1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কেন উত্তেজনা ছড়াচ্ছে মিয়ানমার?

২ মার্চ ২০১৮

সীমান্তে সৈন্য মোতায়েন করেছে মিয়ানমার৷ ফাঁকা গুলিও ছুড়েছে৷ রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরুর আগে কেন এভাবে উত্তেজনা তৈরি করছে মিয়ানমার?

https://p.dw.com/p/2tZl9
Myanmar Soldaten in Rakhine
ফাইল ফটোছবি: Getty Images/AFP

ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ৷ বার্তা সংস্থা এপি-কে বিজিবি-র অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মজিবুর রহমান বলেছেন, সীমান্তে মিয়ানমারের উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ৷ তিনি জানান, বিজিবি-র পক্ষ থেকে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেয়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে৷

এছাড়া ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত লুইন উ-কে ইতিমধ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে একটি আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদপত্র দিয়ে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের বিষয়ে  জানতে চাওয়া হয়েছে৷

কিন্তু এ সব উদ্যোগের পরও উত্তেজনা প্রশমিত হয়নি৷ বরং ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের খবর অনুযায়ী,বৃহস্পতিবার রাতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তমব্রু সীমান্তের ওপারে অবস্থানরত মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যরা দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলিও ছুড়েছে৷ 

এমন পরিস্থিতিতে  বাংলাদেশ সীমান্তে বিজিবি-র অবস্থানও জোরদার করা হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের খবরে জানানো হয়৷

সম্প্রতি তমব্রু সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে ছয় হাজারের মতো রোহিঙ্গা জড়ো হয়৷ তারপরই সীমান্তে বিজিপি মোতাযেন শুরু করে মিয়ানমার৷ বিজিপি সদস্যরা মাইকে ঘোষণা দিয়ে রোহিঙ্গাদের চলে যাওয়ার আহ্বান জানান৷ আহ্বানের ভাষা ছিল ভীতিকর৷ তাই রোহিঙ্গাদের অনেকেই ভয়ে পালিয়ে যান৷ বাকিদের অবস্থানও মেনে নিতে পারছে না বিজিপি৷

ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশে প্রবেশের জন্যই সীমান্তে জড়ো হয়েছেন রোহিঙ্গারা৷ তবে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘‘নো-ম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের কোনোভাবেই বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হবে না৷'' পাশাপাশি তিনি এ-ও বলেন, ‘‘মিয়ামনমার সীমান্ত নীতি ভঙ্গ করলে সমূচিত জবাব দেয়া হবে৷''

এসিবি/ডিজি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান