চীনের উচ্চাভিলাষী মহাকাশ কর্মসূচি
মহাকাশ গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মতো স্থানে পৌঁছতে চায় চীন৷ ২০২২ সালে নিজস্ব স্পেস স্টেশন বানাতে চায় দেশটি৷
ষষ্ঠবারের মতো
সোমবার (১৭ অক্টোবর, ২০১৬) সকালে চীন ৬ষ্ঠ বারের মতো তাদের মহাকাশচারীদের মহাকাশে পাঠালো৷ ‘শেনজু-১১’ বা ‘পবিত্র তরী’ নামের একটি রকেট দুজন নভোচারীকে নিয়ে দুই দিন পর চীনেরই স্পেস ল্যাব ‘তিয়ানগং-২’-তে পৌঁছবে৷
অভিজ্ঞ মহাকাশচারী
জিং হাইপেং ও চেন ডং মহাকাশে থাকবেন ৩০ দিন৷ সেখানে তাঁরা অ্যারোস্পেস মেডিসিন ও অ্যাটোমিক স্পেস ক্লক নিয়ে গবেষণা করবেন বলে জানিয়েছে চীনা বার্তা সংস্থা শিনহুয়া৷ নভোচারী জিং হাইপেংয়ের এটি তৃতীয় মিশন৷ মহাকাশে তিনি তাঁর ৫০ তম জন্মদিন পালন করবেন৷
স্পেস ল্যাব ‘তিয়ানগং-২’
পৃথিবী থেকে ৩৯৩ কিলোমিটার উঁচুতে এই ল্যাবটি অবস্থিত৷ গত মাসে এটি চালু করা হয়৷ এর দৈর্ঘ্য নয় মিটার৷ ওজন ১৩ টন৷ ‘তিয়ানগং-২’ বা ‘স্বর্গীয় প্রাসাদ-২’এ দুটি কেবিন আছে৷ একটি বসবাসের জন্য ব্যবহৃত হয়৷ অন্যটিতে রয়েছে সোলার প্যানেল, ইঞ্জিন, ব্যাটারি ইত্যাদি৷
প্রথম স্পেস ল্যাব
২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে চীন তাদের প্রথম স্পেস ল্যাব ‘তিয়ানগং-১’ মহাকাশে প্রেরণ করে৷ গত মার্চে এর মিশন শেষ হয়৷
সর্বাধুনিক রকেট
‘শেনজু-১১’ পাঠানো হয় ‘লং মার্চ-২এফ’ ক্যারিয়ার রকেট ব্যবহার করে৷ ৪৬৪ টন ওজন ও ৫২ মিটার দীর্ঘের এই রকেটটি গোবি মরুভূমির কাছে অবস্থিত ‘জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার’ থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়৷
উচ্চাভিলাষী মহাকাশ কর্মসূচি
মহাকাশ বিষয়ে তাদের সক্ষমতা দেখাতে চাইছে চীন৷ তাই আগামী এপ্রিলে তারা প্রথমবারের মতো একটি স্পেস কার্গো পাঠাতে চাইছে৷ সেটিতে করে ‘তিয়ানগং-২’ স্পেস ল্যাবের জন্য জ্বালানি ও উপকরণ নিয়ে যাওয়া হবে৷
নিজেদের স্পেস স্টেশন চায় চীন
বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী, মহাকাশে থাকা ‘আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন’ বা আইএসএস (ছবিতে দেখা যাচ্ছে) এর কার্যক্রম ২০২৪ সালে শেষ হয়ে যাবে৷ চীন চাইছে ২০২২ সালের মধ্যে নিজেদের একটি স্পেস স্টেশন তৈরি করতে৷ তাহলে ২০২৪ সালের পর চীনের ঐ স্টেশনটিই হবে একমাত্র স্থায়ী স্পেস স্টেশন৷