1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্যাপ্টেনের স্বপ্নের বাড়ি

৮ ডিসেম্বর ২০১৬

ফিনল্যান্ড উপসাগর, এস্টোনিয়ার উপকূল৷ সেখানেই সাগরের তীরে মান্ধাতার আমলের একটি বাড়ি সারিয়ে নিজেদের ছুটি কাটানোর সামার হাউস করেছেন এক অভিনেত্রী-গায়িকা-সুরকার ও এক স্থপতি, ক্যার্ট ডমিঙ্গাস ও উলা মার্গ৷

https://p.dw.com/p/2TuKc
Estland Laheema-Nationalpark
ছবি: picture alliance/R. Hackenberg

গাল্ফ অফ ফিনল্যান্ডের কোলে এস্টোনিয়ার পূর্ব উপকূল৷ রাজধানী টালিন থেকে গাড়িতে প্রায় দেড় ঘণ্টা গেলে পৌঁছানো যায় লাহেমা ন্যাশনাল পার্কে৷ এখানে শুধু প্রকৃতিই নয়, সেই সঙ্গে পুরনো আমলের কিছু গ্রাম আর কাঠের বাড়িঘরও সংরক্ষণ করা হয়েছে৷

সাগরতীরে নাটুরি গ্রামে ক্যার্ট ডমিঙ্গাস আর উলা মার্গ-এর বাড়ি আর জায়গাজমি৷ ১৯০২ সালে এক জাহাজের ক্যাপ্টেন এই বাড়িটি তৈরি করেন৷ আজ সেটা ক্যার্ট আর উলার উইকএন্ড হাউস বা সপ্তাহান্তের বাগানবাড়ি৷

একতলায় বেশ কয়েকটি ছোট ছোট ঘর৷ তার মধ্যে সবচেয়ে বড় ঘরটি হলো বসবার ঘর৷ বাড়ির সর্বত্রই হয় বিলাসবহুল, নয়ত পুরনো ধরনের আসবাবপত্র৷

সাগরের তীরে তাদের স্বপ্নের বাড়ি খুঁজে পেতে ক্যার্ট আর উলার পাঁচ বছর সময় লেগে গেছে৷ ক্যার্ট ডমিঙ্গাস জানালেন, ‘‘এরকম একটা জায়গা খুঁজে পাওয়া ভাগ্যের কথা৷ মনে হয় জায়গাটাও যেন আমাকে খুঁজছিল৷ শুধু আমিই যে বিশেষ কোনো জায়গার খোঁজ করছিলাম, এমন যেন নয়৷ আমি যেন শুনতে পাচ্ছিলাম, অনুভব করতে পারছিলাম যে, বাড়িটা আমাকে ডাকছে: ওরে আয়, ওরে আয়, আমি তোকে এখানে চাই৷''

যে বাড়িতে গান লেখা যায়

বাড়ির সমস্ত ওয়ালপেপার ক্যার্ট ডমিঙ্গাস নিজে বেছেছেন৷ কাগজের ওয়ালপেপার, ফিনল্যান্ডের এক কোম্পানির তৈরি৷ ক্যার্ট ডমিঙ্গাস বললেন, ‘‘আমার সোনালি, নীল আর সাদা ভালো লাগে৷ আমার এই রংগুলো ভীষণ ভালো লাগে৷ সোনালি রংটা যেন কীভাবে মন ভালো করে দেয়৷ আবার তাতে গুরুগম্ভীর কিছু আছে৷ হয়ত আমার মধ্যেও সেরকম কিছু একটা আছে৷''

ক্যার্ট ডমিঙ্গাস নতুন গান লিখছেন৷ বললেন, ‘‘যখন এই পিয়ানোটা বাজাই, বাইরে সাগরের ঢেউ দেখি, মন খুলে যায়, তখন যে কত রকমের গান মাথায় আসে৷ গানগুলো যেন ভেসে আসে...৷''

উলা মার্গ খাবারঘরটাকে তাঁর কাজের ঘর হিসেবে ব্যবহার করতে ভালোবাসেন৷ অতিথি এলে দু'টি টেবিল জোড়া দিয়ে একটি বড় টেবিল করা হয়৷

একশ' বছর আগেই ঘরটিতে ওয়ালপেপার লাগানো ছিল৷ উলা মার্গ নিজেই স্থপতি, তিনি দেয়ালের একটা অংশ খোলা রেখেছেন৷ দরজাগুলোও সারিয়েছেন, তবে ঠিক আগের মতো করে নয়৷ উলা মার্গ বললেন, ‘‘আমরা দরজাগুলো ঘষে-মেজে, পরিষ্কার করে, রং ছাড়াই রেখে দিয়েছি৷ একশ' বছর আগে সবাই রং খুব পছন্দ করত, কেননা রং ছিল খুব দামি আর সৌখীন বস্তু৷ তাই সবাই দরজা-জানলায় রং লাগাত৷ আমরা আজকাল কাঠের অংশগুলোই পছন্দ করি, তাই রং তুলে দিয়েছি৷''

জীবন্ত বাড়ি

২০০৬ সালে ওরা বাড়িটা কেনেন৷ দু'বছর মেরামতির পর সেটা বাসযোগ্য হয়৷ ‘‘এ ধরনের পুরনো বাড়িগুলো চিরকাল থাকে৷ তাই এখানে চিরকালই কিছু না কিছু করার থাকে৷ যেন বাড়িটা একটা জীবন্ত প্রাণী'', উলা মার্গ মন্তব্য করলেন৷

ঢালু ছাদের নীচে ওপরতলাটা নতুন করে বাড়ানো হয়েছে৷ স্নানের ঘরটাও এখানে৷ নীচে বাচ্চাদের ঘর আর একটা গেস্ট রুম৷ একটা বাতি, যা উলা মার্গ নিজে পিয়ানোর তার থেকে বানিয়েছেন৷ বসবার ঘরের ঠিক লাগোয়া রান্নাঘর৷ এখানে সব কিছু নতুন, এক পুরনো কুকিং রেঞ্জটা ছাড়া, যেটায় আজও রান্না করা চলে৷ ক্যার্ট ডমিঙ্গাস বললেন, ‘‘আসলে এটা হলো আমার নিজের ডিজাইন করা প্রথম কিচেন৷ আমি আমার বন্ধুবান্ধব আর অতিথিদের জন্য রান্না করতে ভালোবাসি, কেননা আমি খাবারের ভিতর দিয়ে সুস্বাস্থ্য আর সুন্দর সুন্দর চিন্তা দিতে পারি৷ আমার কাছে তার মূল্য অনেক৷''

আড়াই হেক্টার জমির ওপর খাড়া এই বাড়িটি তৈরি করেছিলেন এক জাহাজের ক্যাপ্টেন৷ ক্যার্ট আর উলা ও তাদের পরিবার গ্রীষ্মে এখানে যতোটা পারেন সময় কাটান৷ তবে আসল মজা তো বাইরে, যেখানে সাগর মিশেছে দূর দিগন্তে৷

ক্রিস্টিনে বায়ার/এসি

তারকাখচিত তারকাদের স্বপ্নপুরী

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান