1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঘরোয়া জিনিস দিয়ে আলো!

২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

বাইরে অন্ধকার, হয়ত কুয়াশা৷ তারই মধ্যে লাইট এফেক্টস দিয়ে এক সম্পূর্ণ নতুন মায়াজগৎ সৃষ্টি করেন ‘দ্রাইহুন্ড’ শিল্পীগোষ্ঠীর তারেক মাওয়াদ আর ফ্রিডরিশ ভ্যান স্কোর৷ এই সব লাইট এফেক্টস আসে অতি সাধারণ, ঘরোয়া সব জিনিসপত্র থেকে৷

https://p.dw.com/p/2Y6wq
DW Sendung Euromaxx Lichtkollektiv
‘দ্রাইহুন্ড’ এর একটি কাজছবি: DW

সাধারণ যেভাবে অনন্য হয়ে ওঠে

মুক্ত প্রকৃতিতে আলো ছড়ানো কিছু অদ্ভুত আকৃতি, যেন কোনো পরাবাস্তববাদী ছবি৷ আসলে ‘লুসিড’ নামের শর্টফিল্মটির কিছু শট৷ ছবিটি বানিয়েছে ‘দ্রাইহুন্ড’ নামের একটি জার্মান শিল্পীগোষ্ঠী৷

মজার ব্যাপার হলো, এখানে কিন্তু কম্পিউটার অ্যানিমেশনের খেলা নেই৷ বুদ্ধিতে যার ব্যাখ্যা মেলে না, এমন ইনস্টলেশনগুলিও বাস্তব৷ ওগুলো সত্যিই এই জায়গায় বসানো হয়েছে৷

তারেক মাওয়াদ আর ফ্রিডরিশ ভ্যান স্কোর একদিকে পায়ে হেঁটে, অন্যদিকে তাদের সৃজনশীলতা ব্যবহার করে এই মায়ালোক সৃষ্টি করেছেন৷ নিজে থেকে আলো ছড়ায় এমন তার কিংবা পাত ছাড়াও, মাঝেমধ্যে অদ্ভুত সব পদার্থ ব্যবহার করে তাদের ম্যাজিক দেখান৷

আলো ছড়ানোর এ অভিনব কৌশল সম্পর্কে তারেক মাওয়াদ বলেন,‘‘আলো ছড়ায়, এমন প্রায় সব কিছু ব্যবহার করতে আমরা রাজি৷ শুধু দেখতে হবে, সেটাকে কোথায়, কীভাবে বসানো যায়৷’’

ফ্রিডরিশ ভ্যান স্কোর জানালেন, বিষয়টা খুব কঠিন নয়৷ তাঁর মতে, ‘‘আমরা যে সব পদ্ধতি আর জিনিসপত্র ব্যবহার করি, তার সবই দৈনন্দিন ব্যবহারের জিনিস – কিন্তু একটু বদলে নেওয়া হয়েছে৷ যেমন কোনো বাতি কিংবা ঐ ধরনের কিছু, ধরুন এই গোলকটা ছিল ইকেয়ার একটা ল্যাম্প৷ এছাড়া আমরা প্রোজেকশন নিয়েও কাজ করেছি৷ যেমন একটি শটে একটি ত্রিভুজ আছে, যা আমরা পিচবোর্ড থেকে কেটে প্রোজেক্ট করেছি, সহজ একটা রং দিয়ে৷’’

দু'জনে সহজ কিন্তু চতুর সব পন্থায় কাজ করেন৷ আলোর ফানুসগুলো নাইলনের তারে বেঁধে ঘুড়ির মতো করে ওড়ানো হয়৷

তাদের নতুন ফিল্মের জন্য দুই শিল্পী অস্ট্রিয়া আর আইসল্যান্ডে গেছেন৷ জনহীন প্রান্তরে বেশ কয়েক সপ্তাহ কাটিয়েছেন – দু’জনে মিলে৷ কী টানে তাদের? অ্যাডভেঞ্চার?

তারেক মাওয়াদ জানালেন, ‘‘আমরা এই অন্ধকারময় পরিবেশ, এই কুয়াশা ভালো লাগে – আঁধার নামলেও৷ তা থেকে যদি দুঃখ অথবা বিষাদের অনুভূতি হয়, তা সত্ত্বেও৷’’

ফ্রিডরিশ ভ্যান স্কোর মনে করেন, এটা এমন একটা অনুভূতি, যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়৷ তাঁর মতে, অনুভূতিটা আসে বাইরে, প্রকৃতির ক্রোড়ে, ও ঐ রূপ নেয়৷

দ্রাইহুন্ড-এর ইনস্টলেশন কখনোই বেশিক্ষণ অন্ধকার থাকে না৷

২০১৪ সালে এই দুই শিল্পী ‘‘বায়োলুমিনেসেন্ট ফরেস্ট’’ নাম দিয়ে একটি শর্টফিল্ম তৈরি করেন৷ এখানেও যাবতীয় আলোর কারিকুরি সরাসরি পারিপার্শ্বিকের ওপর প্রোজেক্ট করা হয়েছে৷

প্রতিবেদন: ফ্রান্সিস্কা ভার্টেনব্যার্গ/এসি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ