গাল্ফ নেতাদের সঙ্গে ওবামা
২১ এপ্রিল ২০১৬জঙ্গি এই সংগঠনের বিরুদ্ধে আকাশ থেকে বিমান হামলার অভিযান চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র৷ গাল্ফ অঞ্চলের দেশগুলো এতে সহায়তা করছে৷ তবে বৃহস্পতিবারের আলোচনায় আইএস-এর বিরুদ্ধে লড়তে সামরিক সহায়তা ছাড়াও আর্থিক ও রাজনৈতিক সহায়তা চাইবে যুক্তরাষ্ট্র৷ ইতিমধ্যে গাল্ফ দেশগুলোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে কথা বলেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশটন কার্টার৷ বুধবার গাল্ফ মিত্রদের তিনি বলেন, ইরাকে আইএসকে পরাজিত করতে শিয়াপ্রধান দেশটিতে বিভিন্ন ইসলামি গোষ্ঠীর সমন্বয়ে একটি সরকার গঠন করা প্রয়োজন৷ সেক্ষেত্রে সুন্নিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে৷ উল্লেখ্য, গাল্ফ অঞ্চলের ছয়টি দেশের মধ্যে ওমান ছাড়া বাকি দেশগুলো সুন্নিপ্রধান৷
এছাড়া আইএস-এর কাছ থেকে ইরাকের যে অঞ্চলগুলো মুক্ত করা গেছে সেখানকার অবকাঠামো পুনর্নিমাণকাজে গাল্ফ দেশগুলোর কাছ থেকে আর্থিক সহায়তাও চেয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী৷
ওবামার সঙ্গে গাল্ফ অঞ্চলের শীর্ষনেতাদের বৈঠকে এই বিষয়গুলো আবারও উত্থাপিত হবে৷ এছাড়া শিয়াপ্রধান ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান সম্পর্কের বিষয়টিও গাল্ফ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ কেননা, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব পশ্চিমা বিশ্ব ইরানের সঙ্গে একটি পরমাণু চুক্তি করেছে৷ বিষয়টি ভালোভাবে নেননি গাল্ফ নেতারা৷ কারণ শিয়াপ্রধান ইরানকে তাঁরা অত্র অঞ্চলের শান্তির বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধক মনে করেন৷
সৌদি বাদশার সঙ্গে বৈঠক
বুধবার সৌদি বাদশা সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন ওবামা৷ সে সময় সৌদি আরবের মানবাধিকার সমস্যা নিয়ে দুই নেতার মধ্যে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস৷ তবে ঠিক কোন বিষয়ে কথা হয়েছে সেটা জানায়নি তারা৷
বৃহস্পতিবার গাল্ফ নেতাদের সঙ্গে ওবামার বৈঠকে ঐ দেশগুলোতে নারীর সমানাধিকার ও সেখানে বাস করা শিয়াদের মানবাধিকারের বিষয়টি তেমন গুরুত্ব পাবে না বলে জানাচ্ছে বার্তা সংস্থাগুলো৷ যদিও বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলার জন্য ওবামার প্রতি আহ্বান ও চাপ রয়েছে৷
ইউরোপে পরমাণু হামলা চালাবে আইএস!
ইউরোপীয় কমিশন ও ন্যাটোর দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন৷ লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে তাঁরা বলেন, আইএস সহ অন্যান্য সন্ত্রাসীরা পরমাণু উপাদান সংগ্রহের ব্যাপারে আগ্রহী৷
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)