1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গোলাম আযমের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু

১০ আগস্ট ২০১০

গোলাম আযমের বিরুদ্ধে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্তকারী সংস্থা৷

https://p.dw.com/p/OhUT
গোলাম আযমছবি: Harun Ur Rashid Swapan

তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক খান জানিয়েছেন, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে আলাদা মামলা হবে৷ অন্যদিকে, অসুস্থতার কারণে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীকে মঙ্গলবার ট্রাইবুনালে হাজির করা হয়নি৷ ২৪শে আগস্ট তাকে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷

অভিযোগ রয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় সারাদেশে গণহত্যা, ধর্ষণ, হামলা আর লুটপাটের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন গোলাম আযম৷ তিনি তখন জামায়াতে ইসলামীর পূর্ব পাকিস্তানের আমির ছিলেন৷ স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন বাইরে থেকে '৮০'র দশকে দেশে ফেরেন তিনি৷ এখন তিনি দেশেই আছেন৷

গোলাম আযম গ্রেপ্তার না হলেও তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তদন্ত কর্মকর্তারা৷ তার বিরুদ্ধে পরিকল্পনাকারী হিসেবে আলাদা মামলা হবে৷ জানালেন, তদন্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাজ্জাক খান৷

মনে করা হয়, বয়সের কারণে আমিরের পদ ছেড়ে দিলেও এখনো গোলাম আযমের নির্দেশেই জামায়াতে ইসলামী চলে৷ ঢাকার মগবাজারে কাজী অফিস লেনে তার বাড়ির ওপর কড়া নজর রাখছে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা৷ তার দেশ ত্যাগের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়েছে বলে তদন্ত কর্মকর্তারা জানান৷

এদিকে, অসুস্থতার কারণে মঙ্গলবার জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীকে কারাগার থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে হাজির করা হয়নি৷ ট্রাইবুনাল আগামী ২৪শে আগস্ট তাকে হাজির করার নির্দেশ দেন৷ ট্রাইবুনালে সাঈদীর আইনজীবী তাকে যুদ্ধাপরাধ মামলায় গ্রেপ্তার না দেখানোর আবেদন করেছেন৷ ওই দিন সাঈদী ছাড়াও জামায়াত আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, কেন্দ্রীয় নেতা মো. কামারুজ্জামান ও আব্দুল কাদের মোল্লার আবেদনগুলোর নিষ্পত্তি হবে৷ তারা গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে রয়েছেন৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: মনিরুল ইসলাম