চিরকালের সেরা সব বাগানের ছবি
লন্ডনের রয়াল অ্যাকাডেমির একটি প্রদর্শনীতে দেখানো হচ্ছে ১৮৭০ থেকে ১৯২০, এই ৫০ বছরে চিত্রকলায় বাগানের রূপ কিভাবে বদলেছে৷
বাগানে মহিলা
ফরাসি ‘ইম্প্রেশনিস্ট’ চিত্রকরদের মধ্যে সবচেয়ে নামকরা সম্ভবত ক্লদ মোনে৷ ১৮৬৭ সালে তিনি আঁকেন তাঁর এক আত্মীয়ার ছবি, সে আমলের লম্বা ড্রেস পরা, প্যারাসল হাতে রোদঝলমল বাগানে হেঁটে বেড়াচ্ছেন৷ পরে জিভের্নিতে তাঁর নিজের হাতে গড়া বাগানের ছবি এঁকে মোনে বিশ্বখ্যাত হন৷
পার্ক থেকে প্রেরণা
আউগুস্ত রেনোয়া যে আমলে আঁকছিলেন, তখন প্যারিসে পাবলিক পার্ক নিয়ে খুব ধুম চলেছে৷ রাজকীয় পার্কগুলোতে আপামর জনতাকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে; সাধারণ নাগরিকরাও বাড়ির সামনে ছোট ছোট বাগান করছেন৷ প্যারিসের এই সব পার্ক আর বাগান থেকেই রেনোয়া তাঁর ছবি আঁকার প্রেরণা পেতেন৷ ১৮৭৩ সালে তিনি আঁকেন তাঁর বন্ধু ক্লদ মোনের ছবি৷ মোনে তখন আর্জঁতুই-য়ে তাঁর নিজের বাগানে ইজেল বসিয়ে, ক্যানভাস পেতে ছবি আঁকছেন৷
মস্কো থেকে বাভারিয়া
ভাসিলি কান্ডিনস্কিকে বিমূর্ত চিত্রকলার জনক বলে মনে করা হয়৷ ১৯০৯ সালে তাঁর সঙ্গিনী গাব্রিয়েল ম্যুন্টার বাভারিয়া রাজ্যের মুর্নাউ শহরের কাছে স্টাফেলজে হ্রদের ধারে একটি বাড়ি কেনেন৷ কান্ডিনস্কির জন্ম মস্কোয়, তাই প্রতিবেশীরা বাড়িটির নাম দিয়েছিলেন রাশিয়ান হাউস৷ দু’জনেই তাদের নিজের তৈরি বাগানটাকে ভালোবাসতেন৷ কান্ডিনস্কির ছবিতে একাধিকবার এই বাগান দেখতে পাওয়া যাবে, যেমন ১৯১০ সালে আঁকা এই ছবিটিতে৷
স্পেনের তরল সূর্য
স্পেনের তরল সূর্য স্পেনের চিত্রকর ইওয়াকিন সোরোল্লাকে ‘আলোর ছবি-আঁকিয়ে’ বলে মনে করা হয়৷ তিনি টিফানি ল্যাম্প খ্যাত মার্কিন ডিজাইনার লুইস কম্ফর্ট টিফানির এই ছবিটি আঁকেন ১৯১১ সালে৷ দেখলে মনে হবে, টিফানি স্পেনের একটি ফুলে ভরা বাগানে বসে খানিকটা রেস্ট নিচ্ছেন৷
বাগানে পা ছড়িয়ে...
পিয়ের বনার প্যারিসের দৈনন্দিন জীবনের ছবি আঁকতেন উজ্জ্বল সব রঙে৷ যেমন এই তরুণী মহিলাটি, যিনি বাগানে তাঁর আরাম কেদারার ওপর পা ছড়িয়ে বসে বিশ্রাম করছেন৷ পাশে টেবিলে সব প্রয়োজনীয় বস্তু৷ বনার ছবিটি আঁকেন ১৯১৪৷
শিল্পীর বাগান
ক্লদ মোনের ‘জলপদ্ম’ পর্যায়ের ছবিগুলি আঁকা হয় ১৯১৪-১৫ সালে৷ এগুলি সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে আইকনিক ছবিগুলির পর্যায়ে পড়ে৷ জিভের্নি-তে তাঁর নিজের বাগানেও জলপদ্ম লাগিয়েছিলেন মোনে৷ ১৯২৬ সালে মৃত্যুর স্বল্প আগে বলেছিলেন, আমার বাগানই হল আমার সবচেয়ে বড় শিল্পকর্ম৷