ওটস কেন খাবেন
স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে ওটস-এর চল বহুদিনের৷ তাই এটি ‘কমপ্লিট মিল’ বা ওটমিল বলেও পরিচিত৷ ওটস গাছের দানা, লতাপাতা, কাণ্ড – সবকিছুই রোগ সারাতে কাজে লাগে৷ এ কারণেই একে ২০১৭ সালের শ্রেষ্ঠ ভেষজ উদ্ভিদ ঘোষণা করেছে জার্মানি ৷
২০১৭ সালের শ্রেষ্ঠ ভেষজ উদ্ভিদ
ত্বক, পেটের নানা সমস্যা, বিভিন্ন ধরনের বাত, ডায়বেটিস টাইপ-টু ইত্যাদি রোগের সমাধান করতে ওটমিলের জুড়ি নেই৷ এ সব কারণেই জার্মনির ভ্যুর্ৎসবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেষজ উদ্ভিদ উন্নয়ন বিষয়ক বিভাগ থেকে ২০১৭ সালের শ্রেষ্ঠ ভেষজ উদ্ভিদ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে ওটস-এর নাম৷
ওটস-এর দানা
ওটস-এর দানায় রয়েছে প্রচুর জিঙ্ক, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়৷ এছাড়া এতে থাকা আয়রন রক্তকণা তৈরি এবং শরীরের ভেতরে অক্সিজেন যাতায়াতে সহায়তা করে থাকে৷ তাছাড়া কোলেস্টরেল ও রক্তে শর্করার মাত্রাকে স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে ওটস৷
আরো যা করে
জার্মানরা একে বলেন ‘হাইলক্রয়টার’৷ অর্থাৎ ওটস-এর চারা হলো রোগ সারানোর একটি ঔষধি গাছ, যা বাতের ব্যথা, শরীর চুলকানো ও বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে শরীরকে দূরে রাখে৷
যেভাবে খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়
ওটস-এ থাকা ভিটামিন ‘সি’ এবং প্রোটিন আয়রনের গ্রহণক্ষমতা সহজ করতে পারে৷ তবে তার জন্য একে একটু দুধ বা দইয়ের সাথে মিশিয়ে খেতে হবে৷ চাইলে তার সঙ্গে কমলা বা অন্যান্য ফলো যোগ করতে পারেন৷
সকলের জন্য ওটমিল
একটু গরম পানিতে ওটস কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন৷ খানিকটা আঠার মতো ওটমিল শরীরে শক্তি বেশি দেয় এবং এতে থাকা অতিরিক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড পেটের সমস্যা বা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে৷ তাছাড়া এভাবে শিশুরাও খুব সহজেই খেতে পারে ওটমিল৷
ওটের কচি চারাগাছের পানিতে গোসল
গাছে ফুল পুরোপুরি ফোটার আগেই এই চারাগাছ তুলে ফেলতে হয়৷ এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে পেকটিন, অলিগো, সোপোনিন, ক্যালসিয়াম, অতিরিক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ধাতব পদার্থ৷ জার্মনির স্বাস্থ্য বিষয়ক কার্যালয়ের পরামর্শ, এই উদ্ভিদের ভেজানো পানি দিয়ে গোসল করলে বাত এবং ত্বকের চুলকানো, একজিমা ও অন্যান্য সমস্যা দূর হয়৷
ওটের ঔষধি পাতা
চারাগাছের মতোই ফুল ফোটার ঠিক আগে ওট গাছের কচি পাতা শুকিয়ে নিন এবং পরে চায়ের মতো পান করুন৷ এছাড়া নার্ভাসনেস, পেটের গণ্ডগোল, ঘুমের সমস্যা, গেঁটেবাত কিংবা কিডনির সমস্যাকে দূরে রাখতে এ ধরনের এক চামচ চা ২৫০ গ্রাম ফুটন্ত পানিতে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে ধীরে ধীরে পান করুন৷
‘ওটমিল ড্রিংক’
স্বাস্ব্য সচেতন ও নিরামিষাশীদের জন্য ওটমিল ড্রিংক বেশ উপকারী৷ জার্মনিতে ‘তৈরি’ ওটস-এর এমন ড্রিংক বাজারেই পাওয়া যায়৷ তবে ইচ্ছে করলে আপনি ঘরেই খুব সহজে তৈরি করে নিতে পারেন ওটমিল ড্রিংক৷