1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রথম মুসলিম মহিলা প্রার্থী

রায়না ব্রয়ার/এসি৩১ আগস্ট ২০১৩

মুসলমান তরুণী জেমিলে গিউসুফ চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সিডিইউ দলে একটি ব্যতিক্রম৷ আগামী সেপ্টেম্বরের সংসদীয় নির্বাচনে তিনি হবেন খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রীদের প্রথম মুসলিম মহিলা প্রার্থী৷

https://p.dw.com/p/19VOX
ছবি: picture-alliance/dpa

জেমিলে গিউসুফের বয়স ত্রিশ৷ জার্মানে যাদের বলা হয় ‘গাস্টআর্বাইটার' অর্থাৎ ‘অতিথি শ্রমিক', সেই ধরনেরই একটি বহিরাগত পরিবারে তাঁর জন্ম৷ সেভাবেই মানুষ হয়েছেন তিনি৷ ‘‘আমার বাবা-মা চেয়েছিলেন, আমি আর আমার ভাই, আমাদের জীবন যেন অন্যরকম হয়৷ সেইজন্য তাঁরা শিক্ষার উপর খুব জোর দিতেন৷ পড়াশুনায় সরাসরি সাহায্য করতে না পারলেও, তাঁরা অন্য সব ভাবে আমাদের সাহায্য করেছেন৷''

তুর্কি-গ্রিক-জার্মান

জেমিলে জাতিতে তুর্কি, যদিও তাঁর জন্ম জার্মানিতে৷ বাবা-মা এসেছিলেন তুরস্ক থেকে নয়, গ্রিসের সংখ্যালঘু তুর্কি সম্প্রদায় থেকে৷ জেমিলের জন্মের দু'বছর পরেই তাঁর মা তাঁকে গ্রিসে পাঠিয়ে দেন, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে থাকতে৷ জেমিলের মা জার্মানিতেই থেকে যান কাজের দায়ে৷ আরো দু'বছর পরে জেমিলেকে জার্মানিতে ফিরিয়ে আনেন তাঁর মা৷ জেমিলে তাঁর ছেলেবেলা কাটান লেভারকুজেনে, পরে বন বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা করেন৷

Cemile Giousouf Bundestagskandidatin CDU
জেমিলে গিউসুফছবি: DW/R. Breuer

অবসর সময়ে জেমিলে নর্ডরাইন ভেস্টফালিয়া রাজ্যে সিডিইউ দলের যে সংগঠনটির হয়ে কাজ করতেন, সেটির নাম হলো জার্মান-তুর্কি-ফোরাম৷ সেখান থেকেই তাঁর রাজনীতির সঙ্গে সংযোগ৷ ‘‘আরো অনেক মানুষের মতো আমিও গোড়ায় ভেবেছিলাম, সিডিইউ দলে অভিবাসীদের কোনো স্থান নেই৷ কিন্তু ২০০৫ সাল যাবৎ সিডিইউতে অনেক পরিবর্তন এসেছে৷ বহিরাগতদের সমাজে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি দলীয় প্রধান নিজের হাতে নিয়েছেন৷'' এক্ষেত্রে সিডিইউ অপরাপর দলগুলিকে অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছে, বলে জেমিলের ধারণা৷

খ্রিষ্টীয়-অখ্রিষ্টীয়

খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রীয় দলের ‘‘খ্রিষ্টীয়'' হওয়ার ব্যাপারে জেমিলে কোনো সমস্যা দেখেন না৷ ‘‘ধর্মবিশ্বাসী মানুষ, তা তারা যে ধর্মেরই হন না কেন, সবাই একই জিনিস চান৷ জার্মানির মুসলিমরা এবং খ্রিষ্টানরা, সকলেই চান যে, স্কুলে ধর্মশিক্ষা দেওয়া হোক৷ কিন্তু সবুজরা তা চায় না৷ তারা চায় স্কুলে নীতিবিদ্যার পাঠ৷''

সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হলে জেমিলে প্রধানত শিক্ষা ও পরিবার সংক্রান্ত বিষয়গুলির প্রতি মনোযোগ দেবেন৷ ‘‘প্রত্যেকটি শিশুর শিক্ষার ভালো সুযোগ পাওয়া উচিত৷ বর্তমানে শিক্ষিত পরিবারের ছেলে-মেয়েদের কলেজ পাস করার সম্ভাবনা সাধারণ পরিবারের ছেলে-মেয়েদের চেয়ে সাতগুণ বেশি৷ সিডিইউ-এর পরিবার সংক্রান্ত নীতি খুবই ভালো, বলে মনে করেন জেমিলে৷ সিডিইউ নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে কিন্ডারগার্টেনের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে; যে সব বাবা-মায়েরা বাড়িতে থেকে ছোট ছেলে-মেয়েদের দেখাশুনা করেন, তাদের জন্য বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ ‘‘এ সবই বহিরাগতদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷''

এখন তিনি সবে প্রার্থী৷ এখনই অন্তত একটি লক্ষ্য অর্জন করেছেন তিনি: সিডিইউ দলের প্রার্থী হয়ে তিনি অন্যান্য বিদেশি-বহিরাগত মানুষদের প্রেরণা দিয়েছেন, সাহস বাড়িয়েছেন, বলে মনে করেন জেমিলে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য