কাবুলের পাখি বাজার
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের বাসিন্দাদের জঙ্গি হামলাসহ নানান সংগ্রামের মুখোমুখি হতে হয়৷ তাইতো সাময়িক শান্তির খোঁজে পাখি পোষেন অনেক আফগান৷
পুরনো শহরে
কাবুলের পুরনো অংশে কা ফারোশি নামে একটি পাখি মার্কেট আছে৷ পুরনো শহর বলে লেনগুলো সরু৷ সেখানেই ছোট, মাটির তৈরি দোকানগুলো সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে আছে৷
লড়াইয়ের মোরগ
কা ফারোশি মার্কেটে অনেক রকমের পাখি বিক্রি হয়৷ তবে ক্রেতাদের একটি বড় অংশের প্রিয় লড়াই করতে পারে এমন মোরগ৷ সবচেয়ে ভালো এমন একটি মোরগের দাম ১৪ হাজার ডলার (প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বাংলাদেশি টাকা) পর্যন্ত হতে পারে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন এক বিক্রেতা৷
অন্যান্য পাখি
মোরগ ছাড়াও তিতির জাতীয় পাখি, ফিঞ্চ, গান গাইতে পারে এমন সব পাখির দেখা মেলে কা ফারোশি মার্কেটে৷
শখ
রাফিউল্লাহ আহমাদি নামের এক পাখি বিক্রেতা বলছেন, পাখি পোষা আফগানিস্তানে একটি শখের মতো৷ ‘‘কেউ লড়াই করতে সক্ষম এমন মোরগ পুষতে পছন্দ করেন, কেউ পোষেন তিতির৷ এটা আফগানিস্তানের একটা রীতি,’’ বলেন তিনি৷
সুকার তিতির
লালচে ধূসর রংয়ের এই পাখিটিও অনেকের বেশ প্রিয়৷ চোখ আর গলায় কালো রংয়ের দাগ, লাল ঠোঁট আর কালো ডোরা - এমন পাখি পোষার লোভ সামলানো সত্যিই কঠিন৷ তিতির জাতীয় এসব পাখি লড়াইয়ের জন্য পালন করা হয়৷
বন থেকে বাজারে
আফগানিস্তানের বিভিন্ন বনজঙ্গল থেকে পাখিদের কা ফারোশি মার্কেটে নিয়ে আসা হয়৷ লড়াইয়ের মোরগ আসে উত্তর আফগানিস্তান থেকে৷ এছাড়া পাকিস্তান ও ইরান থেকেও পাখি আমদানি করা হয়৷
চাপ থেকে মুক্তি
পাখি ব্যবসায়ী জহির তানহা বলেন, কাবুলবাসীদের অনেক ধরনের চাপের মুখে পড়তে হয়৷ সেখান থেকে সাময়িক স্বস্তি পেতে তিনি পাখি পোষেন৷ তাঁর কাছে প্রায় ৫০টি কবুতর আছে৷ ‘‘আমার একটা মানসিক সমস্যা আছে৷ ডাক্তাররা আমাকে পাখি পালার পরামর্শ দিয়েছেন৷’’
বার্ড ফ্লু?
গওহার খান নামের আরেক পাখি ব্যবসায়ী জানান, আফগানিস্তানের পাখিদের বার্ড ফ্লু নেই৷ তবে পাকিস্তান ও ইরান থেকে আসা পাখিদের বার্ড ফ্লু আছে৷
পাখির খাবার
কাবুলের এই বাজারে পাখিদের নানান খাদ্যও পাওয়া যায়৷