গত বছর বাংলাদেশের সেরা অর্জন ‘‘বাংলাওয়াশ’’
১ জানুয়ারি ২০১১নানা মতে ও পথে বিভক্ত দেশের মানুষের জন্য কালে ভদ্রে যে দুয়েকটি উৎসবের উপলক্ষ তৈরি হয় সেটি কেবল খেলাধুলার কারণে৷ এই ক্ষেত্রে গত এক যুগ ধরে সবচেয়ে বেশি উপলক্ষ হয়েছে ক্রিকেট৷ বিদায়ি বছরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি৷
দিন দিন পরিণত হচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট৷ বিদায়ি ২০১০ সালটি যেন সেই জানান দিয়ে দিলো গোটা বিশ্বকে৷ অসাধারণ কিছু সাফল্য এবার যোগ হয়েছে বাংলাদেশের মুকুটে৷ সব ভালো যার শেষ ভালো তার৷ বাংলাদেশ দলের ২০১০ সালের পারফরমেন্সের দিকে তাকালেও তা দেখা যায়৷ গত অক্টোবরে নিউজিল্যান্ডকে ৪-০ তে হোয়াইট ওয়াশ করে ক্রিকেট বিশ্বে প্রথমবারের মত বাংলাওয়াশ শব্দের আমদানি করেছে বাংলাদেশ৷ অবিশ্বাস্য এই সাফল্য ধরে রেখেছে সাকিব বাহিনী জিম্বাবোয়ের বিপক্ষে তাদের পরবর্তী সিরিজেও৷ তার সঙ্গে যোগ হয়েছে আবদুর রাজ্জাকের টেস্ট হ্যাট্রিক৷ গোটা বছর ধরে সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত পারফরমেন্স এর কথা না-ই বা বললাম৷ আর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তামিম ইকবালের সেই দুটি সেঞ্চুরি বা কীভাবে ভোলা যায়৷ লর্ডসে ৯৪ বলে আর ওল্ড ট্রাফোর্ডে ১০০ বলে সেঞ্চুরি করে তামিম শুধু নিজের জাত নয় বাংলাদেশের ক্রিকেটের মানও তুলে ধরেছেন সকলের সামনে৷ আগামী বিশ্বকাপে সাকিব-তামিমের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দলের সাফল্য হচ্ছে নতুন বছরের অন্যতম প্রত্যাশা৷
ক্রিকেটের পাশাপাশি অন্যকিছুরও একটু খোঁজ নিই৷ বিদায়ি বছরে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর এস এ গেমস হয়ে গেল বাংলাদেশে৷ মোট ১৮টি সোনা জিতলেও তার মধ্যে বিশেষভাবে মনে করতে হয় ফুটবলে সোনা জেতাটা৷ এরপর এশিয়ান গেমসেও বাংলাদেশের একমাত্র সোনা জেতার ইতিহাস৷ সেখানেও চলে আসছে সেই ক্রিকেট৷
তবে ক্রিকেট ফুটবল কিংবা অ্যাথলেটিক্স এর পাশে যে খেলাটি এবার নতুন করে নজর কাড়লো সেটি হচ্ছে গল্ফ৷ আর এর কৃতিত্ব সিদ্দিকুর রহমানের৷ বাংলাদেশে প্রায় অপরিচিত এই খেলাটি এখন মানুষের কাছে ক্রমশ পরিচিত হয়ে আসছে সিদ্দিকুর রহমানের দুর্দান্ত সাফল্যের কল্যাণে৷ পেশাদার গল্ফের জগতে প্রথমবারের মত ব্রুনাই ওপেন জিতে পত্রিকার শিরোনাম হয়ে ওঠেন সিদ্দিকুর রহমান৷ পাশাপাশি দেশের সর্বপ্রথম কোটিপতি খেলোয়াড় হিসেবেও নিজের নাম ইতিহাসে তোলেন এই সাবেক বলবয়৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: জাহিদুল হক