কলকাতার হারিয়ে যাওয়া পার্সিরা
১৮ শতকের দ্বিতীয় অর্ধে কলকাতা শহরে পা রেখেছিলেন গুজরাট থেকে আসা পার্সি ব্যবসায়ীরা৷ ওঁরা ইরান থেকে ছিন্নমূল হয়ে ভারতে আসেন৷ তারপর সুরাট, মুম্বই, পুনার মতো কলকাতাতেও গড়ে ওঠে পার্সিদের বসতি৷
অগ্নি আলয়
মধ্য কলকাতার মেটকাফ স্ট্রিটের এই বাড়িতেই রক্ষিত পার্সিদের পবিত্র আগুন, যা তাঁরা বয়ে এনেছিলেন সুদূর ইরান থেকে৷
দেখাও বারণ
প্রজ্জ্বলিত আগুনের প্রতীক সর্বত্র, কিন্তু জন্মসূত্রে পার্সি না হলে সেই পবিত্র আগুন চোখে দেখাও যায় না৷
আশীর্বাদী প্রতীক
পার্সিদের সব কাজে মাথায় থাকেন এই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের আদিপুরুষ, ধর্মগুরু জরথ্রুষ্ট৷
নিজেদের জগৎ
কলকাতা ময়দানে পার্সি ক্লাব৷ ১১০ বছরের পুরনো এই ক্লাবকে ওঁরা বলেন, নিজস্ব এক খণ্ড পৃথিবী৷
ইরানি যোগসূত্র
পার্সি ক্লাবের সভাপতি জিমি বিলিমোরিয়া৷ ওঁদের শরীরে যে ইরানি রক্ত প্রবাহিত, তা চেহারাতেই স্পষ্ট৷
একলা থাকা
পার্সিরা অনেকেই আজীবন অবিবাহিত থাকেন৷ স্বাধীনচেতা তো, তাই৷ যেমন ইয়াসমিন কাপাডিয়া৷
মডেলসুন্দরী
পার্সি মহিলারা চিরকালই এগিয়ে আধুনিক৷ ইয়াসমিন যেমন একসময় মডেলিংও করেছেন৷
পার্সি খাবার
পার্সি খাবারেরও আছে বৈচিত্র্য এবং বৈশিষ্ট্য৷ সবথেকে জনপ্রিয় ওদের মাটন ধানশাগ৷
লেসের কাজ
পার্সি মেয়েদের প্রথাগত পোশাকের বৈশিষ্ট্য তার লেসের কাজ, যা হয় চীনা মসলিনের ওপর৷
সাজানো সংসার
কলকাতায় একসময় এক লাখ পার্সির বাস ছিল৷ সংখ্যাটা কমে এখন ৪৫০৷ তাও যাঁরা আছেন এই শহরে, আনন্দেই আছেন৷