1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্যান্সার চিকিৎসা

২২ এপ্রিল ২০১২

যাঁরা চোখে দেখতে পারেন না, অর্থাৎ যাঁরা অন্ধ, তাঁদের স্পর্শ এবং অনুভূতি শক্তি নাকি সাধারণ মানুষের তুলনায় হাজারো গুণ বেশি৷ তাই এবার, অন্ধদের এই বিশেষ শক্তিটি স্তন ক্যান্সার নির্ণয়ে কাজে লাগাতে চান বিশেষজ্ঞরা৷

https://p.dw.com/p/14j56
ছবি: picture alliance/CHROMORANGE

ছিদ্র করে লেখা অক্ষর ও শব্দ না দেখে, শুধুমাত্র স্পর্শ করেই পড়তে পারেন দৃষ্টিশক্তিহীন মানুষ৷ পড়ার এই বিশেষ পদ্ধতিকে বলা হয় ‘ব্রেইল'৷ কিন্তু এবার, ব্রেইল নয়, নারীর স্তন বা বক্ষযুগল স্পর্শ করে ক্যান্সার বা কর্কট রোগ নির্ধারণ করার প্রশিক্ষণ পাচ্ছে বহু অন্ধ নারী৷

বলা বাহুল্য, এখনও পর্যন্ত ক্যান্সারের চিকিত্সায় পুরোপুরি কার্যকর কোনো ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি৷ বিশ্বে প্রায় ২০০ প্রকার ক্যান্সার রয়েছে৷ প্রতিটি ক্যান্সারই আলাদা ধরনের এবং এদের চিকিত্সা পদ্ধতিও আলাদা৷ এর মধ্যে কেমো থেরাপি, রেডিও থেরাপি এবং সার্জারি অন্যতম৷ কিন্তু ক্যান্সার ভালো করে তোলার জন্য প্রথম অবস্থাতেই তা সনাক্ত করা প্রয়োজন৷ তা না হলে ওষুধও কাজ করে না৷

Internationaler Tag der Menschen mit Behinderung
ছবি: picture-alliance/dpa

প্রতি বছর প্রায় ৭৪ হাজার জার্মান নারী আক্রান্ত হন স্তন ক্যান্সারে৷ দুঃখের বিষয়, মেমোগ্রাফির মাধ্যমে এ রোগ নির্ণয়ের সুবিধা থাকা সত্ত্বেও, এঁদের মধ্যে অন্তত ১৭ হাজার মারা যান৷ অথচ ঠিক সময় বা প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয় করা গেলে, স্তন ক্যান্সার সম্পূর্ণভাবে সারিয়ে তোলা সম্ভব৷ আর তার জন্য যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সেটা হলো নিয়মিত বক্ষযুগলের পরীক্ষা৷

জার্মানিতে প্রতি বছরে অন্তত দু'বার এই পরীক্ষা নারী বিশেষজ্ঞরাই করে থাকেন৷ কিন্তু যাঁদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তাঁদের প্রতি মাসে এই পরীক্ষার দরকার৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সচেতনতা বা অভিজ্ঞতার অভাবে নিয়মিত পরীক্ষা করার কাজটা সম্পন্ন হয় না৷ আবার অনেক সময় লজ্জাও এই পরীক্ষা না করানোর একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায়৷

এ সমস্যা সমাধানেই এগিয়ে আসেন জার্মানির ডুইসবুর্গ শহরের অন্যতম নারী বিশেষজ্ঞ ড. ফ্রাংক হফমান৷ ২০০৬ সালে অন্ধদের স্পর্শ এবং অনুভূতি শক্তিকে কাজে লাগাতে ‘ডেভেলপিং হ্যান্ডস' নামে একটি প্রকল্প শুরু করেন তিনি৷ শুরু হয় অন্ধদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে ‘মেডিকেল টাচ এক্সামিনার্স'-এ পরিণত করা৷ ড. হফমান'এর কথায়, ‘‘জার্মানিতে যাঁদের বয়স ৫০'এর বেশি, একমাত্র তাঁরাই বিনা খরচে মেমোগ্রাফি করাতে পারেন৷ কিন্তু স্তন পরীক্ষা ৩০ ঊর্ধ্ব সবার জন্যই আবশ্যক৷ এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অন্ধ নারীরা অত্যন্ত কার্যকর৷ শুধু স্তন পরীক্ষাই নয়, পরীক্ষা করতে আসা নারীদের ভয় দূর করতেও তাঁরা দারুণভাবে সহায়ক৷''

প্রসঙ্গত, ‘ডিসকাভারিং হ্যান্ডস' প্রকল্পটি যে শুধু স্তন ক্যান্সার নির্ণয় করে, তা নয়৷ অন্ধ নারীদের কর্মসংস্থানও করে পাশাপাশি৷

প্রতিবেদন: গুডরুন হাইসে/দেবারতি গুহ

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য