1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনে দুই সন্তান নীতি কার্যকর

২ জানুয়ারি ২০১৬

অবশেষে কঠোর এক সন্তান নীতির অবসান ঘটলো৷ তাই এখন থেকে দু'টি করে সন্তানের জন্ম দিতে পারবেন চীনা দম্পতিরা৷ দেশের জনসংখ্যা কমতে শুরু করায় ও শ্রমিক-কর্মচারীদের গড় বয়স বৃদ্ধি পাবার পর সরকার দুই সন্তানের নীতি কার্যকরি করেছে৷

https://p.dw.com/p/1HWsf
China Chinesische Kinder
ছবি: Getty Images/ChinaFotoPress

গত অক্টোবর মাসে বেইজিং সরকার ঘোষণা করেন যে, এক সন্তানের নীতির অবসান ঘটতে চলেছে৷ যে আইনের বলে দম্পতিরা এবার থেকে দু'টি করে সন্তানের জন্ম দিতে পারবেন, তা গত শুক্রবার থেকে কার্যকরি হয়েছে৷ চীনের সরকারি সংসাদ সংস্থা সিনহুয়া এ কথা জানিয়েছে৷

নতুন আইন অনুসারে দম্পতিরা একটি দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিতে পারবেন, যদিও তার বেশি সন্তানের জন্মের উপর বাধানিষেধ বজায় থাকবে৷

এই পরিবর্তনের ফলে আগামী পাঁচ বছরে প্রতিবছর আরো ৩০ লাখ শিশু জন্ম নিতে পারবে, বলে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা পরিষদের কর্মকর্তারা গত নভেম্বর মাসে ঘোষণা করেন৷ ফলে ২০৫০ সালের মধ্যে দেশের শ্রমবাজারে আরো তিন কোটি শ্রমিক বাড়বে৷

চীনের ১৩৭ কোটি অধিবাসীর মধ্যে নারীর তুলনায় পুরুষের সংখ্যা বেশি, এছাড়া বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সংখ্যাও ক্রমাগত বেড়ে চলেছে – সেই সঙ্গে গড় বয়স৷ এই পরিস্থিতিতে দুই সন্তানের নীতি চীনের জনসংখ্যাগত সমস্যা সমাধান করতে পারবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন না৷ চীনে সন্তান প্রতিপালনের যা খরচ, তার পরিপ্রেক্ষিতে দম্পতিরা আর সন্তান চান না – বলে অনেকের ধারণা৷

বেইজিং সত্তরের দশকের শেষে এক সন্তান নীতি চালু করে জনসংখ্যাবৃদ্ধি হ্রাস ও খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধির আশায়৷ গ্রামাঞ্চলের দম্পতিরা দু'টি সন্তানের জন্ম দিতে পারতেন যদি প্রথমটি একটি কন্যাসন্তান হতো৷ লংখ্যালঘু উপজাতিক সম্প্রদায়ের দম্পতিরা একটি অতিরিক্ত সন্তান নিতে পারতেন৷

কর্মকর্তারা খেয়াল রাখতেন, যা-তে এই সব নিয়মকানুন ভঙ্গ না করা হয় – ভঙ্গ করলে জরিমানার ব্যবস্থা ছিল৷ এর ফলে গর্ভপাত বেড়ে থাকতে পারে, যদিও সরকারের যুক্তি ছিল যে, চীনের অর্থনৈতিক প্রগতির পিছনে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের একটা মুখ্য ভূমিকা আছে৷

এমজি/এসি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি)

বন্ধুরা, বাংলাদেশের সন্তান নীতি কী হওয়া উচিত বলে আপনার মনে হয়? জানান নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য