1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাবুল থেকে হলিউড

মাসুদ সাইফুল্লাহ/আরবি১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

১৫ বছর বয়সি ফাওয়াদ মুহাম্মদি তার জীবনে খুব বেশি পশ্চিমা চলচ্চিত্র দেখেনি৷ তবুও সে হয়তো অল্প সংখ্যক আফগানদের মধ্যে একজন হতে পারে, যে অস্কার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে তা উপভোগ করতে পারে৷

https://p.dw.com/p/17dz0

আফগানিস্তানের ‘বাসকাশি বয়েজ' ছবিটি অস্কার পুরস্কারের জন্য সেরা অ্যাকশন শর্ট ফিল্ম ক্যাটাগরিতে মনোনীত হয়েছে৷ যাতে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছে ফাওয়াদ মুহাম্মদি৷

ফাওয়াদ কাবুলের পর্যটক এলাকা ‘চিকেন স্ট্রিটে' নগরের ম্যাপ বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করে৷ ভাঙা ভাঙা ইংরেজিতে কথা বলতে পারে সে৷ হঠাৎ একদিন এক ফরাসি চিত্র পরিচালকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়৷ তিনি আবার মার্কিন পরিচালক স্যাম ফ্রেঞ্চের ছবি ‘বাসকাশি বয়েজ'-এর জন্য এই কিশোরকে নেওয়ার পরামর্শ দেন৷ হলিউডের গ্ল্যামার থেকে অনেক দূরে অন্য এক জীবন ছোট্ট এই কিশোরের৷ মা, বোন ও ছয় ভাই নিয়ে কাবুলে বসবাস করে সে৷ ১০ বছর বয়সে বাবাকে হারায়৷ তার আয়ের ওপর নির্ভরশীল গোটা পরিবার৷

বাসকাশির উত্থান

‘বাসকাশি বয়েজ' ছবির গোড়াপত্তন সেই ২০০৮ সালে৷ সত্যি ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৈরি এর কাহিনি৷ ভালবাসার টানে পরিচালক স্যাম আফগানিস্তানে এসেছিলেন৷ তাঁর বান্ধবী তখন কাবুলের ব্রিটিশ দূতাবাসে কাজ করতেন৷ তাই স্যামও চলে আসেন কাবুলে৷ আফগানিস্তান ছাড়ার পরও দেশটির প্রতি টান তাঁর কমেনি৷ ২০০৯ সালে ‘বাকাশি বয়েজ' গল্পটি লেখেন তিনি৷ তিন বছর পর এই ঘটনা নিয়ে নির্মাণ করেন ছায়াছবি৷

কাস্টিংএর পর পরই দুই মূল ভূমিকার একটিতে নির্বাচিত হয় ফাওয়াদ৷ অন্যদিকে পরিচালক স্যামের নিষ্ঠাও মুগ্ধ করে ফাওয়াদকে৷ ছবিটি যে এত বড় সাফল্য পাবে, তা ভাবতেও পারেনি ফাওয়াদ৷ তার ভাষায়, ‘‘আমি জানতাম, এটা একটি বিশেষ ছবি৷ কেননা দর্শকরা ছবিটি পছন্দ করেছেন৷ কিন্তু এত বড় সাফল্য যে আসবে, তা আমি সত্যি সত্যি ভাবিনি৷''

জাতীয় খেলা

মনোনয়নের খবরটি জানিয়ে পরিচালক যখন ফোন করলেন, তখন আনন্দে কেঁদে ফেলে ফাওয়াদ৷ ছবিটির কাহিনি গড়ে উঠেছে আফগানিস্তানের ঐতিহ্যবাহী খেলা বাসকাশি নিয়ে৷ ঘোড়ায় চড়ে এক মরা ছাগলকে তুলে আনার চেষ্টা করা হয় এই খেলায়৷ ২০ বা তার চেয়েও বেশি খেলোয়াড় অংশ নেয় এতে৷ বিশেষ করে আফগানিস্তানের উত্তরে খেলাটি খুব জনপ্রিয়৷ দুই কিশোরের বন্ধুত্বকে নিয়ে গড়ে উঠেছে স্বল্পদৈর্ঘ্যের এই ছবিটি৷

এক পথের কিশোর ও আরেক ধনীর পুত্র৷ দুজনেই তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে চায়৷ ছবির চরিত্রে ফাওয়াদ মনপ্রাণ দিয়ে বাসকাশি খেলোয়াড় হতে চায়৷ বাস্তবে কিন্তু তার আকাঙ্ক্ষা ভিন্নরকমের৷ পাইলট বা অভিনেতা হতে আগ্রহী সে৷ অ্যামেরিকায় যেতে পারলে তার তিনটা ইচ্ছা পূরণ করতে চায় সে৷ সমবয়সীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে ও স্কুলে যেতে চায় ফাওয়াদ৷ আর রাম্বোর সঙ্গে দেখা করার অদম্য ইচ্ছা রয়েছে তার৷ রাম্বোর চরিত্রে রূপদানকারী হলিউডের অভিনেতা সিলভেস্টার স্ট্যালন আফগানিস্তানে এক জনপ্রিয় তারকা৷

Afghan horsemen play "Buzkashi" in the outskirts of Kabul, Afghanistan, Friday, Dec. 4, 2009. Buzkashi is the national sport of Afghanistan, which literally translated means "goat grabbing." In Buzkashi, a headless carcass is placed in the center of a circle and surrounded by the players of two opposing teams. The object of the game is to get control of the carcass and bring it to the scoring area. (AP Photo/Mustafa Quraishi)
‘বাসকাশি বয়েজ' ছবির গোড়াপত্তন সেই ২০০৮ সালেছবি: AP

খ্যাতিমান পথকিশোর

এত খ্যাতি সত্ত্বেও ফাওয়াদ মুহাম্মদি কাবুলের রাস্তায় কাজ করা থেকে বিরত হয়নি৷ সে জানায়, ‘‘আমি আগে নগরের ম্যাপ বিক্রি করতাম৷ এখনও তাই করি৷ একটা পার্থক্য হল, এখন আমাকে অনেকে চিনে ফেলে৷ যেমন পর্যটকরা তেমন স্থানীয়রাও৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য