ক্ষেপণাস্ত্র সজ্জিত ‘ডেস্ট্রয়ার’ নামিয়ে শুরু হলো জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ মহড়া
৩ ডিসেম্বর ২০১০কোরিয় উপদ্বীপে চরম উত্তেজনার মুহূর্তে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় যৌথ নৌ মহড়ার দিকে বিশ্ববাসীর নজর থাকাটা স্বাভাবিক৷ সেটাই হয়েছে৷ জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় একটি বড় দ্বীপ ওকিনাওয়ার কাছে যুক্তরাষ্ট্রের ১০ হাজার সেনা, ২০টি যুদ্ধ জাহাজ এবং দেড়শটি যুদ্ধ বিমান সেই সঙ্গে জাপানের ৩৪ হাজার সেনা, ৪০টি যুদ্ধজাহাজ এবং ২৫০ টি লড়াকু বিমান অংশ নিচ্ছে এই মহড়ায়৷ বলা হচ্ছে, দুই দেশের মধ্যে এটিই এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় মহড়া৷
কতদিন চলবে এই মহড়া?
জাপান-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ৫০ বছরপুর্তি উপলক্ষ্যে এই যৌথ সমর মহড়া চলবে আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত৷
ছড়াবে উত্তেজনা
দক্ষিণ কোরিয়ার একটি দ্বীপে ২৩ নভেম্বর উত্তর কোরিয়ার হামলায় দক্ষিণের নৌসেনা সহ চারজন নিহত, ১৮ জন আহত হবার পর সৃষ্ট উত্তেজনায় এই মহড়া কী আগুনে ঘি ছড়াবে না? এমন প্রশ্নের জবাবে বলা হচ্ছে, উত্তেজনা বাড়তে পারে, এটাই স্বাভাবিক৷
‘ধারালো তরবারি' নামের এ যৌথ মহড়া পর্যবেক্ষণ করতে সিউলের উচ্চ পদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের স্বাগত জানানো হয়েছে, তারা সেখানে আছেন৷ এই মাত্র দিন দুয়েক আগেই উত্তর কোরিয়া তাদের পরমাণু কর্মসূচি অব্যাহত রাখবার ঘোষণা দিয়েছে৷ এই ঘোষণার পর জাপান-যুক্তরাষ্ট্র সামরিক মহড়ায় ক্ষেপণাস্ত্র সজ্জিত ডেস্ট্রয়ারও নামিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷
তবে এই মহড়ার বিষয়ে এখনো কোন বিবৃতি দেয় নি পিয়ংইয়ং৷ তাছাড়া উত্তর কোরিয়ার বিশেষ বন্ধুদেশ বলে পরিচিত যে চীন, যারা দক্ষিণ কোরিয়ার বেসামরিক এলাকায় উত্তর কোরিয়ার হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বান সত্ত্বেও উত্তর কোরিয়াকে নিন্দা জানানো থেকে বিরত ছিল, তারাও এই মহড়া বিষয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানায়নি৷ অন্ততপক্ষে এ পর্যন্ত পাওয়া খবরে তাই জানা যাচ্ছে৷
‘উত্তর পাবে কঠিন শাস্তি'
আজই সৌলে সে দেশের নতুন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কিম কাওয়ান জিন জানিয়েছেন, আমরা অবশ্যই আমাদের বিমানবাহিনীকে দিয়ে ঐ হামলার বদলা নেবো৷ চার তারকার সাবেক এই জেনারেল বলেছেন, উত্তরকে ঐ ঘটনার জন্য শান্তি পেতেই হবে৷
প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক