1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঐতিহাসিক ভুল!

২৫ নভেম্বর ২০১৩

ইরানের সঙ্গে পশ্চিমা সমাজের বোঝাপড়া নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে৷ ইসরায়েল এ চুক্তিকে মনে করছে ‘ঐতিহাসিক ভুল’৷ অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এক বিবৃতিতে এই চুক্তিকে অভিহিত করেছেন ‘ঐতিহাসিক প্রথম পদক্ষেপ’ হিসেবে৷

https://p.dw.com/p/1ANUx
British Foreign Secretary William Hague, Germany's Foreign Minister Guido Westerwelle, European Union foreign policy chief Catherine Ashton, Iranian Foreign Minister Mohammad Javad Zarif, Chinese Foreign Minister Wang Yi, U.S. Secretary of State John Kerry, Russia's Foreign Minister Sergei Lavrov and French Foreign Minister Laurent Fabius (L-R) shake hands after a ceremony at the United Nations in Geneva November 24, 2013. Iran and six world powers reached a breakthrough agreement early on Sunday to curb Tehran's nuclear programme in exchange for limited sanctions relief, in a first step towards resolving a dangerous decade-old standoff. REUTERS/Denis Balibouse (SWITZERLAND - Tags: POLITICS ENERGY)
ছবি: Reuters

জেনেভায় রবিবার জাতিসংঘের পাঁচ সদস্য দেশ যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ব্রিটেন, রাশিয়া, চীন আর জার্মানির সঙ্গে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির পরিধি হ্রাসের বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়৷ এ নিয়ে ইরানে শুরু হয়েছে উল্লাস৷ আনন্দে উদ্বেল হাজার হাজার মানুষ এখন রাজধানী তেহরানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফকে সংবর্ধনা দেয়ার অপেক্ষায়৷ ইরান আশা করছে, এ চুক্তির ফলে দেশটির ওপর থেকে জাতিসংঘ আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ধীরে ধীরে প্রত্যাহার করা হবে এবং দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে৷

Titel: Mohammad Javad Zarif Bildbeschreibung: Iranischer Außenminister Mohammad Javad Zarif in Teheran nach den Atomverhandlungen mit Iran in Genf Lizenzfrei: ISNA
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফছবি: ISNA

ইরানের প্রতি ঐতিহাসিকভাবে বৈরিভাবাপন্ন দেশ ইসরায়েল এ চুক্তি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছে৷ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘‘জেনেভায় যা অর্জিত হয়েছে তা কোনো ঐতিহাসিক চুক্তি নয়, ঐতিহাসিক ভুল৷ এর ফলে বিশ্ব আরো বিপদজনক স্থানে পরিণত হলো৷'' ইসরায়েলের সন্দেহ, চুক্তি স্বাক্ষর আসলে ইরানের অর্থনৈতিক অবরোধ থেকে বেরিয়ে আসার অপকৌশল মাত্র৷ ইসরায়েলের মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য চুক্তিকে এতটা সন্দেহের চোখে দেখছে না৷ এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, ‘‘এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ৷'' পাশাপাশি ভবিষ্যতে মিত্র দেশ হিসেবে ইসরায়েলের প্রতি সকল অঙ্গীকারে যুক্তরাষ্ট্র অটল থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷

তবে জার্মানি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এ চুক্তির প্রশংসা করেছে পরিষ্কার ভাষায়৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে এটাকে ‘টার্নিং পয়েন্ট' হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, ‘‘পারস্পরিক আস্থা বাড়ানোর জন্য আগামী কয়েক মাস এ নিয়ে অনেক কাজ করতে হবে আমাদের৷'' ব্রিটেন আর ফ্রান্স চুক্তি অনুযায়ী যাতে কাজ হয় তা নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর৷ রাশিয়া বলেছে, ‘‘এর ফলে কেউ জেতেনি, কেউ হারেওনি৷'' তবে চীন চুক্তি নিয়ে আশাবাদী৷ বিশ্বের সবচেয়ে জনবহূল এই দেশটি মনে করে, ‘‘এ চুক্তি পারমাণবিক অস্ত্র হ্রাস করার প্রয়াসকে জোরদার করবে৷''

এসিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য