ছবি বাঁধাইয়ের ইতিকথা
ছবি বাঁধাইয়ের চল বহুদিনের৷ ইষ্টদেবতা, বা প্রিয়জনের ছবি থেকে শুরু করে নিসর্গদৃশ্য, অথবা নিখাদ শিল্পকলা – মানানসই ফ্রেমে তাকে বাঁধিয়ে নেওয়াও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়৷ এমনকি এই ডিজিটাল যুগেও৷
বাঁধাই শিল্প
কোনো ছবি শেষ পর্যন্ত কতটা আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে, তা অনেকটাই নির্ভর করে কীভাবে সেটা বাঁধানো হচ্ছে, তার ওপর৷
ছবিতে ইতিহাস
৩০০ বছর আগের শহরের চেহারা কেমন ছিল, কেমন ছিল তার নাগরিক জীবন, সেই হদিসও মেলে ছবি বাঁধাইয়ের দোকানে৷
যেন জাদুঘর
এত রকমের ছবি, এত ধরনের বাঁধাই তাদের, এমন বিচিত্র কারুকাজ – সব মিলিয়ে যেন জাদুঘরের চেহারা নেয়৷
রাস্তার ধারেই
খুব বেশি বড় জায়গা নেয় না ছবি বাঁধাইয়ের দোকান৷ রাস্তার ধারেই গড়ে ওঠে তার রংবেরঙের গ্যালারি৷
সাবেক রীতিতে
ছবি বাঁধাইয়ে প্রযুক্তির সাহায্য এখনও তেমন নেওয়া হয় না৷ সম্বল সেই পুরনো সরঞ্জাম আর সাবেকি কায়দা৷
ছবির পশরা
ছোট পরিসরে বাঁধাই ছবি সাজিয়ে রাখা হয় দোকানে দোকানে৷ পথচলতি মানুষ অনেকেই সেই দেখে আকৃষ্ট হন৷
সবার পছন্দ
শুধু বিত্তবানেই ছবি কেনেন, এমন কিন্তু নয়৷ সমাজের সব স্তরেই থাকেন সমঝদার৷ পছন্দের ছবিটি দেখে দাঁড়িয়ে পড়েন৷
ছবি ছাড়াও
বৈচিত্রের খাতিরেই ছবির পাশাপাশি ঘর সাজানোর নানা উপকরণ আজকাল থাকে ছবি বাঁধাইয়ের দোকানে৷
আধিক্য দেব-দেবীর
মৃত প্রিয়জনের ছবি বাঁধিয়ে রাখার যেমন চল, তেমনই ঠাকুর-দেবতা এবং ধর্মগুরুদের ছবিরও চাহিদা প্রচুর৷
সহাবস্থান
ধর্মীয় গুরুদের পাশাপাশি চমৎকার সহাবস্থানে ছবি বাঁধাইয়ের দোকানে ঝুলে থাকে আধুনিক শিল্পকলা৷
শুধু ফ্রেম
ইদানীং নানা ধরনের বাহারি ফ্রেমেরও চলন হয়েছে৷ লোকে ফ্রেম পছন্দ করে কিনে ফেলেন, তারপর খোঁজ চলে মাপসই ছবির৷
ডিজিটাল যুগেও
এই ডিজিটাল ছবির যুগেও তাই দিব্যি টিকে আছে ছবি বাঁধাইয়ের ব্যবসা৷ চাহিদা থাকছে বছরভরই৷