছে নবায়নযোগ্য জ্বালানী এবং বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা নিয়েও৷ কিন্তু তারপরও, উন্নত এবং উন্নতশীল দেশগুলির মধ্যে একটি সুস্পষ্ট পার্থক্য থেকেই গেছে৷

Logo der Alexander von Humboldt Stiftung
আলেকজান্ডার ফন হুমবোল্ট ফাউন্ডেশনের লোগো

নতুন এই ফেলোশিপ বা বৃত্তি প্রাপ্ত ভারতের প্রভাত উপাধ্যায় বললেন, ‘‘ভারতে যে ‘এমিশন ট্রেডিং স্কিম'এর কথা হচ্ছে তা হলো এই - ন'টি বিভাগে প্রায় ৭৫০টি শিল্প-সংস্থাকে ‘এনার্জি সেভিং টার্গেট' বা জ্বালানী সাশ্রয় লক্ষ্য দেওয়া হবে৷ তারা যদি তাদের নির্গমন হ্রাস করে, তবে তারা জ্বালানী সাশ্রয় সার্টিফিকেট পাবে, যা তারা বিক্রি করতে পারবে, আবার প্রয়োজনে কিনতেও পারবে৷ আমার চর্চার বিষয় হলো, স্বদেশের কি ধরণের কর্মসূচি আন্তর্জাতিক কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত করা সম্ভব, যাতে সকলেই উপকৃত হয়৷''

প্রভাত ছাড়াও, জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত এই ফেলোশিপ প্রোগ্রামের প্রাপক দেশ-বিদেশের আরো ১৪ জন তরুণ গবেষক৷ তাঁদের কথায়, জলবায়ু পরিবর্তনের কু-প্রভাবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হলে প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সহযোগিতা৷ প্রয়োজন সবুজ প্রযুক্তির, প্রয়োজন সচেতনতার৷ আর তার জন্য সংবিধান সংশোধনেও রাজি চীনের লি ইয়ং৷ তাঁর কথায়, ‘‘আজকাল বহু মানুষেরই সমাজের প্রতি কোনো দায়িত্ব নেই৷ সাংবিধানিক কর্তব্য হলো সেই দায়িত্ব পুনরায় গড়ে তোলা এবং পরিবেশকে বাঁচানোর সচেতনতা সৃষ্টি করা৷ চলতি মনোবৃত্তি পরিবর্তন করা কঠিন হলেও, আমরা তা করার চেষ্টা করছি৷''

চীন, মেক্সিকো, মিশর, পেরু, ইথিওপিয়া, নাইজিরিয়া, কেনিয়া, ফিলিপিন্স থেকে আসা এই সব গবেষকদের মূল লক্ষ্য একটি দূষণ মুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলা৷ আর সেই লক্ষ্যে জার্মানির অভিজ্ঞতা, জার্মান প্রযুক্তি যে সুফল বয়ে আনবে - তা বলাই বাহুল্য৷

প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন