1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চাপে ‘ক্লাইমেট চ্যান্সেলর' ম্যার্কেল

১৪ নভেম্বর ২০১৭

জার্মানির চ্যান্সেলর ‘ক্লাইমেট চ্যান্সেলর' হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন৷ এই পরিচিতি ভবিষ্যতে কতটা যৌক্তিক হবে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে৷ কেননা, জার্মানি কার্বন নির্গমন রোধের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/2nazk
Deutschland | CeBIT 2012
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Gentsch

সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনের পর এক কঠিন পরীক্ষার মধ্যে পড়েছেন জার্মান চ্যান্সেল আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ সম্ভাব্য যে জোট সরকার গড়ার পথে তিনি রয়েছেন, তাতে একদিকে রয়েছে পরিবেশবান্ধব দল গ্রিন পার্টি এবং অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের দল হিসেবে পরিচিত এফডিপি৷ এই দুই সম্ভাব্য জোটসঙ্গীর মধ্যে অমিল অনেক৷ বিশেষ করে পরিবেশের ইস্যুতে গ্রিন পার্টি যতটা কঠোর উদ্যোগ নেয়ার পক্ষে, এফডিপি ততটা নয়৷ বরং দলটি দেখছে বড় বড় কর্পোরেটদের স্বার্থ৷

এ অবস্থায় কার্বন নির্গমন কমানোর যে লক্ষ্যমাত্রায় জার্মানি অতীতে সম্মত হয়েছিল, তা পূরণ হবে না বলেই মনে হচ্ছে৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ম্যার্কেল জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বিশ্ব মঞ্চে বড় বড় বুলি আওড়ালেও জোট সরকার গড়তে গিয়ে সম্ভবত তাঁকে ব্যবসা এবং রাজনীতির স্বার্থে বেশ কিছুটা ছাড় দিতে হবে৷ এমন শঙ্কা থেকেই জার্মানির সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘ডি সাইট' ম্যার্কেলের নীতির সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির মিল রয়েছে বলে মনে করছে৷ পার্থক্য এই যে, ট্রাম্প সততার সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন, লিখেছে পত্রিকাটি৷

এদিকে শনিবার ম্যার্কেল বলেছেন, জার্মানি এবং অর্থনৈতিকভাবে উন্নত অন্যান্য দেশগুলোর বরফ গলা, উষ্ণতা বৃদ্ধি এবং আরো বিরূপ প্রাকৃতিক দুর্যোগ কমাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে৷ সাপ্তাহিক পডকাস্টে এ কথা বলেন তিনি৷ তবে ম্যার্কেল একইসঙ্গে জানিয়েছেন যে, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বিষয়াদি রক্ষার মানে এই নয় যে, জার্মানির মূল শিল্পখাতের উপর বড় আঘাত হানতে হবে৷ যদি বিভিন্ন শিল্পকারখানা জার্মানি থেকে দুর্বল পরিবেশ আইন আছে এমন সব দেশে চলে যায়, তাহলে তা  বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন রক্ষায় তেমন কোনো ভূমিকা রাখবে না বলে মনে করেন তিনি৷

ম্যার্কেলের সিডিইউ দলের সম্ভাব্য অন্যতম জোটসঙ্গী  গ্রিন পার্টি নির্বাচনের আগে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলসেগুলো থেকে কিছুটা সরে আসছে বলে শোনা যাচ্ছে৷ দলটি জোট সরকারে গেলে সঙ্গে সঙ্গে সবচেয়ে পরিবেশ দূষণকারী বিশটি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে কয়লা এবং জীবাশ্ম জ্বালানীভিত্তিক গাড়ি বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল৷ কিন্তু গত সপ্তাহ সম্ভাব্য জোট সরকারের অন্যান্য দলগুলোর চাপে সময়সীমা সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতিগুলো থেকে সরে এসেছে দলটি৷

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমনের হার ১৯৯০ সালের তুলনায় চল্লিশ শতাংশ কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছিল জার্মানি৷ কিন্তু বর্তমান যে অবস্থা তাতে ৩২ শতাংশের বেশি কমাতে পারবে না দেশটি৷ ফলে ২০৩০ সালের ৫৫ শতাংশ এবং ২০৫০ সাল নাগাদ ৯৫ শতাংশ কার্বন নির্গমন রোধের যে সিদ্ধান্ত দেশটি নিয়েছিল, তাও বাস্তবায়ন কঠিন হবে বলে মনে করা হচ্ছে৷

এআই/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য