1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রাসেলসে বিস্ফোরণ

২১ জুন ২০১৭

প্যারিসের পর ব্রাসেলস৷ পর পর দুই বার সন্ত্রাসী হামলা ব্যর্থ হওয়ায় অসংখ্য মানুষের প্রাণ বেঁচে গেল৷ কিন্তু ইউরোপের বড় শহরগুলিতে সন্ত্রাসের হুমকি নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/2f4Z6
ব্রাসেলস সেন্ট্রাল স্টেশন
ছবি: picture-alliance/AP Photo/V. Mayo

ব্রাসেলস শহরের কেন্দ্রস্থলে সেন্ট্রাল স্টেশনে মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ একটি আত্মঘাতী হামলা প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে৷ হামলাকারী একটি বিস্ফোরণ ঘটানোর পর এক সৈন্য তার দিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়৷ পরে তার মৃত্যু হয়৷

প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, হামলাকারী বিস্ফোরণ ঘটানোর আগে চরম ইসলামপন্থি বুলি আওড়াচ্ছিল৷ তার কাছে একাধিক বিস্ফোরক ছিল বলে জানা গেছে৷ তবে বড় একটি বোমা অকেজো হয়ে পড়ায় সেটির বিস্ফোরণ ঘটাতে পারেনি সে৷ স্টেশনে প্রবেশের মুখে কালো ধোঁয়া বেরিয়ে আসতে দেখা যায়৷ পুলিশ চারিদিকে রাস্তা খালি করে স্টেশনে আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করে৷ আতঙ্কগ্রস্ত মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়৷

একাধিক কারণে এই হামলায় হামলাকারী ছাড়া কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটে নি৷ স্টেশনটির একটি বড় অংশ মাটির নীচে৷ বিস্ফোরণের ধাক্কা আাশেপাশের থামের কারণে ছড়িয়ে পড়েনি৷ তাছাড়া টহলদারী সৈন্য দ্রুত তাকে নিষ্ক্রিয় করতে সমর্থ হয়েছিল৷ উল্লেখ্য, কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার আওতায় বেলজিয়ামের একাধিক স্থাপনায় সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে

বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী শার্ল মিশেল সেনাবাহিনী, নিরাপত্তা বাহিনী ও রেল কোম্পানির কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন৷ তাঁদের পেশাদারি মনোভাব ও সাহসের প্রশংসা করেন তিনি৷

একটি টেলিভিশন কেন্দ্র বেলজিয়ামের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে যে, তদন্তকারীরা হামলাকারীর পরিচয় জানতে পেরেছে৷ তবে প্রকাশ্যে তা এখনো জানানো হচ্ছে না৷ ব্রাসেলসভিত্তিক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ক্লোদ মোনিকে বলেন, হামলাকারী সম্ভবত কট্টর ইসলামপন্থি ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজের উদ্যোগেই এই ষড়যন্ত্র করেছিল, যেমনটা প্যারিসসহ অন্য অনেক শহরেদেখা গেছে৷ তাঁর মতে, সিরিয়ায় তথাকথিত ইসলামিক স্টেট চাপের মুখে পড়ায় ইউরোপে হামলার আশঙ্কা বেড়ে গেছে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য