এ সময় ভারতে গ্রীষ্ম যথারীতি অপ্রতিহত গতিতে রাজ্যপাট চালিয়ে যাচ্ছে৷ নদী, নালা, পুকুর, ডোবা, খালবিল শুষ্কপ্রায়৷ দেশের এক বিরাট অংশের মানুষ এসময় নিরাপদ পানীয় জল যোগাড় করতে অসমর্থ হয়৷ এরপরই আসে বর্ষা৷ সেই সময় বৃষ্টির জল দ্বারা বাহিত হয়ে বহু দূষণকারী পদার্থ গ্রামাঞ্চলের পানীয় জলের উৎসগুলিকে করে তোলে বিষাক্ত৷ ফলে শুরু হয়ে যায় ডায়রিয়া৷ বর্ষাকালে অনেকগুণে বেড়ে যাওয়া মাছি আর পোকামাকড় পরিস্থিতিকে করে তোলে জটিল৷ ফলে বহু গ্রামে প্রতি বছর মহামারীর আকারে ডায়রিয়া রোগ ছড়িয়ে পড়ে৷ প্রাণ যায় বহু মানুষের, যাদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশ মারাত্মক৷ এমত পরিস্থিতিতে আজ ‘কমদামে ডায়রিয়া প্রতিষেধক টিকা তৈরি করলো ভারত' প্রতিবেদনটি আগামী দিনের জন্য এক বিরাট সুখবর বহন করে আনলো৷
-
জার্মানিতে বিশ্বের একমাত্র চকলেট মিউজিয়াম
সবার জন্য চকলেট
‘চকলেট খায় বাচ্চারা’ – এমনটাই আমরা আগে শুনেছি৷ তবে জার্মানিতে এসে দেখছি চকলেট ছোট, বড় সবার জন্য৷ বাচ্চাদের জন্য অবশ্য আলাদা বিশেষ চকলেট রয়েছে, যেগুলোতে দুধ এবং মিষ্টির পরিমাণ একটু বেশি থাকে৷ আজকাল তো দেখা যায় হৃদরোগীদের ডাক্তাররা কালো বা বিটার চকলেট খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন৷
-
জার্মানিতে বিশ্বের একমাত্র চকলেট মিউজিয়াম
রাইন নদীর বুকে চকলেট মিউজিয়াম
জার্মানির কোলন শহরের এই মিউজিয়ামটি বিশ্বের প্রথম এবং একমাত্র চকলেট মিউজিয়াম৷ মিউজিয়ামটি দেখে মনে হয় যেন কাঁচ আর ধাতুর তৈরি একটি সুন্দর জাহাজ৷ ৪,০০০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে চকলেট আর কোকোর পুরনো ইতিহাস বহন করছে এই মিউজিয়ামটি৷
-
জার্মানিতে বিশ্বের একমাত্র চকলেট মিউজিয়াম
কোলনকে বিশেষ উপহার
চকলেট কোম্পানি ‘স্টলভের্ক’-এর মালিক হান্স ইমহোফ এই মিউজিয়ামটি তৈরি করেন ১৯৯৩ সালে৷ যেখানে চকলেটের ৩,০০০ বছরের পুরনো ইতিহাস নানাভাবে তুলে ধরা হয়েছে৷ বিশেষ ধরণের এই মিউজিয়ামটি হান্স ইমহোফ কোলন শহরকে উপহার দিয়ে দিয়েছেন এবং যার মধ্য দিয়ে তিনি অনেক প্রশংসা কুড়িয়েছেন৷ ২০০৭ সালে তিনি মারা যান৷
-
জার্মানিতে বিশ্বের একমাত্র চকলেট মিউজিয়াম
কোকো দানা
কোকোর দানা বা বিচি থেকে তৈরি করা হয় চকলেট৷ মিউজিয়ামের ভেতরের ঘরটিতে শুধু কোকো সম্পর্কেই দেওয়া হয়েছে নানা তথ্য৷ যেমন ২০ জাতের কোকোর পরিচয়, কোকোর চাষ ইত্যাদি৷ কোকো দানার জন্ম ল্যাটিন অ্যামেরিকায়৷ ১৭০০/১৮০০ শতকে এটি প্রথম ইউরোপে আসে ড্রিংক চকলেট হিসেবে৷ এরপর ১৯ ও ২০ শতকে কোকো প্রথম চকলেট আকারে বানানো শুরু হয়৷
-
জার্মানিতে বিশ্বের একমাত্র চকলেট মিউজিয়াম
বিশেষ আকর্ষণ – চকলেট গাছের ঝরনা
তিন মিটার উঁচু এই সুন্দর ঝরনাটি যে চকলেট মিউজিয়ামের বিশেষ আকর্ষণ, তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷ যা দেখে একটুখানি চেখে দেখার লোভ সামলানো যায় না৷ আর সেজন্যই হয়ত বা যারা মিউজিয়ামে ঢোকেন, সবাইকেই একটি করে বিস্কুট গরম চকলেটের মধ্যে ডুবিয়ে খেতে দেওয়া হয়, তার আসল স্বাদ গ্রহণ করার জন্য৷
-
জার্মানিতে বিশ্বের একমাত্র চকলেট মিউজিয়াম
যে দেশের যে সংস্কৃতি
আসলে বাংলাদেশ বা ভারতে যেমন কোনো উপলক্ষ্য বা কোথাও গেলে মিষ্টি নিয়ে যাওয়ার রীতি রয়েছে, তেমনি জার্মানিতে নিয়ে যাওয়া হয় চকলেট৷ আপনি এখানে কোনো জার্মান বাড়িতে আমন্ত্রিত, কি নেবেন ভাবছেন? না, ভাবনার কিছু নেই৷ অনায়াসেই নিয়ে যেতে পারেন সুন্দর এক বাক্স চকলেট৷ আর যদি কারো পছন্দের চকলেটের নাম জানা থাকে, তাহলে তো সোনায় সোহাগা !
-
জার্মানিতে বিশ্বের একমাত্র চকলেট মিউজিয়াম
কত রকমের চকলেট
এই ২১ শতকে চকলেট ছাড়া জার্মানদের জীবন ভাবা যায়না৷ লিন্ড, স্টলভের্ক, রিটার স্পর্ট, মিলকা, নিউটেলা, মোত্সার্ট মার্বেল, সারোটি – কত ছোট বড় কোম্পানির চকলেট যে রয়েছে এদেশে৷
-
জার্মানিতে বিশ্বের একমাত্র চকলেট মিউজিয়াম
চকলেট মিউজিয়াম দেখা মানেই অভিজ্ঞতা অর্জন
চকলেট খেলে শরীর মনে কি প্রভাব পড়ে, আগে কিভাবে চকলেট বানানো হতো আর এখনই বা কিভাবে তৈরি করা হয় ইত্যাদি বিষয়েও জানা যাবে এই মিউজিয়ামে গেলে৷
-
জার্মানিতে বিশ্বের একমাত্র চকলেট মিউজিয়াম
চকলেট দিয়ে তৈরি মানুষের মিছিল
মানুষের মিছিলের মতো কোকো আর চকলেট দিয়ে ১৮ সেন্টিমিটার উঁচু এই চকোলেট মিছিলটি তৈরি করেছেন এক শিল্পী৷ একটি প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে এটা৷
-
জার্মানিতে বিশ্বের একমাত্র চকলেট মিউজিয়াম
প্রিয়জনের জন্য চকলেট
চকলেট খেতে ভালোবাসে এমন মানুষের অভাব নেই৷ কিন্তু চকলেটের ইতিহাসও জানতে ইচ্ছে করে অনেকেরই৷ তাই এরই মধ্য প্রায় ১০ মিলিয়ন মানুষ কোলনের এই চকলেট মিউজিয়াম পরিদর্শন করেছেন৷ মিউজিয়ামে চকলেট বানানোর রহস্য অর্থাৎ রেসিপি ও প্রণালী দেওয়া আছে৷ তবে এভাবে বাড়িতে বসে চকলেট তৈরি করা না গেলেও, একটা ধারণাটা তো পাওয়া যাবে!
-
জার্মানিতে বিশ্বের একমাত্র চকলেট মিউজিয়াম
বাড়তি পাওয়া
চকলেট মিউজিয়াম ঘুরে এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার পর ঢুকে পড়ুন চকলেট মিউজিয়ামের ক্যাফেতে৷ সেখানে খেতে পারেন খুবই মজার এক টুকরো চকলেট কেক বা গরম চকলেট, যাকে বলে ‘হট চকলেট’৷ আর সেই সাথে উপভোগ করতে পারেন রাইন নদীর সৌন্দর্য, যে অনুভূতি অনেকদিন মনে রাখার মতো৷
লেখক: নুরুননাহার সাত্তার
ডায়রিয়া, কলেরা ইত্যাদি রোগগুলির মূল কারণ ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়া যাই হোক না কেন, ভারতে ডায়রিয়ার প্রতিবছর মহামারীর আকার নেওয়ার একমাত্র কারণ সাধারণ মানুষের মধ্যে চেতনার অভাব এবং দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় পরিচ্ছন্নতার প্রতি উদাসীনতা৷ তাই রাষ্ট্রের বহু প্রচেষ্টা সত্ত্বেও মহামারীরূপে ডায়রিয়ার অনিবার্য বার্ষিক আবির্ভাব ঠেকানো যায়নি৷ তারই ফলশ্রুতি প্রতি বছর ১ বছরের কম বয়সি প্রায় এক লক্ষ শিশুর মৃত্যু৷ তবুও হু'র সহায়তায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দ্বারা ব্যাপকভাবে ও আরএস পাউডার বিতরণের ফলে ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর অপ্রতিহত গতিতে কিছুটা হলেও লাগাম পরানো গেছে৷
সবশেষে পাঠকদের কাছে একটি অনুরোধ, ডায়রিয়ার মরশুম শুরু হতে চলেছে৷ এই রোগে দরিদ্র মানুষেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হন সবচেয়ে বেশি৷ যদি আপনাদের আশেপাশে কারো ডায়রিয়া হয়েছে, এমন খবর পান, তাহলে দয়া করে, তাঁকে নিকটবর্তী সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করতে একটু সাহায্য করবেন৷ একেবারে বিনা পয়সায় সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলার পূর্ণ ব্যবস্থা স্বাস্থ্যদপ্তরের আছে, দপ্তরের সাথে যুক্ত থাকার সুবাদে এটা আমি জানি৷ তাছাড়াও কোনও এলাকায় ডায়রিয়া শুরুর খবর যত দ্রুত পাওয়া যাবে, তত দ্রুত ঐ এলাকায় সেটা ছড়িয়ে পড়া আটকানো যাবে৷ সবাই ভালো থাকবেন৷ নমস্কার নেবেন৷ এভাবেই লিখেছেন কেকা প্রধান, পুরুলিয়া, পশ্চিমবঙ্গ থেকে৷
রাইন নদীর বুকে চকলেট মিউজিয়ামের ছবি দেখলাম ভালো লাগলো৷ চকলেটের যে মিউজিয়াম হতে পারে এমন খবর এই প্রথম ডয়চে ভেলে থেকে জানলাম৷ বিধান চন্দ্র টিকাদার, ঢাকার গুলশান থেকে জানিয়েছেন৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ