1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কার্ল মার্ক্সের কথাই ঠিক, আজও ঠিক: বৃন্দা কারাট

২৪ অক্টোবর ২০১১

ইউরোপ ও অ্যামেরিকায় আর্থিক সংকটের মাঝেই শুরু হয়ে গেছে বিশ্বব্যাপী আন্দোলন ‘ওয়াল স্ট্রিট দখল করো’৷ ব্যাংকিং জগতের সাম্প্রতিক কার্যকলাপে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ রাজপথে নেমেছেন৷

https://p.dw.com/p/12xHf
সমাজতন্ত্রের জনক কার্ল মার্ক্স

বার্লিন প্রাচীর পতনের ২২ বছর পূর্তির আর মাত্র কয়েক দিন বাকি৷ সেদিন কমিউনিজমের পতনের পর ধনতন্ত্রের ভবিষ্যতও কি আজ অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে? নতুন করে আবার প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছে বামপন্থী ভাবধারা? এবিষয়ে ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলেছেন ভারতের মার্ক্সবাদী কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য বৃন্দা কারাট৷ তিনি মনে করেন, ধনতন্ত্রের আসল চেহারা এবার বেরিয়ে এসেছে৷ তার উপর বিভিন্ন দেশের সরকার যেভাবে জনগণের অর্থ ব্যয় করে বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে বাঁচাতে  ‘বেলআউট' দিয়ে চলেছে, তাও গ্রহণযোগ্য নয়৷ এর বিরুদ্ধে আন্দোলন এখনো প্রাথমিক স্তরে রয়েছে৷ তবে ভবিষ্যতে এর থেকে আরও বড় আন্দোলনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলে মনে করেন বৃন্দা কারাট৷

তিনি আরও বললেন, ধনতন্ত্র বিভিন্ন যুগে বিভিন্ন ভাবে নিজেকে প্রকাশ করে চলে, টিকে থাকার নতুন পথ খোঁজে৷ যেমন বর্তমানে দেশের বাইরে মূলধন নিয়ে গিয়ে অন্য জায়গায় শ্রমিকদের শোষ করা হচ্ছে৷ তাছাড়া উৎপাদনশীল মূলধনের বদলে নতুন আর্থিক পরিষেবা তৈরি করে নিজেদের মুনাফা আরও বাড়িয়ে নেওয়ার প্রবণতাও দেখা যাচ্ছে৷

ভারত সরাসরি এই সংকটের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় নি৷ এর মূল কারণ, ভারতের ব্যাংক ও বীমা সংস্থাগুলির সিংহভাগই এখনো সরকারি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে৷ সরকার যদি এই আন্তর্জাতিক সংকট থেকে শিক্ষা না নিয়ে এখনো ব্যাংক ও বীমার বেসরকারিকরণের পথে এগিয়ে যায় এবং সেই সব সংস্থার হাতেই এর দায়িত্ব তুলে দেয় যারা পশ্চিমা দেশের সংকটের জন্য দায়ী, তা হবে অত্যন্ত বোকামির কাজ৷ আজ শুধু বামপন্থী দলগুলি নয়, অন্যান্য দল ও শ্রমিক সংগঠনগুলিও বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে পারছে৷

সাক্ষাৎকার: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক