এমন উপহার রানিকে কেউ দেয়!
প্রিয়জনকে উপহার দেয়ার আগে আমরা কত কিছুই না ভাবি! পছন্দ, সামর্থ্য, সামাজিক অবস্থানসহ কত কিছু চলে আসে বিবেচনায়৷ ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথও অনেক উপহার পান৷ তার উপহারের তালিকায় এ সব জিনিসও থাকে!
গণপরিবহনের টিকিট
হ্যাঁ, ওপরের ছবিটি লন্ডনের গণপরিবহনে যাতায়াতের ইলেকট্রনিক টিকিট৷ ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠার দেড়শ’ বছর উদযাপন করে লন্ডন মেট্রোরেল৷ পাতাল রেলের এ আনন্দের দিনে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ গিয়েছিলেন অভিনন্দন জানাতে৷ সেদিন শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে এই উপহারই তুলে দেয়া হয় রানির হাতে৷ উপহার হিসেবে ইলেকট্রনিক টিকিটটি গ্রহণ করলেও রানিকে অবশ্য কোনোদিনই গণপরিবহনে দেখা যায়নি৷
কাউবয় বুট
ঘোড়া চালাতে খুব পছন্দ করেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ৷ তাঁর সংগ্রহে ঘোড় দৌড়ের জুতো থাকাটা তাই অস্বাভাবিক কিছু নয়৷ তবে উপহার হিসেবে ঘোড়দৌড়ের জুতো বা কাউবয় বুট দেয়া হবে, এটা রানি নিজেও হয়ত ১৯৯১ সালের আগে ভাবেননি৷ সে বছর যুক্তরাষ্ট্র সফরে টেক্সাসের গভর্নরই প্রথম এমন (ওপরের ছবি) উপহার দেন তাঁকে৷ উপহার দেখে নাকি খানিকটা লজ্জা পেয়েছিলেন রানি৷
টিনজাত ফল
স্বাভাবিক অবস্থায় রানিকে কেউ টিনজাত ফল উপহার দিলে সবাই অবাকই হতেন৷ কিন্তু ১৯৪৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড রাজ্য কর্তৃপক্ষের পাঠানো ৫০০ ঝুড়ি টিনজাত আনারস পেয়ে রানি বোধহয় খুশিই হয়েছিলেন৷ বিয়ের উপহার হিসেবে রানি এবং তাঁর স্বামী ফিলিপকে পাঠানো হয়েছিল এ উপহার৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অনেক দেশই তখনো দুর্ভিক্ষের কবলে৷ টিনজাত ফলগুলো নাকি রানি স্কুল শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করেছিলেন৷
রানি এবং রাজা
ওপরের পেইন্টিংটি রানি উপহার পেয়েছিলেন বার্লিনে, ২০১৫ সালে৷ ‘হর্স ইন রয়েল ব্লু’ শিরোনামের এ ছবি জার্মানিরই এক শিল্পীর আঁকা৷ ছবিতে কৈশোরের এলিজাবেথ এবং তাঁর বাবা রাজা ষষ্ঠ জর্জকে তুলে ধরা হয়েছে৷ ব্রিটেনের বর্তমান রানির সঙ্গে তাঁর বাবা, অর্থাৎ সাবেক রাজার ছবিটি এখন বাকিংহাম প্যালেসে৷
জ্যান্ত প্রাণী
হ্যাঁ, মাঝে মাঝে জ্যান্ত প্রাণীও উপহার পান রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ৷ ব্রাজিল সরকার এই স্লথ দু’টো দিয়েছিল ১৯৬৮ সালে৷ দেশে ফিরে গেছো, অলস গোছের এই প্রাণী দুটোকে লন্ডন চিড়িয়াখানায় পাঠিয়ে দেন রানি৷