1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করহ্রাস নিয়ে জোট সরকারে টানাপোড়েন

২ জানুয়ারি ২০১০

জোট সহযোগী এফডিপি পয়লা জানুয়ারি থেকে প্রায় ২৪ বিলিয়ন ইউরো করহ্রাসের সমর্থন করেছে এবং পরের বছরগুলিতেও উত্তরোত্তর করহ্রাস দাবী করেছে৷ সিডিইউ-সিএসইউ-এর একাংশ তা’তে সুখী নয়৷

https://p.dw.com/p/LIYe
চাকে ঢিল ছুঁড়েছেন বির্গিট হমবুর্গারছবি: picture-alliance / dpa

মুক্ত গণতন্ত্রী এফডিপি দলের সংসদীয় গোষ্ঠীর নেত্রী বির্গিট হমবুর্গার ‘হামবুর্গার আবেন্ডব্লাট’ পত্রিকাকে বলেছেন: ‘‘আমি জোট গঠন চুক্তি মেনে চলা দাবি করছি৷’’ অপরদিকে মুক্ত গণতন্ত্রীরা যে বাজেটের অবস্থা এবং কর্মসংস্থান পরিস্থিতিকে ধর্তব্যের মধ্যে না এনেই করহ্রাসের উপর জোর দিচ্ছে, জোটের অন্য তরফ খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী সিডিইউ এবং খ্রিষ্টীয় সামাজিক সিএসইউ দলের কর্মচারী শাখা তার সমালোচনা করেছে৷

কর কমছে, সুবিধা বাড়ছে

পয়লা জানুয়ারি থেকে যে ২৪ বিলিয়ন ইউরো পরিমাণ করহ্রাস বাস্তবায়িত হল, তার অধিকাংশ কিন্তু এর আগের সিডিইউ-সিএসইউ এবং এসপিডি দলের ‘কালো-লাল’ সরকারের সিদ্ধান্ত৷ নতুন ‘কালো-হলুদ’ সরকার তার সঙ্গে মোট ৮.৫ বিলিয়ন ইউরোর করহ্রাস যোগ করেছেন৷ মুশকিল এই যে, এই নতুন করহ্রাসের কিছু কিছু ব্যবস্থা বিশেষভাবে বিতর্কিত, যেমন হোটেলগুলোয় ঘরের ভাড়ার উপর সেলস ট্যাক্স কমানো৷ নয়তো এ’বছর শ্রমিক-কর্মচারীদের বিভিন্ন খাতে সব মিলিয়ে ৯.৫ বিলিয়ন ইউরো কর কমছে৷ তার মধ্যে শিশু সন্তানযুক্ত পরিবারদের জন্য আয়করের একাংশ বাদ, প্রতিটি শিশু সন্তানের জন্য সরকারি ভরতুকি বৃদ্ধি ইত্যাদি ব্যবস্থা আছে৷ আবার সম্পত্তির উত্তরাধিকারের উপরও কর কমছে৷

বাজেট বনাম করহ্রাস

করহ্রাসের পিছনে জোট সরকারের যুক্তি হল, এর ফলে প্রবৃদ্ধি বাড়বে৷ চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল তাঁর নববর্ষের ভাষণেও আবার বলেছেন যে, প্রবৃদ্ধি আনার জন্য সব কিছু করা হবে৷ কিন্তু হমবুর্গার তাঁর অনুরূপ মন্তব্যের সঙ্গে যোগ করেছেন যে, কর থেকে সরকারের সম্ভাব্য আমদানির কথা না ভেবেই জোট চুক্তির শর্তগুলি বাস্তবে রূপায়িত করতে হবে৷ তার জন্য অপরাপর খাতে সরকারি ব্যয় হ্রাসের কথা ভাবা যেতে পারে, যেমন ফেডারাল কর্মসংস্থান প্রতিষ্ঠান বা পরিবার মন্ত্রণালয়ের খাতে৷ সিডিইউ-সিএসইউ সংসদীয় গোষ্ঠীর কর্মচারী শাখার সভাপতি পেটার ভাইস হমবুর্গারের যুক্তির বিরোধিতা করে বলেছেন যে, বেকার ভাতা ইত্যাদি খাতে ২০১১ সালেও বড় মাপের ফেডারাল ভরতুকি লাগবে৷ কাজেই উত্তরোত্তর করহ্রাসের বিশেষ সুযোগ থাকবে না৷

বিরোধীরা উত্তপ্ত

বিরোধীরা হমবুর্গারের আরো তীব্র সমালোচনা করেছে৷ সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দলের সংসদীয় গোষ্ঠীর উপ-সভাপতি ইএয়াখিম পশ বলেছেন, এফডিপি পরিবারবর্গ, কর্মচারী এবং কর্মহীনদের ক্ষেত্রে সাশ্রয় করে তার বিপজ্জনক এবং অন্যায় করহ্রাসের অ-সামাজিক নীতি বাস্তবায়িত করবে৷ সংসদে বামদলের উপ-সভাপতি গেজিনে লোয়েটস দাবী করেছেন যে, চ্যান্সেলর ম্যার্কেল এফডিপি’কে সমাজকল্যাণমূলক রাষ্ট্রের বাস্তবে ফিরিয়ে আনুন৷ আর সবুজদের সংসদীয় হুইপ ফোল্কার বেক বলেছেন: ‘‘ আমাদের জলবায়ুর সুরক্ষা, শিক্ষা এবং নতুন কর্মসংস্থানে বিনিয়োগ করা উচিৎ - করহ্রাসে নয়৷’’

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী, সম্পাদনা: রিয়াজুল হক