1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানি থেকে শিক্ষা

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি১০ জুলাই ২০১৩

জার্মানির দক্ষিণ-পশ্চিমের একটি শহর কাইজার্সলাউটার্ন৷ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং জঞ্জাল অপসারণ ব্যবস্থাপনার দিক থেকে এই শহরটি একেবারে আদর্শ৷ সেই দৃষ্টান্তই অনুসরণ করতে চলেছে ভারতের সৈকত শহর গোয়া৷

https://p.dw.com/p/194fD
ছবি: picture alliance/AP Photo

গোয়াকে জঞ্জালমুক্ত করতে না পারলে পর্যটন শিল্প যে মার খাবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিৎ গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী৷

পিকচার-পোস্টকার্ডের মতো সুন্দর চোখ জুড়ানো দক্ষিণ-পশ্চিম জার্মানির ছোট্ট শহর, কাইজার্সলাউটার্ন৷ সেই শহর দেখতে গিয়ে ভারতের পর্যটন রাজ্য গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী সব থেকে মুগ্ধ হন শহরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং জঞ্জাল অপসারণ ব্যবস্থাপনায় পুরসভার দক্ষতায়৷ সঙ্গে সঙ্গে তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে, গোয়াকে জঞ্জালমুক্ত করার দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানে এই শহরের ব্যবস্থাপনাই হবে আদর্শ৷

কাইজার্সলাউটার্ন শহরের জঞ্জাল অপসারণ ম্যানেজমেন্ট এবং আবর্জনা প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় বিভিন্ন ধরণের আবর্জনা থাকে, যার মধ্যে আছে প্লাস্টিক, যা গোয়ার সমুদ্র সৈকতে দেখা যায়৷ প্রক্রিয়াকরণ কারখানা থাকা সত্ত্বেও আশেপাশের এলাকায় না আছে কোনো দুর্গন্ধ, না আছে মাছি বা পোকামাকড়৷ তাই এ ধরণের একটা কারখানাই হবে গোয়াকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার এবং জঞ্জাল অপসারণের উপযুক্ত পন্থা, ঠিক করে বসেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী৷

Städtepartnerschaft Kaiserslautern - Banja Luka
কাইজার্সলাউটার্ন শহরের একটি দৃশ্যছবি: DW

গোয়াতে এই ধরণের তিনটি কারখানা বসানোর পরিকল্পনা আছে, যেখানে দৈনিক ৩০০ টন আবর্জনার প্রক্রিয়াকরণ সম্ভব৷ এর মধ্যে রয়েছে ১৫০ কিউবিক টন শিল্পজাত আবর্জনা৷ শুধু তাই নয়, প্রক্রিয়াকরণের পর বাই-প্রোডাক্ট হিসেবে ঐ জঞ্জালকে ছোট ছোট টুকরোয় মণ্ড বানিয়ে জ্বালানি হিসেবে এবং আবর্জনাজাত গ্যাস বিক্রি করে পুরসভার আয় বাড়ানোও সম্ভব হবে৷

গোয়ার আবর্জনা অপসারণ সমস্যা আরো উদ্বেগজনক হয়েছে এই কারণে যে, ময়লা ফেলার জায়গার অভাব৷ ফলে শহরের রাস্তাঘাটে, পার্কে, বসতি এলাকা এবং সৈকতের চতুর্দিকে পড়ে থাকতে দেখা যায় নোংরা আবর্জনা৷ নিষেধাজ্ঞা এবং কড়া জরিমানার হুমকিতে কোনো কাজ হচ্ছে না, যেহেতু সেখানে ‘মাইক্রো' এবং ‘ম্যাক্রো' স্তরে জঞ্জাল অপসারণের কোনো কার্যকর সিস্টেম নেই৷

এর ওপর, জার্মান পর্যটক এবং জার্মানিতে বসবাসকারী গোয়ানরা ইতিমধ্যেই জার্মানি থেকে জঞ্জাল অপসারণ ও প্রক্রিয়াকরণের তিনটি কারখানা গোয়াতে বসাতে দরবার করেছেন সরকারের কাছে৷

উল্লেখ্য, বছরে প্রায় ২৬ লাখ পর্যটক গোয়াতে আসেন৷ নোংরা হওয়ার কারণে জার্মান পর্যটকদের গোয়া আগমন ক্রমশই কমছে৷ তাঁরা চলে যাচ্ছেন থাইল্যান্ডের সমুদ্র সৈকতে৷ সেখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অপেক্ষাকৃত ভালো এবং খরচও কম৷