1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে আড়ি পাতছে এনএসএ

৯ জুলাই ২০১৫

কোল, শ্র্যোডার এবং ম্যার্কেল, তিন চ্যান্সেলরের সরকারের উপর আড়ি পেতেছে এনএসএ নব্বই-এর দশক যাবৎ৷ উইকিলিক্স-এর ফাঁস করা সর্বাধুনিক তথ্য জার্মান-মার্কিন সম্পর্কে আরো চিড় ধরানোর ক্ষমতা রাখে৷

https://p.dw.com/p/1FvRh
Audioslideshow Helmut Kohl
ছবি: imago/Kolvenbach

জার্মান মিডিয়ায় খবরটা প্রকাশ করেছে স্যুডডয়চে সাইটুং দৈনিক এবং এনডিআর ও ডাব্লিউডিআর, এই দুই আঞ্চলিক সরকারি টেলিভিশন কেন্দ্র৷ তিনটি সংস্থার সাংবাদিকরা একত্রে এ ধরনের জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন বিষয় নিয়ে নিরপেক্ষ অনুসন্ধান করে থাকেন৷

তাদের রিপোর্ট জানাচ্ছে যে, উইকিলিক্স মোট ৫৬টি টেলিফোন নম্বরের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে, যার মধ্যে প্রায় দু'ডজন নম্বর ম্যার্কেল-এর ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের দ্বারা আজও ব্যবহৃত হচ্ছে৷ তালিকাটি কবে সৃষ্টি করা হয়েছে, তা জানা নেই, তবে উইকিলিক্স তা প্রকাশ করে সপ্তাহ খানেক আগে৷ অতঃপর তালিকার নম্বরগুলি চেক করে দেখা যাচ্ছে যে, সাকুল্যে তিন চ্যান্সেলরের আমলে দুই দশকের বেশি সময় ধরে জার্মান সরকারের উপর আড়ি পেতেছে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা এনএসএ৷

জার্মান সরকারের তরফ থেকে শুধুমাত্র বলা হয়েছে যে, উইকিলিক্স-এর দলিলগুলি বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে, কিন্তু কোনো চূড়ান্ত মূল্যায়ন এখনই সম্ভব নয়, কেননা উইকিলিক্স-এর তথ্যের যাথার্থ্যের কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ নেই৷ অপরদিকে জার্মানিতে এনএসএ সংক্রান্ত উষ্মা ও উদ্বেগ এর ফলে বাড়বে বৈ কমবে না, বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে৷ বিশেষ করে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল-এর বিরুদ্ধে আবার নীরবতা থেকে গড়িমসি করা অবধি সব রকমের এবং সব ধরনের অভিযোগ উঠবে৷ কারণ এ দেশে এনএসএ কেলেঙ্কারির দু'টি দিক হল: প্রথমত, মিত্রদেশ জার্মানির সরকার তথা সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের উপর মার্কিন আড়িপাতা; দ্বিতীয়ত, এ বিষয়ে জার্মান সরকারের মৃদু এবং – সমালোচকদের চোখে – অপর্যাপ্ত প্রতিক্রিয়া৷

ম্যার্কেল-এর মোবাইল ফোনে আড়ি পাতছে এনএসএ – দু'বছর আগে এ খবর প্রকাশিত হওয়া যাবৎ সরকারকে বারংবার জবাবদিহি করতে হয়েছে৷ সরকারি প্রতিনিধিরা একাধিকবার বিষয়টি সমাপ্ত বলে ঘোষণা করেছেন৷ অপরদিকে সংসদ থেকে এনএসএ সংক্রান্ত একটি তদন্ত কমিশন নিয়োগ করা হয়েছে৷ সেই সূত্রে হুইসলব্লোয়ার এডোয়ার্ড স্নোডেনকে বিশেষ সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মস্কো থেকে বার্লিনে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রস্তাব উঠেছে৷ সবচেয়ে বড় কথা, একটি উন্মুক্ত ক্ষতের মতো এনএসএ-র আড়িপাতার বিষয়টি জার্মান-মার্কিন সম্পর্ককে তিক্ত করে চলেছে – যার জেরে গত সপ্তাহে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বার্লিনে চ্যান্সেলরের দপ্তরে ডেকে পাঠানো হয়৷ তা সত্ত্বেও ম্যার্কেলকে পড়তে হচ্ছে সমালোচনার মুখে৷

সবুজ দলের সংসদীয় গোষ্ঠীর উপসভাপতি কনস্টান্টিন ফন নট্স বলেছেন: ‘‘ফাঁস করা সর্বাধুনিক তথ্যগুলি চ্যান্সেলরের দপ্তর এবং আঙ্গেলা ম্যার্কেল-এর পক্ষে অতীব লজ্জাকর৷'' ম্যার্কেল নাকি ‘‘গুরুতর সমস্যাগুলির'' সমাধান না করে, চেষ্টা করেছেন ‘‘ব্যাপারটা চেপে যাওয়ার, অবান্তর ব্যাখ্যা দেওয়ার, অথবা কোনো কিছু না করে স্রেফ কাটিয়ে দেওয়ার৷'' কাজেই ফন নট্স ‘‘ডিজিটাল যুগে গুপ্তচর বিভাগগুলির কার্যকলাপের জন্য একটি নতুন আইনগত কাঠামো'' দাবি করেছেন৷

এসি/এসবি (ডিপিএ, এপি, রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য