1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গ্যাস ক্ষেত্র খুঁজে পেল বাপেক্স

১৩ জুলাই ২০১২

বাংলাদেশে আরো একটি গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে৷ কুমিল্লার শ্রীকাইলে এর পরীক্ষামূলক উৎপাদন সফল হয়েছে৷ এখান থেকে ৩০০ বিলিয়ন ঘটফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/15XH5
ছবি: AP

আগামী নভেম্বর মাস থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে পেট্রোবাংলা৷ এটি বাংলাদেশের ২৫তম গ্যাস ক্ষেত্র৷

কুমিল্লার শ্রীকাইলে এই গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কারের কৃতিত্ব ‘বাংলাদেশে পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রডাকশন কোম্পানি লিমিটেড' বা বাপেক্স-এর৷ আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে তারা পরীক্ষামূলক উৎপাদন এবং চাপ পরীক্ষা শুরু করে সফল হয়৷ বাপেক্স-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মুর্তজা ফারুক ডয়চে ভেলেকে জানান, ৩২১৮ মিটার গভীরে এই গ্যাস পাওয়া যায়৷ গ্যাসের চাপ যথেষ্ঠ ভাল৷ এই কূপে ৩০০ বিলিয়ন ঘটফুট গ্যাস আছে বলে তাদের ধারণা৷

শ্রীকাইলে এই গ্যাস ক্ষেত্রটি বাংলাদেশের ২৫ তম গ্যাস ক্ষেত্র এবং ৮২ তম কূপ৷ চলতি বছরের ৫ মে খনন কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ৩০ জুন৷ বাংলাদেশের তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশন বা পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ড. হোসেন মনসুর ডয়চে ভেলেকে জানান, বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস তোলার আগে আরো কিছু কাজ বাকি আছে৷ গ্যাস তোলার পদ্ধতি নিয়েও কিছু সিদ্ধান্তের বিষয় আছে৷ তিনি আশা করেন এসব কাজ শেষ করে আগামী অক্টোবর-নভেম্বর মাসে শ্রীকাইল থেকে জাতীয় গ্রিডে বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস দেয়া সম্ভব হবে৷

এর আগে ২০০৪ সালে প্রথম শ্রীকাইলে গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কারের ঘোষণা দেয়া হলেও ত্রুটিপূর্ণ খনন কাজের কারণে সেবার গ্যাস মেলেনি৷ এবার দ্বিমাত্রিক ভূতাত্ত্বিক জরিপের মাধ্যমে গ্যাস পাওয়া গেল৷

২০১১ সালের অক্টোবরে নোয়াখালীর সুন্দলপুরেও গ্যাস পায় বাপেক্স৷ সেখান থেকে এখন প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন গ্যাস যোগ হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে৷ এই নিয়ে বাপেক্স মোট চারটি গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কার করল৷ বাপেক্স শিগগিরই সুনামগঞ্জ-নেত্রকোনায় আরো গ্যাসকূপ অনুসন্ধান শুরু করবে৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য