1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কলম্বিয়ায় ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি

২৫ আগস্ট ২০১৬

এফএআরসি বা ফার্ক বিদ্রোহীদের পুরো নাম কলম্বিয়ার বিপ্লবী সশস্ত্র বাহিনী, ৫২ বছর আগে বিক্ষুব্ধ চাষি ও কমিউনিস্ট কর্মীদের দ্বারা সৃষ্ট৷চার বছর আলাপ-আলোচনার পর ফার্ক ও বোগোটা সরকারের মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে চলেছে৷

https://p.dw.com/p/1JpKX
Kolumbianische Regierung und FARC-Rebellen schließen offiziell Frieden
ছবি: Reuters/E. de la Osa

আলাপ-আলোচনা চলে কিউবার হাভানায়৷ শান্তি চুক্তি সম্পর্কে ঐকমত্যের ঘোষণাও আসে সেখান থেকে৷ বুধবার রাত্রে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হুয়ান মানুয়েল সান্তোস একটি টেলিভিশন ভাষণে জানান যে, আগামী ২রা অক্টোবর শান্তি চুক্তি সম্পর্কে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে৷ আজ বৃহস্পতিবারেই চুক্তির বয়ান কংগ্রেসকে প্রদান করা হবে এবং জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হবে৷ সান্তোস শান্তি চুক্তিকে ‘‘ঐতিহাসিক'' বলে অভিহিত করে বলেন যে, এই চুক্তি ‘‘একই জাতির সন্তানদের মধ্যে এই সুদীর্ঘ সংঘাতের অবসান ঘটাবে৷''

যেমন হাভানার ঘোষণা, তেমনই সান্তোসের ভাষণের পর কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটার প্রায় ৪০০ বাসিন্দা একটি পার্কে মিলিত হয়ে হর্ষ প্রকাশ করেন৷ ফার্ক-বিদ্রোহ জনিত সংঘাতে গত ৫০ বছরে প্রাণ হারিয়েছেন মোট ২ লাখ ২০ হাজার মানুষ, গৃহহারা হয়েছেন ৫০ লক্ষের বেশি মানুষ৷ কাজেই ফার্ক-এর মুখ্য মধ্যস্থ ইভান মার্কেজ যখন হাভানায় ঘোষণা করেন, ‘‘আমরা সবচেয়ে সুন্দর যুদ্ধে জিতেছি: কলম্বিয়ার জন্য শান্তি'' – তখন বোগোটার মানুষ ‘‘ভিভা কলম্বিয়া!'' ধ্বনি দিয়ে ও জাতীয় সংগীত গেয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানান৷

সারা বিশ্ব থেকে অভিনন্দন আসতে শুরু করে, তার মধ্যে সর্বাগ্রে জাতিসংঘ ও পরে হোয়াইট হাউস থেকে৷ ফার্ক-কে শেষ মুহূর্তে যে সব বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে রাজি করানো হয়েছে, তার মধ্যে ছিল: ২০১৬ সালে অবধি, অর্থাৎ কংগ্রেসের দু'টি কর্মকালের জন্য সংসদে ফার্ক-পরবর্তী রাজনৈতিক দল বা আন্দোলনটির জন্য ১০টি করে আসন বাঁধা থাকবে৷ ২০২৬ সালের পর এ যাবৎ অনামা দলটিকে নির্বাচনে নামতে হবে৷

চার বছর আগে ফার্ক আলাপ-আলোচনায় নামতে বাধ্য হয়, কেননা তখন তারা মার্কিন সমর্থিত সরকারি সেনাবাহিনীর তরফ থেকে বিপুল চাপের মুখে; তাদের একাধিক উচ্চপদস্থ অধিনায়ক নিহত ও গেরিলা যোদ্ধাদের সংখ্যাও কমে সাত হাজারে নেমে গেছে৷ অপরদিকে হাভানার শান্তি আলাপ-আলোচনা সফল হওয়ার একটি কারণ, ফার্ক সদস্যদের নৃশংস কার্যকলাপের তদন্ত ও সাজা সম্পর্কেও ঐকমত্য অর্জিত হয়৷ অপরদিকে বিদ্রোহীরা তাদের অপরাধ স্বীকার করলেই তাদের আর জেলে যেতে হবে না, বরং সশস্ত্র সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কল্যাণমূলক কাজ করলেই চলব, এই সূত্রে কিন্তু সকলে, বিশেষ করে মানবাধিকার আন্দোলনকারীরা, সন্তুষ্ট নন৷

এসি/ডিজি (এপি, রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য