1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানের প্রভাব নিয়ে অস্বস্তি

২৪ অক্টোবর ২০১৭

আইএস কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবার পর ইরাকে ইরানের প্রভাব কমাতে তৎপর হয়ে উঠেছে অ্যামেরিকা ও সৌদি আরব৷ ইরাকের প্রধানমন্ত্রী অবশ্য এমন হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করছেন৷ কুর্দিদের সঙ্গে সংঘাত নিয়ে তিনি ব্যস্ত৷

https://p.dw.com/p/2mNlD
বাগদাদে টিলারসন ও আল-আবাদি
ছবি: Reuters/A. Brandon

ইরাকে স্থিতিশীলতার চরিত্র কতটা নাজুক, তা বর্তমান সংকটের ফলে আবার স্পষ্ট হয়ে উঠছে৷ শান্তিপূর্ণ গণভোটের মাধ্যমে উত্তরে কুর্দিরা নিজস্ব রাষ্ট্রের পক্ষে সমর্থন প্রকাশ করার পরেও পরিস্থিতি শান্ত ছিল৷ বাগদাদে ফেডারেল সরকার এই রায় মানতে নারাজ৷ কুর্দি নেতারাও আলোচনার মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করার কথা বলেছিলেন৷ কিন্তু এবার সংকট দেখা দিয়েছে কুর্দি নিয়ন্ত্রিত এলাকার বৈধতা নিয়ে৷ তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর বিরুদ্ধে সংগ্রামে কুর্দি বাহিনী অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে৷ ইরাকি কুর্দিস্তানের সীমানা পেরিয়েও আইএস-এর কাছ থেকে অনেক এলাকা উদ্ধার করেছে তারা৷ কির্কুক শহরের নিয়ন্ত্রণকে ঘিরেও কুর্দি ও ইরাকি সরকারের মধ্যে বিরোধ রয়েছে৷ পেট্রোলিয়াম সমৃদ্ধ এই এলাকার বাড়তি কৌশলগত তাৎপর্য রয়েছে৷ এবার বাগদাদে ইরাকের সরকার সেই শহর উদ্ধার করতে ‘পপুলার মোবিলাইজেশন' নামে এক বাহিনী কাজে লাগাচ্ছে৷ ইরানের মদতপূষ্ট এই বাহিনীর তৎপরতা অ্যামেরিকাসহ একাধিক আঞ্চলিক শক্তির দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷

অঘোষিত সংক্ষিপ্ত ইরাক সফরে এসে সেই দুশ্চিন্তার কথাই প্রকাশ করলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন৷ ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদি অবশ্য জোর দিয়ে বলেছেন, এই বাহিনী ইরাকের নিজস্ব প্রতিষ্ঠানগুলিরই অংশ৷ আইএস-এর বিরুদ্ধে সংগ্রামেও তারা সেনাবাহিনীর পাশাপাশি সক্রিয় ছিল৷ আইএস-এর বিরুদ্ধে সংগ্রামে ইরাকের ভূখণ্ডে ইরানের মিলিশিয়া বাহিনীর তৎপরতা এতকাল কার্যত মেনে নিলেও ওয়াশিংটন চায়, এবার তারা দেশে ফিরে যাক৷ অন্যদিকে আইএস-এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম শেষ হবার পর মার্কিন সেনাবাহিনীর সদস্যদের ইরাক ছেড়ে যাবার ডাক দিচ্ছে ইরান-সমর্থিত শিয়া মিলিশিয়া৷

টিলারসন প্রধানমন্ত্রী আল-আবাদি ও ইরাকি কুর্দিস্তানে মাসুদ বারজানির নেতৃত্বে সরকারের মধ্যে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন৷ কুর্দিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার ও সীমানা নিয়ে বিরোধ আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেবার ডাক দিয়েছেন তিনি৷ বাগদাদ ও এরবিল-এ দুই ঘনিষ্ঠ মার্কিন সহযোগীর মধ্যে বর্তমান বিরোধের জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন৷

উল্লেখ্য, রবিবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াধে টিলারসন সৌদি বাদশাহ সালমান ও ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক বিরল বৈঠক করেছেন৷ ইরাকে ইরানের প্রভাব কমাতে সৌদি আরবও যথেষ্ট তৎপর রয়েছে৷ ইরাকের সঙ্গে এক যৌথ সহযোগিতা পরিষদ গঠন করেছে সৌদি সরকার৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)