1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজকাজাখস্তান

কাজাখস্তানে বই পুড়িয়ে, হিজাব পরা ছবি দিয়ে প্রতিবাদ

২৩ অক্টোবর ২০২৩

রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি সমুন্নত রাখতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করেছে কাজাখস্তান সরকার৷ এর প্রতিবাদে কোনো কোনো এলাকায় মেয়েরা স্কুলে যাওয়া কমিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/4XuC8
Kasachstan | Hidschab
ছবি: Meiramgul Kussainova/AA/picture alliance

বই পুড়িয়ে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হিজাব পরা ছবি প্রকাশ করেও চলছে প্রতিবাদ৷

সরকারি হিসেব অনুযায়ী ৭০ ভাগ মুসলমানের দেশ কাজাখস্তানে ১৬ অক্টোবর থেকে সব শিক্ষাঙ্গনে হিজাব নিষিদ্ধ৷ সেদিনই  সরকারি ওয়েবসাইটে ‘নাগরিকদের জন্য' শিরোনামের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখন থেকে আর হিজাব পরা যাবে না, কারণ, এমন ধর্মীয় পোশাক বা চিহ্ন কোনো না কোনোভাবে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো বা গোঁড়ামি প্রচারে ভূমিকা রাখতে পারে৷ সেখানে আরো জানানো হয়, ধর্মনিপেক্ষ দেশের সরকারের দায়িত্ব সব ধর্মের মানুষের জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করা, কোনো ধর্মাবলম্বীদের কোনোভাবে অগ্রাধিকার দেয়া পুরোপুরিভাবে ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিবিরোধী৷

কিন্তু সরকার এ ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই প্রায় দুই কোটি মানুষের দেশটিতে চলছে প্রতিবাদ৷

কাজাখস্তানের শিক্ষামন্ত্রী গনি বাইসেমবায়েভ জানান, আতিরাউ অঞ্চলের স্কুলগুলোতে দেড়শ'র মতো ছাত্রী ইতিমধ্যে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করেছে৷ এছাড়া হিজাব পরে ছাত্রীদের ঢুকতে না দেয়ায় স্থানীয় এক স্কুলের এক নারী পরিচালককে দুই ব্যক্তির প্রহার করার খবর এসেছে তুর্কেস্তান থেকে৷পা শাপাশি রাস্তায় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে প্রতিবাদ৷

তবে প্রেসিডেন্ট কাসিম-য়োমার্ত টোকায়েভ ও তার সরকার তারপরও স্কুলে হিজাব পরাকে শিক্ষার্থীদের অপরিহার্য অধিকার মানতে নারাজ৷ রাজধানী আস্তানায় শিক্ষকদের জাতীয় সম্মেলনে তিনি বলেছেন, স্কুল একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সেখানে সবাই জ্ঞান আহরণ করতে যায়৷ কিন্তু ধর্মবিশ্বাসটা একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়৷ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ রাখার পক্ষে যুক্তি দেখাতে গিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘‘আমাদের দেশের আইনে সবার জন্য ধর্মের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে৷ আমার মনে হয়,  এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত শিশুরা বড় হয়ে নিজেদের ভুবন থেকে নিলেই ভালো হয়৷''

গ্র্যান্ড মুফতির প্রস্তাব

হিজাব নিয়ে কাজাখস্তান যখন দ্বিধাবিভক্ত, তখন সমাধানের একটা পথ দেখানোর চেষ্টা করেছেন দেশের সুপ্রিম মুফতি নাউরিজবায় কাজি তাগনুলি৷ তিনি মনে করেন, সাধারণ স্কুলগুলোতে হিজাব নিষিদ্ধ হলেও কেউ চাইলে একটা পর্যায় থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরতেই পারে৷ তার প্রস্তাব, কেউ সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব না পরে লেখাপড়া করতে অপারগ হলে দশম শ্রেণি থেকে মাদ্রাসা বা অন্যান্য ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়া শুরু করতে পারে৷

আনাতোলি ওয়াইসকফ/ এসিবি