কেন খাবেন কমলা রঙের খাবার?
স্বাস্থ্য বিষয়ক কথা হলেই এসে যায় শাক-সবজি আর ফলমূলের কথা৷ আজকাল আবার পুষ্টিবিদরা বলে থাকেন রঙিন ফলমূল খাওয়ার কথা৷ এই ছবিঘর থেকে জেনে নিন কমলা রঙের সবজি ও ফলমূল কেন খাবেন৷
মিষ্টি কুমড়া
পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এবং সুন্দর রং ও আকৃতির এই সবজিতে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট৷ এতে রয়েছে ভিটামিন ‘এ’ ‘ই’ আর ‘সি’৷ অথচ কমলা রঙের এই সবজিতে কিন্তু ক্যালোরির পরিমাণ খুব কম৷ মিষ্টি কুমড়া উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে৷ এছাড়া মিষ্টি কুমড়োর বিচি প্রোস্টেট ক্যানসার মোকাবিলাতেও সহায়ক৷
সবার প্রিয় কমলালেবু
নামেই যার পরিচয়, অর্থাৎ কমলালেবুতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন৷ আর তা শুধু কমলার রস নয়, কমলার ভেতরের সাদা অংশটিতেও থাকে যথেষ্ট আঁশ, যা খুবই উপকারী৷ কমলালেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যাসিড, যা দাঁতকে ঝকঝকে ও উজ্জ্বল করে৷ তাছাড়া ওজন কমাতে ও সুন্দর থাকতেও কমলালেবুর মধ্যে থাকা ভিটামিন ‘সি’-র জুড়ি নেই৷
গাজর
সহজলভ্য কমলা রঙের গাজরে রয়েছে ভিটামিন ‘এ’, ‘কে’, ‘সি’, প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটা ক্যারোটিন ও পটাসিয়াম৷ গাজরের বিটা ক্যারোটিন ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং চোখের স্বাস্থ্য রক্ষা করে৷ গাজর কাঁচা এবং রান্না করে খাওয়া যায়৷ জার্মানিতে গাজরের সালাদ বেশ জনপ্রিয়৷
অ্যাপ্রিকট
মিষ্টি কমলা রঙের অ্যাপ্রিকট ফলে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন৷ আরো আছে ভিটামিন ‘ই’, ‘বি’, পটাশিয়াম, মিনারেল ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন ইত্যাদি, যা শরীরে শক্তি জোগায়৷ শুধু তাই নয়, এতে থাকা ক্যারোটিন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় ও টিউমার সৃষ্টিতে বাধা দেয়৷ পাঁকা অ্যাপ্রিকট শুষ্ক ত্বক নরম করতে ‘ফেসমাস্ক’ হিসেবেও ব্যবহার করা হয়৷
পেঁপে
অত্যন্ত সহজলভ্য একটি ফল পেঁপে, যা সবজি হিসেবে কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যায় এবং ফল হিসেবে পাঁকা খাওয়া হয়৷ মিষ্টি কমলা রঙের পাঁকা পেপে খেলে মুখে রুচি বাড়ে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়৷ পেঁপে প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়৷ পেঁপের পুষ্টিগুণের কারণে এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে৷
আম
আম যে নানা রং ও স্বাদের হয় – সেটা বোধহয় কোনো বাঙালিকে বলার প্রয়োজন নেই৷ আমে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন, মিনারেল, বিটা ক্যারোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রনসহ নানা প্রয়োজনীয় উপাদান৷ আমে থাকা আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা ছাড়াও হৃদপিণ্ডের রোগ প্রতিরোধেও সহায়তা করে৷
স্যামন মাছ
কমলা রঙের সুন্দর এই সামুদ্রিক মাছে বেশি পরিমাণে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা আলৎসহাইমা রোগের হাত থেকে মস্তিষ্ককে দূরে রাখতে সহায়তা করে৷
টমেটো
টমেটো হয়ে থাকে নানা রঙের৷ রসালো টকটকে টমেটোতে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল৷ ক্যালোরি কম থাকার কারণে স্বাস্থ্য সচেতনদের কাছে টমেটো খুবই প্রিয়৷ এছাড়া টমেটোতে থাকা লাইকোপেন ক্যানসার প্রতিরোধেও সাহায্য করে থাকে৷