জার্মানিতে গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ব্যবহার করলে যে শাস্তি
জার্মানিতে গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ব্যবহার করা শুধু অপরাধই নয়, এতে চালক ড্রাইভিং লাইসেন্স পর্যন্ত হারাতে পারেন৷ সাইকেল চালাকদের ক্ষেত্রেও তথৈবচ৷ সম্প্রতি এর জন্য জরিমানার পরিমাণ আরো বাড়ানো হয়েছে৷
জরিমানা আরো বেড়েছে...
আগে গাড়ি চালানোর সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করলে জরিমানা ছিল ৬০ ইউরো৷ কিন্তু বর্তমানে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১০০ ইউরো, অর্থাৎ আনুমানিক বাংলাদেশি দশ হাজার টাকা৷ এছাড়াও এমনটা ধরা পড়লে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ অফিস থেকে চালক পান ‘দুই পয়েন্ট’, যা কিনা দু’শ ইউরো পর্যন্ত হতে পারে৷ এমনকি সাময়িকভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্সও হারাতে পারেন চালক৷
ট্যাবলেট কিংবা ল্যাপটপ
একই নিয়ম গাড়িতে ট্যাবলেট কিংবা ল্যাপটপ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও৷ অর্থাৎ গাড়ি চালানোর সময় শুধু স্মার্টফোন নয়, ট্যাবলেট কিংবা ল্যাপটপ ব্যবহারেও একই আইন প্রযোজ্য
জার্মানির ট্রাফিক আইন-কানুন খুবই কড়া
জরিমানার পরিমাণ অবশ্য নির্ভর করে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় ঘটা অ্যাক্সিডেন্টটি কত বড় তার ওপর৷ যত বড় দুর্ঘটনা বা ক্ষতি হয়, সে অনুযায়ী হয় জরিমানার পরিমাণ৷
সাইকেল চালক
অনেক সাইকেল চালককেই মোবাইলে কথা বলতে দেখা যায়৷ এ অবস্থায় ধরা পড়লে নতুন আইন অনুযায়ী তাঁকে জরিমানা হিসেবে দিতে হয় ৫৫ ইউরো৷ যদিও এর আগে ঐ একই অপরাধে জরিমানার পরিমাণ ছিল ২৫ ইউরো৷
বোরকা পরে বা মুখ ঢেকে গাড়ি চলানো নিষেধ
পুরো মুখ ঢেকে বা বোরকা পরে গাড়ি চালানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে জার্মানিতে৷ কেউ মুখ ঢেকে গাড়ি চালালে তাঁকে গুণে গুণে দিতে হবে ৬০ ইউরো৷
উদ্ধারকারী গাড়ি বাধা পেলে
কারো ভুল পার্কিংয়ের কারণে উদ্ধারকারী গাড়ি, অর্থাৎ অ্যাম্বুলেন্স, দমকল কর্মী বা অন্য কোনো ‘ইমারজেন্সি’ গাড়ির চলাচল বাধাগ্রস্ত হলে, নতুন আইনে তাকে গুণতে হবে ২০০ ইউরো৷ আর ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ বা গাড়ি রেজিস্ট্রি অফিস থেকে চালক পাবে দুই পয়েন্ট, অর্থাৎ দু’শ ইউরো৷ অথচ এ ধরনের অপরাধে আগে মাত্র ২০ ইউরো জরিমানা দিয়েই পার পাওয়া যেত৷
আরো নিয়মকানুন
এছাড়াও গাড়ি চালকদের বিভিন্ন অপরাধের জন্য জার্মানিতে রয়েছে নানা রকম আইনকানুন৷ অপরাধের মাত্রা বুঝে অপরাধীকে জেল পর্যন্ত খাটতে হতে পারে৷ তাই কিন্ডারগার্টেন, স্কুল বা আবাসিক এলাকায় গাড়ি চালককে ভীষণভাবে সতর্ক থাকতে হয়৷ এ সব জায়গায় ‘স্পিড লিমিটের’ সামান্য হেরফের হলেই জরিমানা! সেকারণেই হয়ত গাড়ি চালকরা, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের অনেকেই ‘ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ইন্সটিটিউট’ সম্পর্কে সচেতন৷