‘কুরবানির গরুর চেয়েও এ দেশে মানুষের দাম কম' | পাঠক ভাবনা | DW | 23.09.2015
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘কুরবানির গরুর চেয়েও এ দেশে মানুষের দাম কম'

‘খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা ও চাকরির ব্যবস্থা করছি' – ব্রিটিশ সংবাদপত্র গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেছেন৷ তাঁর এ কথায় আমাদের ফেসবুক পাতায় রাগে ফেটে পড়েছেন পাঠক-বন্ধুরা৷

ডয়চে ভেলের ফেসবুকবন্ধু ফেরদৌস মুন্নির মতে, ‘‘শেখ হাসিনার খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা ও চাকরির ব্যবস্থা করার কথা শতকরা এক'শ ভাগই মিথ্যে৷''

জিনাত মহল মিশোর কটাক্ষ করে লিখেছেন, ‘‘এটা যদি হয় সেবা, তাহলে শাসন আর শোষণ কাকে বলে? মো. তানভির হোসেনেরও একই মত৷

‘‘জনগণকে কুকুরের মতো গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে – এর নাম সেবা?'' এ প্রশ্ন ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু ইউনুস আলীর৷

‘‘পৃথিবীর এক নম্বর মিথ্যাবাদী হাসিনা'' – লিখেছেন খান কামাল৷

আকাশ মাহমুদের মতে, ‘‘শেখ হাসিনা এশিয়া মহাদেশের শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ স্বৈরশাসক! এর চেয়ে বড় সত্য আর একটিও নাই৷''

হাসান রেজা শ্যামল বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে ‘জালিম' সরকার বলে আখ্যা দিয়েছেন আমাদের ফেসবুকে৷

‘‘শোষণ আর অত্যাচার করে নাকি টিকে আছেন শেখ হাসিনা'', এমনটাই মনে করেন ফজলুল হক৷

‘‘জনগণের ভোটের অধিকার খর্ব করে, সেই মুখে আবার গণতন্ত্র! পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মিথ্যাবাদী!'' বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে এই মন্তব্য করেছেন জহিরুল আলম৷

‘‘শাসন নয়, শোষণ করা হচ্ছে৷'' শেখ হাসিনা সম্পর্কে সোলায়মান তারিকের ধারণা৷

‘‘সাক্ষাৎকারভিত্তিক গার্ডিয়ানের এই নিবন্ধটি হলো হাসিনার চিরাচরিত মিথ্যাচারের আরেকটা দলিল৷ সে যদি কেবল দেশসেবা করে, তবে খুন-গুমটা করে কে? খুনি কি কখনো খুনের কথা স্বীকার করে? হাসিনার এ সব ডাহা মিথ্যাচার দেশের জনগণতো দূরের কথা, খোদ আওয়ামী লীগের লোকজনই বিশ্বাস করে না৷''এই কথা ফেসবুকে জানিয়েছেন পাঠক কামরুল ইসলাম৷

ফেসবুকে পাঠকদের প্রায় সকলেরই এক কথা যে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিথ্যা কথা বলেন, তিনি মিথ্যাবাদী৷ তবে কোনো দলের পক্ষ না নিয়ে অমিত কুমার বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশের মানুষ দেশের কথা না ভেবে, নিজের ‘ব্যক্তিগত স্বার্থকেই' বড় করে দেখে৷''

প্রধানমন্ত্রী কোথায় কী বললেন তা নিয়ে ফেসবুকবন্ধু জাহাঙ্গীর খান মামুনের মাথা ব্যথা নেই৷ তিনি তাঁর মন্তব্যে শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে লিখেছেন, ‘‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সব কথা ঠিক আছে৷ কিন্তু আমরা চাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের উচিত আরো কঠোর হওয়া৷ এছাড়া সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সকল প্রকারের কোটা বাতিল করা হোক৷ অযোগ্য এবং অপদার্থ মার্কা কর্মকর্তা দিয়ে সরকারি সেবার মান ভালো হচ্ছে না৷''

বাংলাদেশে আইন থাকলেও আইনের প্রয়োগ নেই আর সে বিষয়টিই মনে হয় বোঝাতে চেয়েছেন ডয়চে ভেলের ফেসবুকবন্ধু মাহবুব এলাহি৷ তাঁর বক্তব্যে, ‘‘মক্কা শরিফের ইমামদের ছবি দিয়ে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ পরিবেশনসহ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী আমার দেশ সম্পাদক সেই দোষে জেলে৷ আর এটাই যদি সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ হয় তবে এমন কণ্ঠরোধ আমি হাজারবার চাই৷ পেট্রোল বোমা নিক্ষেপকারী, মানুষভভর্তি বাসে আগুন যারা দিয়েছে তাদেরকে ‘ক্রসফায়ার' যদি আইনের চোখে অপরাধ হয়, তবে অপরাধীই হওয়াই ভালো৷''

‘খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা ও চাকরির ব্যবস্থা করছি' - প্রাধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে হেলাল খান শেখ হাসিনাকে সরাসরি অ্যাড্রেস করে বলছেন, ‘‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার প্রতি সম্মান পূর্বক জানতে চাই যে আপনার এ কথাটা কতটুকু সত্য? আজ বাংলাদেশ কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে, তা কি আপনার জানা আছে? আপনি কি দেশের কোনো খবরাখবর রাখেন? হ্যাঁ, আপনি কিভাবে জানবেন? আপনি অনেক কর্মব্যস্ত মানুষ! আপনার কি এ সব দেখার সময়...৷''

‘‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী গুছিয়ে অনেক সুন্দর মিথ্যা বলতে পারেন! ভেরি গুড৷'' মো. রোকনের মন্তব্য৷

মোহাম্মদ কালাম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে দুঃখ করে লিখেছেন, ‘‘তিনি দেশে সারাক্ষণ মিথ্যাচার করেন, এখন বিদেশেও তাই করলেন৷''

শান্তা ইসলাম মনে করেন, বিরোধীদলের নেতাদের গুম ও বন্দি না করলে শেখ হাসিনা টিকে থাকতে পারতেন না৷

সব অপরাধেরই বিচার হয় আর সেকথা বলতে চাইছেন পাঠক এস এ শওকত হোসেন৷ তাঁর কথায়, ‘‘প্রতিটি মরার হিসাব দিতে হবে একদিন৷''

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির নমুনা তুলে ধরে মন্তব্য করেছেন বন্ধু রফিক৷ ‘‘জনগণের চাওয়া কি প্রতিদিন পুলিশ ও ছাত্রলীগের হাতে মা-বোন ধর্ষণ ও খুন হোক? শেখ হাসিনা শুধু এই চাওয়াটাই পূরণ করতেছে! যা জনগণ চায় না, উনি সেটাই করতেছে! আর চাকরি ও বিচারের কথা কি বলবো? তাহলে শিক্ষার অমর্যাদা করা হবে! কারণ এ দেশে শিক্ষিত ছেলে-মেয়েদের অভাব নেই৷ কিন্তু চাকরির কোনো খবর নেই!''

বাংলাদেশে মানুষের জীবনের মূল্য নেই৷ আশরাফ শিকদার সেকথাই লিখেছেন৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘কুরবানির গরুর চেয়েও এ দেশে মানুষের দাম কম৷ আর এটাই গণতন্ত্র!''

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন