1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গ্রিস থেকে মুখ ফিরাচ্ছে পর্যটকরা

২৩ মে ২০১০

গ্রিস ছিল পর্যটকদের স্বর্গরাজ্য৷ ‘ছিল’ বলছি এজন্য যে, পরিস্থিতি দ্রুতই বদলে যাচ্ছে৷ ব্যাপক বাজেট ঘাটতি কাটাতে সরকারের ব্যয় সঙ্কোচ নীতির বিরুদ্ধে চলছে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ, মরছে মানুষ৷ ফলে গ্রিসকে নিরাপদ মনে করছে না পর্যটকরা৷

https://p.dw.com/p/NVBq
গ্রিসের শত শত দ্বীপ আর পরিস্কার নীল পানি-র আবেদন কিন্তু পর্যটকদের কাছে নেহাত কম নয়ছবি: picture-alliance/chromorange

টেবিলে থাকা তালিকা থেকে একের পর এক নাম কেটে চলেছেন মারিয়া৷ একে তো আর্থিক মন্দার করাণে অবস্থা কাহিল, তার ওপর নিত্য নতুন প্রতিবাদ বিক্ষোভ কর্মসূচির ফলে গ্রিসের ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন পর্যটকরা৷ আর তাই, মারিয়ার মতো হোটেল কর্মীদের কাজ এখন শুধু কোন কোন পর্যটক ভ্রমণ প্রত্যাহার করছেন - তা দেখাশোনা করা৷

অথচ গ্রিসের শত শত দ্বীপ আর পরিস্কার নীল পানি-র আবেদন কিন্তু পর্যটকদের কাছে নেহাত কম নয়৷ সঙ্গে রয়েছে গ্রিসের অতীত ইতিহাসের দুর্নিবার আকর্ষণ৷ তারপরও মন গলছে না পর্যটকদের৷ কারণ আর্থিক মন্দার হাত থেকে বাঁচতে গ্রিস সরকার যে ব্যয় সঙ্কোচ নীতি প্রকাশ করেছে, তার প্রতিবাদে উত্তপ্ত রাজপথ৷ হতাহতের ঘটনাও ঘটছে নিয়মিত৷ আর তাই, লোভনীয় প্রস্তাব সত্ত্বেও গ্রিস থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন পর্যটকরা৷

মারিয়া জানালেন, আমি অত্যন্ত শঙ্কিত৷ গ্রিসের একমাত্র সম্বল পর্যটন, সমুদ্র আর পরিবেশ৷ ফলে, যারা এর ক্ষতি করছেন, তারা জানেননা কতবড় সর্বনাশের দিকে এগোচ্ছি আমরা৷

মারিয়ার এই শঙ্কা অমুলক নয়৷ হোটেল মালিকরা জানাচ্ছেন, ৫ই মে'র পর থেকে ২৭ হাজার রাতের হোটেল বুকিং বাতিল হয়েছে৷ দাম কমানো, এমনকি বিনা খরচায় এক রাত কাটানোর আমন্ত্রণও এখন আর নিচ্ছেন না পর্যটকরা৷ জার্মানির পর্যটক সংস্থাগুলোও জানাচ্ছে, গত কয়েকদিনে গ্রিস ভ্রমণে ইচ্ছুকদের সংখ্যা কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ৷ ব্রিটেনের ক্ষেত্রে অবশ্য এই হার ২৪ শতাংশ৷

গ্রিস নিয়ে পর্যটকদের দুশ্চিন্তার নমুনা দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন ভ্রমণ বিষয়ক ওয়েবসাইটেও৷ ট্রিপএডভাইজর ডট কম নামক সাইটে এক পর্যটক লিখেছেন, আমাদের সঙ্গে সন্তান রয়েছে৷ তাই, এমন পরিস্থিতিতে গ্রিস ভ্রমণ ঠিক হবে কিনা তা বুঝতে পারছি না৷

প্রসঙ্গত, গ্রিসের অর্থনীতির এক পঞ্চমাংশই নির্ভর করে পর্যটনের ওপর৷ দেশটির প্রতি পাঁচজনের একজন কাজ করেন পর্যটন খাতে৷ আর তাই, চলমান আন্দোলন গ্রিসের অর্থনীতিকে যে আরো পঙ্গু করছে, তা বলার অপেক্ষা রাখেনা৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ