1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কেকের ছবি তুলে দারুণ চমক

১৯ জানুয়ারি ২০১৮

কেক খেতে অনেকে ভালোবাসে৷ অনেকে নতুন জুতা পরতে ভালোবাসে৷ কিন্তু এই দুইয়ের মেলবন্ধন করে ইনস্টাগ্রাম তারকা হয়ে ওঠা মোটেই সহজ কাজ নয়৷ প্যারিসে ঠিক সেটাই করে দেখাচ্ছেন এক ব্যক্তি৷

https://p.dw.com/p/2r7uy
ছবি: Tal Spiegel

পেস্ট্রি ও জুতা যেন একই সূত্রে বাঁধা৷ প্যারিসের খাদ্য ও ফ্যাশন জগতের রূপ তুলে ধরছে ছবিগুলি৷ টাল স্পিগেল এই সব জুতার মালিক৷ ছবি তুলতে তিনি প্যারিসের কনফেকশানারিগুলিতে ঢুঁ মারেন৷ শহরে কয়েক'শ কেকের দোকান রয়েছে৷ পেস্ট্রি-ভক্ত হিসেবে শহরটি তাঁর কাছে স্বর্গের মতো৷ তিনি বলেন, ‘‘প্রতি দুই মিনিট পর পর এখানে কোনো জায়গা পাবেন, যা আপনাকে প্রেরণা যোগাবে৷ প্রতিনিয়ত বদলে চলেছে৷ এখানে থাকার মজাই আলাদা৷ আপনার দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠবে৷’’

DW Shift - Desserted in Paris
ছবি: Tal Spiegel

ইসরায়েলের এই গ্রাফিক ডিজাইনার নিজেও কেক-পেস্ট্রি তৈরি করতেন৷ প্রায় আড়াই বছর ধরে তিনি প্যারিসে বসবাস করছেন৷ কেক-পেস্ট্রির রং, বিন্যাস ও জ্যামিতিক নক্সা তাঁকে মুগ্ধ করে৷

জুতার সঙ্গে মিলিয়ে তিনি একটি গোলাপি পেস্ট্রি কিনেছেন৷ বিক্রেতা জানালেন, এই মাকারোঁ বিস্কিটে গোলাপের পাপড়ি, লিচু ও তাজা রাস্পবেরি ভরা রয়েছে৷ দোকান থেকে বেরিয়েই টাল স্পিগেল সাধারণত ছবি তুলে নেন৷ শুধু জুতা ও পেস্ট্রি-কে তুলে ধরতে চান বলে নীচে খুব সাদামাটা ব্যাকগ্রাউন্ড তাঁর পছন্দ৷ ‘ডেজার্টেড ইন প্যারিস’ নামের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে সেই সব ছবি দেখা যায়৷ টাল স্পিগেল বলেন, ‘‘বেশ কাকতালীয়ভাবেই ডেজার্টেড ইন প্যারিস-এর আইডিয়া শুরু হয়৷ প্যারিসে কনফেকশনরির জগত আবিষ্কার করার সময় প্রত্যেকটি কেক মনে রাখতে আমি ছবি তুলতে শুরু করি৷ একদিন খেয়াল হলো, একটি কেকের সঙ্গে আমার জুতার রং মিলে যাচ্ছে৷ ছবি তোলার পর অনেকের সেটা খুব পছন্দ হলো৷ বাকিটা ইতিহাস৷’’

DW Shift - Desserted in Paris
ছবি তুলছেন টাল স্পিগেলছবি: DW/P. Sentenac

তাঁর অ্যাকাউন্টে অনুরাগীর সংখ্যা দেড় লাখ পেরিয়ে গেছে৷ প্রায় প্রতিদিনই তিনি কেক-জুতার যুগলবন্দির ছবি পোস্ট করেন৷ টাল স্পিগেল বলেন, ‘‘দেখলে খুব সহজ মনে হতে পারে৷ কিন্তু এর পেছনে অনেক কাজ থাকে৷ ছবি সৃষ্টি করা, শেফ-দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা, অনেক দোকানে যাওয়া৷ তবে আমি দোকান, রং, সৃষ্টির ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য রেখে চলি৷ প্রত্যেকটি দিনই আলাদা এবং প্যারিসের অভিজ্ঞতার নিত্যনতুন স্বাদ এনে দেয়৷’’

কাজটা সত্যি সহজ নয়৷ বিশেষ করে এত জুতা পাওয়া কঠিন৷ টাল স্পিগেল এর মধ্যে ২০০'র বেশি জুতাজোড়ার মালিক৷ নিয়মিত জুতা কিনে চলেছেন তিনি৷ তবে সেগুলো রঙিন হতে হবে৷ প্যারিসের একটি বুটিকে তিনি নিয়মিত খদ্দের৷ টাল স্পিগেল বলেন, ‘‘জুতার নেশা আরও আগে শুরু হয়েছিল, যখন আমি তেল আভিভে গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে কাজ করছিলাম৷ নক্সাওলা আরামদায়ক জুতা আমার পছন্দ ছিল৷ প্যারিসে এসে রং ও মাপের ক্ষেত্রে আরও বৈচিত্র্য আবিষ্কার করলাম৷ ডেজার্টেড ইন প্যারিসের সঙ্গে সঙ্গে জুতার সংগ্রহও বাড়ছে৷’’

ইনস্টাগ্রাম তারকা হয়ে ওঠার অভিনব পন্থা

কেনার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই জুতা ছবির মোটিফ হয়ে পড়ে৷ অনেক কনেফকশনারের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছে৷ যেমন এরওয়াঁ ব্লঁশ৷ প্রায়ই তাঁর বেকারিতে ঢুঁ মারেন টাল স্পিগেল৷ আগে তিনি নিজেই পেস্ট্রি বানাতেন৷ এখন শুধু ইনস্টাগ্রাম পাতা নিয়ে ব্যস্ত৷ এরওয়াঁ সেখানেই তাঁকে আবিষ্কার করেন৷ এরওয়াঁ বলেন, ‘‘বললাম, সেবাস্টিয়াঁ – লোকটাকে দেখো৷ বেশ স্মার্ট৷ আমরা ভাবলাম সে নতুন কিছু করেছে৷ কারণ সে শুধু কেক নয়, একই রংয়ের জুতার ছবিও তুলছে৷ একেবারে শিল্পের মতো৷’’

সবে তৈরি হবার পর আমের কেক সরাসরি টাল স্পিগেল-এর ইনস্টাগ্রাম সংগ্রহে স্থান পেয়েছে৷ অবশ্যই সঙ্গে রয়েছে মানানসই জুতা৷ সম্প্রতি তিনি একটি বই প্রকাশ করেছেন৷ তাঁর প্রায় ৭০০ ছবির মধ্যে সেরাগুলি সেখানে স্থান পেয়েছে৷

ভানেসা ল্যোভেল/এসবি

২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের এই ছবিঘরটি দেখুন...