1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এশিয়াতে ক্যাসিনো ব্যবসার অবস্থা রমরমা

২৬ মার্চ ২০১১

ক্যাসিনো মানেই লাস ভেগাস৷ জুয়া খেলার সবচেয়ে বড় ক্যাসিনোগুলো সেখানেই অবস্থিত৷ তবে ইদানিং এগিয়ে এসেছে এশিয়া৷ সেখানে ক্যাসিনোগুলো চুটিয়ে ব্যবসা করছে৷ লাস ভেগাসের চেয়েও বেশি মুনাফা করছে মাকাও-এর ক্যাসিনোগুলো৷

https://p.dw.com/p/10hjx
এমজিএম গ্র্যান্ড ম্যাকাও ক্যাসিনোছবি: AP

ভিয়েতনামের একটি ক্যাসিনোর দৃশ্য – একজন এসেছেন তার বান্ধবীকে নিয়ে৷ খেলা চলছে৷ কিছুক্ষণ পর বান্ধবী উঠে গেলেন আরো ক্যাশ অর্থাৎ নগদ টাকা তুলতে৷

এশিয়ার এসব ক্যাসিনোতে টাকা আসছে হু হু করে৷ আসছেন খেলোয়াড়রা, বান্ধবীদের সঙ্গে নিয়ে৷

বিশ্লেষকরা বলছেন, এশিয়াতে ক্যাসিনো ব্যবসা বাড়ছে অনেক দ্রুত৷ তাই মাকাও-এর ক্যাসিনোগুলো খুব অল্প সময়েই লাস ভেগাসের ক্যাসিনোগুলোর চেয়েও বেশি মুনাফা করেছে৷ আর সিঙ্গাপুরে একাই বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করছে ক্যাসিনোগুলো৷

ভিয়েতনামের ক্রাউন ক্যাসিনোর মালিক হোয়াং ডাট সিলভার শোর৷ এদের অর্থের যোগান দিচ্ছে একজন চীনা বংশোদ্ভূত অ্যামেরিকান৷

মাকাও-এর ক্যাসিনো ব্যবসার অগ্রগতি দেখে পিছিয়ে পড়ে থাকতে রাজি নয় শ্রীলঙ্কা এবং ফিজি দ্বীপপুঞ্জ৷ বিভিন্ন ক্যাসিনোর দিকে তাদের নজর পড়েছে৷ কীভাবে আরো পর্যটকদের এসব ক্যাসিনোতে আনা যায় সেই চিন্তাই চলছে৷

হংকং-এর একটি ক্যাসিনোর একজন জুয়া বিশ্লেষক অ্যারন ফিশার৷ তিনি বলেন, ক্যাসিনো ব্যবসা বাড়ার কারণ হলো, বিশেষ একটি শ্রেণির উপার্জন বাড়া৷ এবং তারা অন্য কোনো খেলা নয়, বরং জুয়া খেলার প্রতিই আগ্রহ দেখাচ্ছে৷ এশিয়ার সংস্কৃতিতে এই প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে আগের চেয়ে অনেক বেশি৷

Macau - Casino Lisboa
ম্যাকাও’এর ক্যাসিনো লিসবোয়াছবি: DW/ Jochen Faget

গত বছর মাকাও-এর ক্যাসিনোগুলো মুনাফা করেছে প্রায় ২৩.৫ বিলিয়ন ডলার৷ ২০০৯ সালের তুলনায় তা ছিল ৫৮ শতাংশ বেশি৷ আর লাস ভেগাস ব্যবসা করেছে এর চেয়ে চারগুন কম৷

সিঙ্গাপুরে ২০১০ সালে দুটো ক্যাসিনো কমপ্লেক্স তৈরি করা হয়৷ প্রথম বছরেই তারা ব্যবসা করে ৬.৫ বিলিয়ন ডলার৷

ধারণা করা হচ্ছে ক্যাসিনো ব্যবসায় অ্যামেরিকাকে ছাড়িয়ে যাবে এশিয়া৷ এবং তা আগামী বছরের শেষের দিকেই নিশ্চিত করে বোঝা যাবে৷ কথাগুলো জানান, মার্কিন অর্থনীতিবিদ জনাথান গালাভিজ৷

তবে বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন ক্যাসিনোতে দেশীদের চেয়ে পর্যটকরাই এসেছে বেশি৷ শুধুমাত্র পর্যটকদের পকেট থেকেই এসেছে ১১.৬ মিলিয়ন ইউরো৷ এসব পর্যটকরা এসেছে ইন্দোনেশিয়া, চীন, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া এবং ভারত থেকে৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: জাহিদুল হক