কিউবায় ওয়াই-ফাই মানে পরিবার
কিউবায় সাধারণ মানুষের ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ অনেক কম৷ ফলে সেখানে যে হটস্পটগুলো চালু আছে, সেখানে গিয়ে বিদেশে থাকা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন বাসিন্দারা৷
অনুমতি নিয়ে সংযোগ
শিক্ষাবিদ, সাংবাদিকের মতো কিছু পেশার মানুষ সরকারের অনুমতি নিয়ে তাঁদের বাড়িতে ইন্টারনেট সংযোগ নিয়েছেন৷ এছাড়া ২০১৬ সালে এক পাইলট প্রকল্পের আওতায় হাভানার কয়েকশত বাড়িতে ইন্টারনেট সংযোগ দেয় সরকারি টেলিকম সংস্থা৷ সম্প্রতি সারা দেশে ইন্টারনেট সুবিধা ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে তারা৷
ভরসা কম
সরকারি টেলিকম সংস্থার কথায় ভরসা নেই কিউবাবাসীদের৷ কারণ, এ রকম পরিকল্পনার কথা তাঁরা আগেও শুনেছেন, কিন্তু বাস্তবায়িত হয়নি৷ তবে সরকার বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কারণে নেটওয়ার্ক স্থাপনের কাজ ব্যববহুল হয়ে উঠেছে৷ তাই পরিকল্পনা বাস্তবায়নেও দেরি হচ্ছে৷
হটস্পটেই আশা
কিউবায় ইন্টারনেট পরিস্থিতির এমন করুণ অবস্থার কারণে ওয়াই-ফাই হটস্পটগুলোতে ভিড় জমায় মানুষ৷ দিনে তীব্র গরম থাকায় সন্ধ্যার পরই সেখানে বেশি জমায়েত দেখা যায়৷ ওয়াই-ফাই ব্যবহার করে মানুষ সাধারণত বিদেশে থাকা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন৷ এছাড়া কেউ দেখেন মেইল, কেউ পড়েন সংবাদ৷
রাতভর লাইন
ছবিতে ৫৪ বছর বয়সি মারিবেল সোসাকে তাঁর মেয়ের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে৷ ওয়াই-ফাই ব্যবহার করে তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন৷ সোসা জানান, আগে কয়েক মিনিট কথা বলার জন্য সারারাত টেলিফোন বুথের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো৷ তবে এখন নিজের বাড়িতে ইন্টারনেট সংযোগের সুবিধা চেয়েছেন তিনি৷
নানান সমস্যা
হটস্পটগুলোতে মানুষের ভিড়ের কারণে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার সময় গোপনীয়তা বজায় রাখা সম্ভব হয় না৷ তাছাড়া আছে মশা, মাছির কামড়৷ আবার যখন একই সময়ে অনেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, তখন সংযোগও ধীর হয়ে যায়৷
শুরুর কথা
কিউবার বিভিন্ন স্থানে প্রায় দুই বছর আগে হটস্পট তৈরি শুরু করে সরকার৷ গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত এমন স্পটের সংখ্যা ছিল ৪৩২টি৷ ২০১৬ সালে ১১ মিলিয়ন অধিবাসীর প্রায় অর্ধেক অন্তত একবার হলেও ইন্টারনেট ব্যবহার করেছেন৷
ব্যয়বহুল
এক ঘণ্টা ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ প্রায় দেড় ডলার৷ সেখানকার মানুষের মাসিক গড় আয় ৩০ ডলার৷ অর্থাৎ এক ঘণ্টা ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য আয়ের প্রায় পাঁচ শতাংশ ব্যয় করতে হয়৷