আসছে কমিউনিটি টেলিভিশন
৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪বাংলাদেশে কমিউনিটি রেডিও যাত্রা শুরু করে ২০১০ সালে৷ এখন বাংলাদেশে ১৪টি কমিউনিটি রেডিও প্রতিদিন গড়ে ১০০ ঘণ্টা অনুষ্ঠান প্রচার করছে৷ আরো ১৮টি কমিউনিটি রেডিওকে গত বছর লাইসেন্স দিয়েছে সরকার৷ চলতি বছরেই তাদের কার্যক্রম শুরু হবে৷ কমিউনিটি রেডিওগুলার সংগঠন বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও এন্ড কমিউনিকেশন বা বিএনএনআরসি-র প্রধান নির্বাহী বজলুর রহমান ডয়চে ভেলেকে জানান, তাঁদের আশা ২০১৫ সাল নাগাদ ৬০টি এবং ২০২১ সাল নাগাদ ৪০০টি কমিউিনিটি রেডিও হবে বাংলাদেশ৷ তিনি বলেন, কমিউনিটি রেডিও এরই মধ্যে স্থানীয়, বিশেষ করে উপকূলীয় মানুষের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে৷ কারণ তাঁরা স্থানীয় ভাষায় মানুষের সমস্যা, সমাধান এবং সম্ভাবনা নিয়ে অনুষ্ঠান প্রচার করছে৷ উপকূলীয় এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে কমিউনিটি রেডিওই সাধারণ মানুষের তথ্যের একমাত্র উত্স বলে জানান তিনি৷
তবে এখানেই থামতে চান না তাঁরা৷ তাঁরা এখন স্বপ্ন দেখছেন কমিউনিটি টিভি-র৷ বজলুর রহমান জানান, এটা শুধু স্বপ্ন নয়, এটা বাস্তব হবে শিগগিরই৷ সরকার নীতিগতভাবে কমিউনিটি টিভি-র অনুমতি দেয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে৷ জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা ঘোষিত হওয়ার পরই সম্প্রচার কমিশন লাইসেন্সের শর্ত এবং নীতিমালা ঠিক করবে৷
তিনি বলেন, কমিউিনিটি টিভি-র চরিত্র ও নীতি হবে কমিউনিটি রেডিও-র মতোই৷ এছাড়া এই টিভি স্থাপন এবং পরিচালনার ব্যয় হবে খুবই কম৷ বাংলাদেশে একটি কমিউিনিটি টিভি স্থাপনের খরচ ১ কোটি টাকার বেশি হবে না৷ বজলুর রহমান জানান, নেপালের লুম্বিনি কমিউনিটি টিভি ১৮ ঘণ্টা অনুষ্ঠান এবং সংবাদ প্রচার করে৷ তারা ৩৯ জন কর্মী, ৬টি ক্যামেরা এবং ১টি স্টুডিও-র মাধ্যমে কাজ করে৷ এর ৯০ ভাগ খরচ উঠে আসে বিজ্ঞাপন এবং অন্যান্য খাত থেকে৷ আর ১০ভাগ তারা আয় করে তাদের প্রোডাকশন হাউস থেকে৷ বজলুর রহমানের মতে, বাংলাদেশেও এটি সম্ভব৷
তিনি জানান, দু'ভাবে কমিউিনিটি টিভি চালু করা যায়৷ কেবেল এবং টেরিস্ট্রিরিয়ালের মাধ্যমে৷ প্রথম দিকে তারা কেবেল অপারেটরদের কেবেলর মাধ্যমে শুরু করতে চান এই সম্প্রচার৷ সরকার তাতে সম্মতও হয়েছে৷ জানা গেছে, ৩০ কি.মি. এলাকার মধ্যে এর সম্প্রচার সীমাবদ্ধ থাকবে৷ প্রঙ্গত, কমিউনিটি রেডিও-র সম্প্রচার এলাকা ৩০ কি.মি.৷
বজলুর রহমান জানান, একটি নয় কমিউনিটি রেডিও-র মতোই একাধিক কমিউিনিটি টিভি চালু করতে চান তাঁরা৷ এবং সেটা হবে উপকূলীয় এলাকাসহ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য৷ কমিউনিটির লোকজনই তা পরিচালনা করবেন৷ এ জন্য দেয়া হবে প্রশিক্ষণ৷ কমিউনিটির চাহিদাকে সামনে রেখেই অনুষ্ঠান এবং তথ্য প্রচার করা হবে৷