1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উত্তরের সুর

শীর্ষ বন্দোপাধ্যায়, কলকাতা২২ নভেম্বর ২০১২

প্রায় ভুলতে বসা ভাওয়াইয়া গান নিয়ে ছবি তৈরি করেছেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকার শাহনওয়াজ কাকলি৷ সদ্য শেষ হওয়া কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সাড়া ফেলল সেই ছবি, উত্তরের সুর৷

https://p.dw.com/p/16nrC
ছবি: privat

মাত্র ১০ দিনেই কলকাতায় অনেক নতুন বন্ধু করে ফেলেছেন তিনি৷ বাংলাদেশের নবীনা চলচ্চিত্রকার শাহনওয়াজ কাকলি৷ আর তাঁর ছবি উত্তরের সুর এতটাই সাড়া ফেলেছে যে, একবার দেখানোর পর উৎসাহীদের আবদারে দ্বিতীয়বার দেখানো হয়েছে ছবিটি৷ কাকলি নিজেই বলেন, বাঙালি চলচ্চিত্রকারদের মধ্যে তাঁর প্রথম প্রেরণা ঋত্বিক ঘটক৷ কোমল গান্ধার, তিতাস একটি নদীর নাম, বা মেঘে ঢাকা তারা বার বার দেখেন কাকলি৷ তবে নিজের ছবির বিষয় হিসেবে তিনি বেছে নিয়েছিলেন ভাওয়াইয়া গানের এক শিল্পীর জীবন৷

Bangladesch Regisseurin Shahnawaz Kakoli
বাংলাদেশের নবীনা চলচ্চিত্রকার শাহনওয়াজ কাকলিছবি: DW

কাকলি বলছিলেন, ‘‘আগে ভাওয়াইয়া গানের চর্চা হত দিনের বেলা ক্ষেতে কাজ শেষ করে, বাড়ি ফিরে খাওয়া দাওয়া শেষ করে, অবসর সময়ে৷ ফসল তোলার সময় গান বাঁধা হতো, সুন্দর বৃষ্টি পড়লে গান বানানো হতো, শীতের সময়, অঘ্রাণ মাসে....এখন যেমন মরশুমি গান, কেবল ফসল কাটার সময়, তখন তো তেমন ছিল না৷''

কিন্তু নাগরিক সমাজে প্রায় ভুলতে বসা ভাওয়াইয়া গান কী করে হয়ে উঠল তাঁর ছবির বিষয়৷ উত্তর দিতে গিয়ে কাকলি ফিরে গেলেন তাঁর ছোটবেলায়৷ জানালেন, তিনি শহরের মানুষ৷ একেবারে ভরা শহরে বড় হয়েছেন৷ এমনকি সাঁতার কাটতেও পারেন না৷ কিন্তু ছোটবেলায় মামার সঙ্গে চুরি করে গ্রাম দেখতে যেতেন৷ ছোটমামার মোটর সাইকেলের পিছনে চড়ে৷ তখন গ্রামে গিয়ে দেখতেন, শুনতেন, কত দূর দূর থেকে ভেসে আসছে ভাওয়াইয়া গানের সুর৷ ওই সুর তাঁকে ভাবিয়েছে সেই ছোট থেকেই৷ আজও ঢাকা শহরে বসে কাকলি ভাওয়াইয়া সুরের মধ্যে গ্রামজীবনের গন্ধ পান, ফসলের গন্ধ পান৷ তার থেকেই কাকলির মনে হয়েছিল, ভাওয়াইয়া গান নিয়ে তাঁর কিছু করা উচিত৷

Week 47/12 Women 2: Debutant Film Director Shahnawaz Kakoli with 'Uttorer Sur' - MP3-Mono

আর ঋত্বিক ঘটক কীভাবে প্রভাব ফেলতে শুরু করলেন জীবনে? কবে থেকে? সেও সেই শৈশবেই, জানালেন কাকলি৷ ছোট থাকতে ঈদের দিন বা পয়লা বৈশাখের দিন ছবি আঁকার অভ্যাস ছিল কাকলির৷ আর ছিল টিভিতে সিনেমা দেখার অভ্যাস৷ অন্য ধারার ছবি, যেগুলোকে বলা হয় আর্ট ফিল্ম, ছোট থেকেই সেগুলো কাকলিকে টানত৷ ফলে বড় হওয়ার পর চলচ্চিত্রের মোহে আবিষ্ট হতে বেশি সময় লাগেনি৷ ঢাকায় যখন চলচ্চিত্র উৎসব হতো, হস্টেল থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে সারা দিন ছবি দেখে যেতেন ক্লান্তিহীন৷ সেই ছবি দেখতে দেখতেই ছবি করতে শেখার শুরু৷

তা হলে কী হবেন ঠিক করেছেন? চিত্রকর, না চলচ্চিত্রকার? হাসলেন কাকলি৷ কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে পাওয়া প্রশংসা, ভালোবাসা তাঁকে চলচ্চিত্রের আঙিনা ছেড়ে বেশিদূর যে যেতে দেবে না, সেটা তিনি এখনই বুঝছেন৷ তবে পাশাপাশি ছবি আঁকাও অবশ্যই থাকবে, প্রথম প্রেমের মতো৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য