1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চিকিৎসায় নোবেল পেলেন যুক্তরাজ্যের রবার্ট এডওয়ার্ডস

৪ অক্টোবর ২০১০

চিকিৎসার ক্ষেত্রে ২০১০ সালের নোবেল পুরস্কার পেলেন ব্রিটেনের চিকিৎসাবিজ্ঞানী রবার্ট এডওয়ার্ডস৷ তাঁরই গবেষণার ফলে পৃথিবীর প্রথম টেস্টটিউব শিশু জন্মগ্রহণ করেছিল৷

https://p.dw.com/p/PUnp
নোবেল বিজয়ী রবার্ট এডওয়ার্ড্সছবি: AP

প্রতিবছরই নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণার ক্ষণটিতে টান টান উত্তেজনা তৈরি হয়৷ কে কোন বিষয়ের জন্য এবারে নোবেলটি পাচ্ছেন সেটি নিয়ে৷ যাক, এবারের এই অপেক্ষার পালা শেষ হয়েছে৷ পুরস্কার কমিটি এই সোমবার জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের চিকিৎসাবিজ্ঞানী রবার্ট এডওয়ার্ডস, যার গবেষণার বদৌলতে পৃথিবীর প্রথম টেস্টটিউব শিশু জন্মগ্রহণ করেছিল, চিকিৎসাশাস্ত্রে ২০১০ সালের নোবেল পুরস্কারটি তিনি পেয়েছেন৷

Louise Brown, das erste Retortenbaby der Welt
এই সেই লুইস ব্রাউন, ১৯৮৩ সালেছবি: AP

পৃথিবীর প্রথম টেস্ট টিউব শিশু

লুইস ব্রাউনের কথা মনে আছে! ভাবছেন কে এই লু্ইস ব্রাউন? ১৯৭৮ সালে জন্মগ্রহণ করা পৃথিবীর প্রথম টেস্ট টিউব শিশুটির নাম লুইস ব্রাউন৷ রবার্ট এডওয়ার্ডসের যুগান্তকারী গবেষণার সাফল্যেই পৃথিবীতে আসতে পেরেছিল লুইস৷ আর রবার্টের এই গবেষণার সাফল্য হাসি ফুটিয়েছিল পৃথিবীর প্রজনন অক্ষম হাজারো দম্পতিদের ম্লানমুখে৷

কারোলিনস্কা ইন্সটিটিউট জানিয়েছে, চিকিৎসাশাস্ত্রে অবদান রাখার জন্য ৮৫ বছর বয়স্ক চিকিৎসাবিজ্ঞানী রবার্ট এডওয়ার্ডস ১০ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রাউন মূল্যের এই পুরস্কারটি পেয়েছেন ৷ প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে রবার্টের এই যুগান্তকারী গবেষণা সম্পর্কে জানিয়েছে, ‘তাঁর এই গবেষণা পৃথিবীর প্রায় ১০ শতাংশ নিঃসন্তান দম্পতির জন্য আশার আলো জাগিয়ে তুলেছিল৷ এই সব আশাহত দম্পতিদের জন্য তাঁর এই গবেষণা কর্ম মানবিকতার তুল্যমূল্যে মানব জাতির জন্য মহার্ঘ্য একটি সাফল্য৷'

শুরু হয়েছিল যেভাবে

Noblepreis Plakette Nobel Prize medallion over text background, partial graphic
নোবেল প্রাইজের সম্মানি দশ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রাউনছবি: AP

রবার্ট এডওয়ার্ডস ১৯৫৫ সালের দিকে তাঁর এই গবেষণার কাজটি শুরু করেছিলেন৷ ১৯৬৮ সালে এসে গবেষণাগারে কৃত্রিমভাবে মানুষের ডিম্বাণু নিষিক্ত করার ক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছিলেন৷ পরবর্তীতে প্যাট্রিক স্টেপটো'র সঙ্গে মিলে এবিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সমর্থ হয়েছিলেন৷ প্যাট্রিক স্টেপটো ১৯৮৮ সালে মৃত্যুবরণ করেন৷

প্রজননে অক্ষম দম্পতিদের জন্য আশার আলো বয়ে এনেছিল রবার্টের এই সাফল্য৷ বিষয়টি এখন ঝামেলাহীন আর সাদামাটা শোনালেও সেসময়ের পৃথিবীর প্রেক্ষিতে রবার্টকে তাঁর এই উদ্যোগটির জন্য নানান হ্যাঁপাই পোহাতে হয়েছিল৷ এরমধ্যে চার্চের চোখ রাঙানি থেকে শুরু করে সরকার, মিডিয়া এমনকি তাঁর সহকর্মীদের অনেকেই সেসময় রবার্টকে এড়িয়ে গিয়েছিলেন৷

কিন্তু আজ রবার্ট এবং প্যাট্রিক স্টেপটো'র এই যুগান্তকারী গবেষণার কল্যাণে পৃথিবীর প্রায় ৪ মিলিয়ন টেস্টটিউব শিশু বিবিধ কারণে প্রজনন অক্ষম বাবা-মার ঘর আলো করে আছে৷ তাঁদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে রবার্ট এডওয়ার্ডস এর যুগান্তকারী এই গবেষণা৷

উল্লেখ্য, বরাবরই চিকিৎসাশাস্ত্রে অবদানের জন্য নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নামটি সবার আগে ঘোষিত হয়ে থাকে৷ ডিনামাইটের আবিষ্কারক আলফ্রেড নোবেলের উইল অনুযায়ী ১৯০১ সাল থেকে বিজ্ঞান, সাহিত্য এবং শান্তির ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য এই পুরস্কারের প্রচলন হয়েছিল৷

প্রতিবেদন: হুমায়ূন রেজা

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন