1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘গাজায় বাংলাদেশি শহিদ’

৬ আগস্ট ২০১৪

গাজায় দু’দিন ধরে যুদ্ধবিরতি চলছে৷ ফলে গাজাবাসীর জীবনে সাময়িক স্বস্তি এসেছে৷ এদিকে বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে জানা গেছে, গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে নিহত হয়েছেন এক বাংলাদেশি যুবক৷

https://p.dw.com/p/1CpYi
Israel Krieg Gaza Abzug Feuerpause Waffenstillstand Panzer Licht Staub 04.08.2014
ছবি: JACK GUEZ/AFP/Getty Images

সামহয়্যার ইন ব্লগে হাসিবুল ইসলাম বাপ্পী লিখেছেন,‘‘ফিলিস্তিনের গাজায় হামিদুর রহমান নামে এক বাংলাদেশি শহিদ হয়েছেন৷ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তিনি শহিদ হয়েছেন বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবারের সদস্যরা৷ নিহত হামিদুর রহমান সিলেট জেলার বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়নের উত্তর মিরেরচর গ্রামের বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন তাঁরা৷ দীর্ঘদিন ধরে হামিদুর সপরিবারে যুক্তরাজ্যে বসবাস করে আসছিলেন৷ সেখান থেকে সরাসরি ১০ জনের একটি দলের সঙ্গে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেন৷ প্রায় দুই মাস আগে পরিবারকে না জানিয়ে গোপনে তিনি যুদ্ধে যান বলে পরিবার সূত্রে নিশ্চিত করেছে৷ যুদ্ধকালে ঈদুল ফিতরের আগের দিন তিনি মারা গেলে তাঁর সহকর্মীরা হামিদুরের পরিবারকে টেলিফোনে তাঁর মৃত্যু সংবাদ জানান৷''

Gaza Feuerpause 5.8.2014
‘‘পশ্চিমাদের ইশারা ব্যতীত একটি ডলারও ইহুদিরা নিজেদের মতো ব্যয় করতে পারে না''ছবি: Reuters

বাংলাদেশের বিভিন্ন অনলাইন সংবাদ সংস্থাও এই খবর প্রকাশ করেছে৷ সেখানে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য থেকে চলে যাওয়ার পর হামিদুরের কক্ষে তাঁরই হাতের লেখা একটি চিঠি পেয়ে মা-বাবা জানতে পারেন হামিদুর যুদ্ধে গেছেন৷ এরপর থেকে পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল না৷ গত বুধবার এক ব্যক্তি ফোন করে হামিদুর রহমানের পিতাকে জানায়, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধ করে হামিদ নিহত হয়েছেন৷

এই ব্লগে সরকার পায়েল লিখেছেন ইসরায়েল ও তার পেছনে যাঁদের ভূমিকা, তাঁদের নিয়ে৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘ইহুদি সম্প্রদায়কে ইউরোপে কিভাবে দেখা হতো তার বড় উদাহরণ হতে পারে উইলিয়াম শেকসপিয়ারের ‘মার্চেন্ট অফ ভেনিস' নাটকের শাইলক চরিত্রটি৷ যে শরীরের মাংস কেটে তার পাওনা আদায়ের দাবি জানায়৷ সম্পূর্ণ ভিন্ন সমাজের প্রেক্ষাপটে নিয়ে লেখা রাশিয়ান লেখক নিকোলাই গোগল তাঁর তারাস বুলবা উপন্যাসে আরেক ইহুদি সুযোগসন্ধানী চরিত্র ইয়ানকেলকে সৃষ্টি করে দেখিয়েছেন তাঁদের সম্পর্কে তখনকার শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবিদের মনোভাব৷''

তাঁর মতে, যতই আরবে পশ্চিমের অবস্থান শক্ত হচ্ছে ততই ইসরায়েল রাষ্ট্রের যৌক্তিকতা হারাচ্ছে৷ ইহুদির অর্থ, বিত্ত সবই দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর, তাও ব্রিটেন, অ্যামেরিকা, ফ্রান্স বা মিত্র শক্তির দয়ায় চলে ইহুদিদের সকল ব্যবসা৷ ইহুদিরা বহু আগে থেকেই বিতাড়িত যাযাবর উদ্বাস্তু৷ তাঁদের দেয়ার মতো বা তাঁদের কাছ থেকে নেয়ার মতো কিছু কখনই ছিল না৷''

সরকার পায়েল আরো লিখেছেন, ‘‘দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর পৃথিবীর কোথাও ইহুদিদের এক খণ্ড ভূমি ছিল না৷ আজ ইহুদিরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আছে বলা হয় ঐ পশ্চিমাদের দানেই বা একটু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে সেই মিত্র শক্তির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এরা কর্মরত৷ ইহুদিরা সব বড় ব্যবসায়ী খুব ভালো কথা৷ কিন্তু তাঁদের এই ব্যবসার সুযোগ কারা দিল ? কে তাঁদের পুঁজি দিল? উত্তর- মিত্র শক্তি৷ ইহুদিদের ব্যবসা কি তাঁদের নিজের কোনো ভূমিতে? না ওঁদের সকল ব্যবসা পশ্চিমা মিত্র শক্তির দেশগুলোতে৷ সুতরাং পশ্চিমাদের ইশারা ব্যতীত একটি ডলারও ইহুদিরা নিজেদের মতো ব্যয় করতে পারে না৷ যে সামরিক যন্ত্রপাতি ইহুদিরা আবিষ্কার করেছে দাবি করে তদন্ত করলে দেখা যাবে, তার ১০০ ভাগ হয় আমেরিকা বা ব্রিটিশরা করেছে৷''

সংকলন: অমৃতা পারভেজ

সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য