চকবাজারের ঐতিহ্যবাহী ইফতার
চারশ’ বছরের পুরোনো ঢাকা শহরে আছে নানান ঐতিহ্য৷ চকবাজারের ইফতারির আয়োজন সেই ঐতিহ্যেরই একটি অংশ৷ মুঘল আমল থেকেই এর শুরু৷
ভিড় অনেক
রমজান মাসের প্রতিদিন দুপুরের পর পুরনো ঢাকার চকবাজার শাহী মসজিদের সামনের সড়কে রোজাদাররা ভিড় জমান৷ বিকেলে সেই ভিড় অনেক বেড়ে যায়৷
ভ্রাম্যমাণ দোকান
চকবাজারে ইফতারি বিক্রেতাদের অধিকাংশই বংশ পরম্পরায় দক্ষ হয়ে ওঠা কারিগর৷ পুরো মাস জুড়েই তাঁরা শাহী মসজিদের সামনের রাস্তার দু’ধারে ভ্রাম্যমাণ দোকানে ইফতারির পসরা সাজিয়ে বসেন৷
রোস্তম মিয়ার সুতি কাবাব
চকবাজারের ঐতিহ্যবাহী রোস্তম মিয়ার সুতি কাবাব৷ দাদার হাত ধরে বংশ পরম্পরায় এ খাবারটি এখন তিনি তৈরি করেন৷ ৫২ পদের মশলা দিয়ে গরু আর খাশি মিলিয়ে তৈরি হয় এ কাবাব৷
দইবড়া
চকবাজারের আরেক ঐতিহ্যবাহী ইফতারি দইবড়া৷ চকবাজারের আব্দুল জব্বার মিয়ার দাদার হাত ধরে এ ব্যবসাটি এখন তাঁর হাতে৷
বড় বাপের পোলায় খায়
এটি চকবাজারের একটি ইফতারি পদের নাম৷ ঐতিহ্যবাহী এই খাবারটি তৈরিতে ডিম, গরুর মগজ, আলু, ঘি, কাঁচা ও শুকনো মরিচ, গরুর কলিজা, মুরগির মাংসের কুচি, মুরগির গিলা কলিজা, সুতি কাবাব, মাংসের কিমা, চিড়া, ডাবলি, বুটের ডাল, আর ১৬ ধরনের মসলার প্রয়োজন৷ এ রকম ৩১ ধরনের খাবার একসঙ্গে মাখিয়ে তৈরি হয় এই খাবার৷
শাহী জিলাপি
এ রকম একটি জিলাপির আকার এক কেজিরও বেশি হয়৷
অন্যান্য পদ
চকবাজারের ইফতারির মধ্যে আরো আছে কচুরি, ফালুদা, ঘোল, বিভিন্ন ধরণের কাবাব, হালিম, ঘুঘনি, পাকোড়া, কচুরি, ফালুদা, ঘোল, আলুচপ, পেঁয়াজু, বেগুনি, নিমকি, সমুসা, ফুলুরি, চানা ইত্যাদি৷
আছে খেজুরও
রমজান মাসে নানান ধরনের খেজুরের পসরা নিয়েও চকবাজারে বসেন কোনো কোনো বিক্রেতা৷
স্বাস্থ্যকর?
বহুকাল ধরে চলে আসা চকবাজারের অনেক ইফতারির পদই তৈরি ও বিক্রি হয় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে৷
সংবাদকর্মীদের ভিড়
পুরো রোজার মাস জুড়েই চকবাজারের ইফতারির বাজারে সংবাদকর্মীদের আনাগোনা দেখা যায়৷ দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমে ঐহিত্যবাহী ইফতারির নানান আয়োজন তুলে ধরেন তাঁরা৷
অনেকের পছন্দ ফল
চকবাজারের ইফতারির মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি অংশ বিভিন্ন রকম ফলমূল৷ সারাদিন রোজা রাখার পর রসালো এসব ফল অনেকেরই পছন্দের৷
গরম খাবারের স্বাদ
চকবাজারের ইফতারির বাজারে সবচেয়ে বেশি ক্রেতার সমাগম ঘটে আসরের নামাজের পর৷ গরম গরম ইফতারির স্বাদ নিতে অনেকেই শেষ বেলায় ইফতারি কিনতে পছন্দ করেন৷