1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘তৃতীয় লিঙ্গের' স্বীকৃতি দিল জার্মানি

৯ নভেম্বর ২০১৭

জন্ম নিবন্ধন খাতায় লিঙ্গের বিবরণে ‘তৃতীয় লিঙ্গ' কথাটি এবার থেকে উল্লেখ করা যাবে জার্মানিতে৷ নিম্ন আদালতে ব্যর্থ হলেও ফেডারেল সাংবিধানিক আদালতে আপিল করে এ সংক্রান্ত মামলায় জিতে যান তৃতীয় লিঙ্গের অধিকারী এক ব্যক্তি৷

https://p.dw.com/p/2nKQy
Intersexuelle Person
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Woitas

বুধবার জার্মানির কার্লসরুহ শহরে ফেডারেল সাংবিধানিক আদালত জন্ম নিবন্ধনে তৃতীয় লিঙ্গ অন্তর্ভুক্ত করার বিষয় সংক্রান্ত রায়টি দেয়৷ তবে আদালতের মতে, জার্মান সংবিধানে ব্যক্তির সুরক্ষা সম্পর্কিত সাধারণ যে অধিকার, তা অনুযায়ী ‘তৃতীয় লিঙ্গ' কথাটির অনুমোদন করতে আইনে বেশ কিছু পরিবর্তন দরকার৷ 

আদালত এ-ও বলে যে, তৃতীয় লিঙ্গের বিষয়টির ফয়সালা করতে ২০১৮ সালের মধ্যে আইনপ্রণেতাদের একটি নতুন আইন তৈরি করতে হবে৷ শুধু তাই নয়, ‘তৃতীয় লিঙ্গ' বা ‘উভয় লিঙ্গ'-এর ক্ষেত্রে কোনো ইতিবাচক শব্দ ব্যবহারেরও নির্দেশ দেয় আদালত৷

২০১৪ সালের মামলা

জন্ম নিবন্ধনে তৃতীয় লিঙ্গকে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে জার্মানি ইউরোপের প্রথম দেশ হতে পারতো৷ ২০১৩ সালে আদালতের প্রাথমিক প্রস্তাব ছিল, তৃতীয় লিঙ্গের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধনের খাতায় লিঙ্গ সম্পর্কিত জায়গাটি ফাঁকা রাখা৷ কিন্তু এই ক্যাম্পেইনের সাথে যাঁরা জড়িত ছিলেন বা আছেন, তাঁদের দাবি ছিল যে এটা যথেষ্ট নয়৷

তৃতীয় লিঙ্গের যে ব্যক্তি ঐ মামলাটি করেছিলেন, তিনি নিবন্ধনের খাতায় লিঙ্গের ঘরে ‘ইন্টার' বা ‘ভেরিয়াস' লেখার আবেদন জানান৷ প্রসঙ্গত, এর আগে সেই ঘরে তাঁদের ‘মেয়ে' হিসাবে নিবন্ধন করাতে হতো৷

জার্মানিতে আনুমানিক ৮০ হাজার মানুষ আছেন, যাঁরা লিঙ্গের বর্ণনায় নিজেদের ‘পুরুষ' অথবা ‘নারী' বলে থাকেন, অথচ এর কোনোটাই তাঁরা নন৷ এ দেশে তৃতীয় লিঙ্গের বেশ কিছু মানুষ আছেন যাঁদের অণ্ডকোষ ও ডিম্বাশয় উভয়ই আছে৷ কারও কারও আবার সে ধরনের কোনো হরমোনই উৎপাদন হয় না, যাতে করে লিঙ্গ বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করা যায়৷ 

ক্যাথলিকরা এই ধারণার বিরোধী

মামলাটি বিবেচনায় নিতে কার্লসরুহ শহরের ঐ আদালত ১৬টি সংগঠন ও সংস্থার মতামত চেয়েছিল৷ এদের মধ্যে জার্মান ইনস্টিটিউট অফ হিউম্যান রাইটস, দ্য জার্মান সোসাইটি ফর সেক্সুয়াল রিসার্চ এবং জার্মান সোসাইটি ফর সাইকোলজি তৃতীয় লিঙ্গের পক্ষে মতামত দেয়৷

অন্যদিকে জার্মান ক্যাথলিকদের কেন্দ্রীয় কমিটি এবং জার্মান রেজিস্ট্রারদের ফেডারেল অ্যাসোসিয়েশন এই ধারণার বিরোধীতা করে৷

পরিবার বিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রী কাটারিনা বার্লে এই ধারণাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘‘ফেডারাল সাংবিধানিক আদালত যে বিষয়গুলো তুলে ধরেছে, তা নিশ্চিত করতে নতুন সরকার অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে৷''

ফেডারেল অ্যান্টি-ডিসক্রিমিনেশন অফিস এই সিদ্ধান্তকে ‘ঐতিহাসিক' বলে উল্লেখ করেছে৷ এবং জন্ম নিবন্ধন আইনের ব্যাপক সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছে সিভিল রেজিস্ট্রি অফিস৷

ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও নেপাল এরইমধ্যে নিজ নিজ দেশের জন্ম নিবন্ধন রেজিস্টারে তৃতীয় লিঙ্গের বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করেছে৷

এএম/ডিজি (এএফপি, এপি, ডিপিএ, ইপিডি, কেএনএ)