1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অপসারণের আদেশ

২ মার্চ ২০১১

গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অপসারণ করা হয়েছে৷ বুধবার অপসারণের এ আদেশ জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক৷

https://p.dw.com/p/10SGv
ড. মুহাম্মদ ইউনূসছবি: AP

অবশ্য গ্রামীণ ব্যাংকের পক্ষে তাদের মুপাত্র ড. মোহাম্মদ ইউনুসকে উদ্ধৃত করে ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ড. মোহাম্মদ ইউনুস এখনো তার পদে বাহাল আছেন৷ বিষয়টি আইনগত ভাবে দেখা হবে৷

আদেশের একটি কপি গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠান হয়েছে৷ ব্যাংক আইনের ৪৫ ধারার ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ ব্যাংক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অপসারণের এ সিদ্ধান্ত নিল৷ এর আগে সোমবার ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ও গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের কাছে পাঠানো বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়, গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের থাকা বৈধ নয়৷ গ্রামীণ ব্যাংকের চাকরির বিধিমালা অনুসারে অবসর গ্রহণের বয়স ৬০ বছর৷ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বয়স ৬০ বছর উত্তীর্ণ হলেও পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুসারে তিনি অনির্দিষ্ট মেয়াদে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদে বহাল আছেন৷

এদিকে গ্রামীণ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক এবং মিডিয়া কোঅর্ডিনেটর জান্নাতই কাওনাইন ডয়চে ভেলেকে জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের আদেশের কপি তারা পেয়েছেন৷ বিষয়টি আইনগত এবং তারা তা আইনগত ভাবেই মোকাবেলা করবেন৷ ড. মুহাম্মদ ইউনূস এখনো গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে বহাল আছেন৷

সাবেক অর্থ সচিব এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান ডয়চে ভেলেকে জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের আদেশ আইন সম্মত হয়নি৷ এটি গ্রামীণ ব্যাংকের জন্য ক্ষতির কারণ হবে৷ তবে এসব বক্তব্যের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি৷

১৯৭৬ সাল থেকে চ্ট্টগ্রাম এলাকায় ড. ইউনূস গ্রামীন ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের মধ্য দিয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের কাজ শুরু করলেও এটি ব্যাংক হিসেবে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পায় ১৯৮৩ সালে৷ বর্তমানে সারা দেশে ব্যাংকের ২৫৬৫টি শাখা এবং ৮৩৫৪৭৫৪ জন গ্রাহক বা সদস্য রয়েছেন৷ এর মধ্যে ৯৭ ভাগই মহিলা৷ ব্যাংকের মালিকানা ৯০ ভাগ গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্যদের৷ ১০ ভাগ সরকারের৷ শুরু থেকেই ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে আছেন৷ ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূস শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক