ক্যালিফোর্নিয়ার শান্তি প্রতিষ্ঠায় ‘গাঁজা সন্ন্যাসিনী’
ক্যালিফোর্নিয়ার স্বঘোষিত ‘গাঁজা সন্ন্যাসিনীরা’ তাদের ক্যানাবিস পণ্য দিয়ে নারীদের জীবনে শান্তি ও সমৃদ্ধি আনার উদ্যোগ শুরু করেছেন৷ ছবিঘরে থাকছে তাঁদের কথা৷
যদি হয় সুজন..
ক্যালিফোর্নিয়ার সেন্ট্রাল ভ্যালিতে অবস্থিত মার্সেড শহরটি যুক্তরাষ্ট্রের মোট উৎপাদনের অর্ধেক ফল, সবজি ও বাদাম উৎপাদন করে৷ আর এই উপত্যকার ‘সিস্টার বা সন্ন্যাসীনীরা’ নিজেদের ফসল অর্থাৎ গাঁজার চাষ ও উৎপাদন নিজেরাই করেন৷
কোনো বলয় নয়
কোনো ক্যাথলিক চার্চের সঙ্গে এই ‘নান’দের কোনো যোগসূত্র নেই৷ চার্চগুলো তাদের অবজ্ঞার চোখেই দেখে৷ সিস্টার কেট বলেছেন, ‘‘আমরা যে কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে, তাই আমাদের কোনো ধর্ম নেই৷ আমরা নিজেদের ছলনাময়ী হিসেবে দেখাতে পছন্দ করি এবং আমরা খ্রিষ্টান ধর্মের আগের অভ্যাসগুলো ফিরিয়ে আনতে চাই৷ ’’ কেট ২০১৪ সালে এই ‘ভগ্নি সমাজ’ প্রতিষ্ঠা করেন৷
‘সিস্টার অকুপাই’ থেকে ‘গাঁজা সন্ন্যাসীনী’
২০১১ সালে ‘অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট’ বিক্ষোভে নান-এর পোশাক পরে যোগ দিয়েছিলেন সিস্টার কেট৷ এরপর থেকে তার মতো অনেক মেয়েই এই পোশাকে বিক্ষোভে যোগ দেয় এবং তাদের বলা হয় ‘সিস্টার অকুপাই’৷
এই গ্রুপের ‘পবিত্র প্রসাদ’ হলো মারিজুয়ানা
‘সিস্টার ফ্রিয়া ল্যাডলেস ক্যানাবিডিয়ল মলম’ গাঁজা থেকে তৈরি৷ ক্যানাবিডিয়ল বা সিবিডি ব্যথা উপশম করে, জ্বালাপোড়া কমায় এবং অবসাদ কমিয়ে দেয়৷ নানরা জানান, এটি মারিজুয়ানার একটি ধরন, যাতে খুব কম মাত্রার টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল বা টিএইসি থাকে৷
ভালো কিছুর উদ্দেশ্যে
গাঁজার পাতা থেকে বাম ও অয়েন্টমেন্ট তৈরি করেন এই গ্রুপের সদস্যরা৷ তারা বলেন, এগুলো স্বাস্থ্য উন্নয়নে সহায়ক এবং যে কোনো ভালো কাজে লাগে৷ সিস্টার কেট জানালেন, গত বছর এগুলো বিক্রি করে তারা প্রায় ৭ লাখ ইউরো আয় করেছেন৷ ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে এই পণ্যগুলো বিক্রি শুরু করেন তারা, যা গত বছর সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে৷
বেশিরভাগ ক্যাথলিক এদের সহ্য করছেন
যুক্তরাষ্ট্রের ২৪ টিরও বেশি রাজ্যে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যখাতে অল্প পরিমাণ মারিজুয়ানার ব্যবহার বৈধ৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় পর্যায়ে মাদক মারিজুয়ানা অবৈধ৷ ২০১৬ সালের নভেম্বরে ক্যালিফোর্নিয়াতে আমোদ বা বিনোদনের জন্য স্বল্প পরিমাণে মারিজুয়ানা বেচা-কেনা বৈধ করা হয়৷ সিস্টার কেট জানালেন, ‘‘আমরা মাত্র কয়েকটি নেতিবাচক ফোন পেয়েছি, তা বাদে ক্যাথোলিকরা বুঝতে পেরেছে আমরা আসলে কী করছি৷’’
সমালোচকরা এই নানদের থামাতে ব্যর্থ
মারিজুয়ানা বৈধকরণের বিপক্ষে সব সময় অবস্থান নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এবং অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনস৷ কিন্তু ‘উইড নান’রা বলছেন, নতুন প্রশাসন তাদের সমস্যার সমাধান করেছেন৷
ক্যানাডায় প্রচলন
ট্রাম্প যে কাজটা করেছেন, তা হলো, আমাদের ‘পেছনে’ আগুন লাগিয়ে দেয়া, যাতে আমরা অন্য দেশে এটা প্রচলন করতে পারি৷ সিস্টার কেট বলেন, ‘‘ট্রাম্পের সমালোচনার জবাব হলো ক্যানাডা৷’’ গ্রুপটি ক্যানাডায় অনলাইনে তাদের পণ্য বিক্রি শুরু করেছে, তাদের আশা দুই মাসের মধ্যে সেখানে সরাসরি কেনা-বেচা শুরু করতে পারবেন তারা৷