1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কংগ্রেসের মুখোমুখি মার্কিন গোয়েন্দা

২৯ অক্টোবর ২০১৩

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার পরিচালক এবং অন্য গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানরা মঙ্গলবার হাজিরা দিচ্ছেন হাউস ইনটেলিজেন্স কমিটিতে৷ বিশ্ব নেতাদের ফোনে আড়ি পাতার বিষয়টিতে তাঁদের শুনানি হবে সেখানে৷

https://p.dw.com/p/1A7dl
WASHINGTON, DC - OCTOBER 26, 2013: A woman wearing oversized sunglasses lettered with the words "stop spying" listens to speakers during the Stop Watching Us Rally protesting surveillance by the U.S. National Security Agency, on October 26, 2013, in front of the U.S. Capitol building in Washington, D.C. The rally began at Union Station and included a march that ended in front of the U.S. Capitol building and speakers such as author Naomi Wolf and former senior National Security Agency senior executive Thomas Drake. (Photo by Allison Shelley/Getty Images)
ছবি: Getty Images

ফোনে আড়িপাতার বিষয়টি নিয়ে বেশ তোলপাড় যুক্তরাষ্ট্রে৷ তবে এতকিছুর পরও যুক্তরাষ্ট্র এই অভিযোগ স্বীকার করতে রাজি নয়৷

সোমবার হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জে কার্নি বলেছেন, দেশের জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে গোয়েন্দারা তাঁদের কর্মসূচিতে পরিবর্তন এনেছেন এবং তাঁরা সেটা খুব ভালোভাবেই করতে সমর্থ হয়েছেন৷ তবে কি কারণে এবং কিভাবে গোয়েন্দারা তথ্য সংগ্রহ করেছেন সে প্রক্রিয়াটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি৷ হোয়াইট হাউস গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন কর্মসূচি পর্যালোচনা করে দেখছে বলেও জানান কার্নি৷

শুনানিতে উপস্থিত থাকবেন এনএসএ-র মহাপরিচালক কিথ আলেকজান্ডার, উপ-পরিচালক ক্রিস ইঙ্গলিস, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জেমস কোল৷ এনএসএর কর্মসূচি এবং ফরেন ইন্টেলিজেন্স অ্যাক্টের আওতায় তাঁরা ফোনে আড়ি পেতেছেন কিনা – সে বিষয়ে তাদের জবাবদিহি করতে হবে সেখানে৷ ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালক জেমস আর চ্যাপলার বলেছেন, ফরেন ইন্টেলিজেন্স সারভেইল্যান্স অ্যাক্ট মেনে প্রেসিডেন্টের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁরা কাজ করেছেন৷ প্যাট্রিয়ট অ্যাক্টের ২১৫ ধারা অনুযায়ী, নিরাপত্তার স্বার্থে গোয়েন্দারা ফোনে আড়ি পাততে পারবেন৷

সাবেক ডেপুটি অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি অফ স্টেট হিথার কনলি বলেছেন, মার্কিন প্রশাসন এই আড়িপাতা বিষয়টি প্রকাশের পরও উপযুক্ত পদক্ষেপ নিচ্ছে না৷ এই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইউরোপের দেশগুলোর সম্পর্কের উপর প্রভাব পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি৷

কনলি বলেন, এই বিষয়টি সন্দেহ এবং অবিশ্বাসের জন্ম দিয়েছে, এমনকি কেবল প্রেসিডেন্টের নেতৃত্ব নয়, যুক্তরাষ্ট্র আসলেই সহযোগী দেশ কিনা সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে৷

মার্কিন কংগ্রেসসদস্যদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য বর্তমানে ওয়াশিংটনে আছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা৷ তাঁরা বলছেন, এ ঘটনা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাণিজ্য চুক্তিতে প্রভাব ফেলবে৷

এদিকে, এমন অবস্থার মধ্যে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের কনজারভেটিভ দল এবং সোশ্যাল ডেমোক্রেট দল ঘোষণা করেছে, পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষ বুন্ডেসটাগে আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্রের আড়ি পাতার বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে৷ ম্যার্কেলের অফিসের মুখপাত্র ১৮ নভেম্বর এই বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করেছেন৷

এপিবি/এসি (এপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য