চিলির খনিশ্রমিকদের কাছে পৌঁছে গেল উদ্ধারকারী টানেল
৯ অক্টোবর ২০১০এই টানেল দিয়েই এক এক করে খনি শ্রমিককে উপরে তুলে আনা হবে৷ তবে এই কাজ শুরু হতে তিন থেকে আটদিন লাগবে বলে জানিয়েছেন চিলির খনিমন্ত্রী লরেন্স গোলবর্ন৷ তবে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী আশা করছেন মঙ্গলবারেই এই কাজ শুরু হতে পারে৷ প্রকৌশলীরা বলছেন এক একজনকে উপরে তুলে আনতে দেড় ঘন্টা করে সময় লাগতে পারে৷ সে হিসেবে সবাইকে উদ্ধার করতে দুই দিন সময় লাগবে৷ এদিকে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন এতদিন মাটির নিচে অন্ধকারে থাকার পর হঠাৎ আলোতে এসে চোখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে শ্রমিকদের৷ তাই প্রত্যেককে বিশেষ সানগ্লাস দেয়া হবে বলে জানা গেছে৷
ঘটনার শুরু
একেবারে নির্দিষ্ট করে বললে আজ ৬৬তম দিন চলছে৷ গত আগস্ট মাসের ৫ তারিখে সোনা ও তামার এই খনিতে দুর্ঘটনা ঘটলে ৩৩ জন শ্রমিক আটকা পড়েন৷ প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল তাঁরা মারা গেছেন৷ কিন্তু দুই সপ্তাহ পর একটি চিঠি পাওয়া যায়৷ যেখানে লেখা ছিল তাঁরা সবাই বেঁচে আছেন৷ এরপর থেকেই শুরু হয় উদ্ধারের কাজ৷
মাটির নিচে দিনকাল
প্রত্যেকেরই ওজন কমে গেছে৷ অবশ্য একদিক দিয়ে ভালই হয়েছে৷ কারণ ক্যাপসুলের মত দেখতে যে যন্ত্র করে তাদের উপরে তুলে আনা হবে সেটা বেশ সরু৷ ওটাতে ওঠার জন্য হালকা পাতলা শরীর প্রয়োজন৷ তবে গরমের কারণে অনেকের ত্বকে সমস্যা দেখা দিয়েছে৷ কারও কারও রক্তচাপ বেড়ে গেছে৷ শ্রমিকদের মনের অবস্থা ঠিক রাখার জন্য মাঝে মাঝে মনোবিজ্ঞানীদের দিয়ে কাউন্সেলিং করানো হচ্ছে৷ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এটা করা হচ্ছে৷ দুর্ঘটনার পরপরই শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল৷ ফলে টেলিফোনে তারা কথা বলতে পেরেছেন কাছের মানুষজনের সঙ্গে৷
তুলে আনার পর
শ্রমিকদের উপরে তুলে আনার পর প্রথমে ডাক্তাররা দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দেবেন৷ এজন্য খনির পাশেই অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে৷ এরপর হেলিকপ্টারে করে শহরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে৷ সেখানে কমপক্ষে দুদিন রাখা হবে তাদের৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম