1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কায়রোর তাহরির চত্বর এখন জনতার সমুদ্র

১ ফেব্রুয়ারি ২০১১

মিশরের রাজধানী কায়রোর তাহরির চত্বর এখন জনতার সাগরে পরিণত হয়েছে৷ ‘মার্চ অফ এ মিলিয়ন’ এর ডাকে সাড়া দিয়ে হাজার হাজার মানুষ এখন সেখানে জড়ো হয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/108b5
ছবি: AP

সর্বশেষ পরিস্থিতি

আন্দোলনের আজ অষ্টম দিন৷ বিক্ষোভ উপলক্ষ্যে এর আগে যত লোকের সমাগম হয়েছিল, আজ তার চেয়ে বেশি লোক জড়ো হয়েছে তাহরির চত্বরে৷ ছেলে-বুড়ো সবাই সেখানে রয়েছেন৷ তারা নাচছেন, গাইছেন আর মুবারক বিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন৷ বলা যায়, এক রকম উৎসবের মধ্যেই রয়েছেন তারা৷ এরই মধ্যে এক সময় কিছু লোক রাস্তার আলোকদন্ড থেকে মুবারকের কুশপুত্তলিকা ঝুলিয়ে দিলে জনতার মধ্যে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে৷ তবে শুধু কায়রোতেই নয়, আলেকজান্দ্রিয়াতেও এরকম মিছিলের জন্য হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছে৷ কারণ কায়রোতে জন সমাগম ঠেকাতে সরকার গতকাল রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিল৷ এছাড়া আজ সকাল থেকেই কায়রো ও আলেকজান্দ্রিয়ার মধ্যবর্তী সড়কে পাহারা বসিয়ে গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে৷

সেনাবাহিনীর ভূমিকা

সেনা সদস্যরা বিক্ষোভস্থলে রয়েছেন৷ কিন্তু তারা আগেই বলে দিয়েছেন যে, তারা গুলি চালাবেন না৷ তবে তারা তাহরির চত্বরে ঢোকার আগে সবার পরিচয়পত্র দেখে নিচ্ছেন৷ সেনাবাহিনীর এই সিদ্ধান্তকে মুবারকের জন্য একটা ধাক্কা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷

আলোচনা

ভাইস-প্রেসিডেন্ট সুলাইমানের আলোচনার প্রস্তাবে বিরোধী নেতা এল বারাদেই বলেছেন, আলোচনা হতে পারে, তবে তার আগে মুবারককে সরতে হবে৷ এছাড়া আল-আরাবিয়া টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন মুবারকের উচিত শুক্রবারের আগেই চলে যাওয়া৷ কারণ তিনি বলছেন, বিক্ষোভকারীরা চায় এ সময়ের মধ্যেই মুবারক চলে যাক৷

নিহতের নতুন সংখ্যা

সংস্থার মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার নাভি পিল্লাই বলছেন, এ পর্যন্ত প্রায় ৩০০-র মত লোক মারা গিয়ে থাকতে পারে৷ তিনি বলছেন, প্রতিদিনই লোক মারা যাচ্ছে৷ এছাড়া তিন হাজারেরও মত মানুষ আহত হয়েছে, বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন তিনি৷ তবে হতাহতের সংখ্যার বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায় নি বলেও ঐ বিবৃতিতে বলা হয়েছে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন